ইনসাইড আর্টিকেল

২০১৯ সালে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 01/01/2019


Thumbnail

ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাই নতুন বছরের প্রধান চ্যালেঞ্জ।  ২০১৮ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অনেক বড় অর্জন রয়েছে। বাংলাদেশ ২০১৮তেই স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় নিজেদের নাম লিখিয়েছে এবং দারিদ্র্যের  শৃঙ্খল থেকে মুক্তি ঘটিয়ে অর্থনৈতিক অভিযাত্রায় নিজেদের সামিল করেছে। কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভুতপূর্ব সাফল্য বাংলাদেশে ২০১৮ সালে অব্যাহত ছিল এবং বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং উদবৃত খাদ্যের দেশ হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছে।  রপ্তানির ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সালফ্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশের সাফল্য আছে বিদেশী বিনিয়োগে এবং কর্মসংস্থান তৈরির ক্ষেত্রে। অর্থনৈতিক সূচকে এই গতিপ্রকৃতির এই সাফল্যের কারণেই আওয়ামী লীগ সরকার আরেকবার বিজয়ী হয়েছে বলে অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন। কিন্তু অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এই ব্যাপক সাফল্যের পরও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কিছু সুনির্দিষ্ট ক্ষত রয়ে গেছে। যে ক্ষতগুলো বাংলাদেশের অর্থনীতির ভবিষ্যতকে অনিশ্চিত এবং বিপন্ন করে তুলতে পারে বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন।

বাংলাদেশে ২০১৮ সালে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বড় ক্ষত হলো ব্যাংকিং সেক্টরে নানা অনিয়ম এবং বিশৃঙ্খল পরিবেশ। জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, ফার্মারস ব্যাংক এবং বেসিক ব্যাংকের  কেলেঙ্কারি পুরো দেশের অর্থনীতিকেই হুমকির মুখে ফেলেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংক শুধু নয় বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলোতেও অনিয়ম এবং জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে এবং একটা শ্রেণি ব্যাংক থেকে ঋণের নানা রীতিমত টাকা লুটপাট করেছে বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করেন। এই অবস্থা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিভিন্ন সূচকে বিপুল সাফল্য থাকা সত্ত্বেও আমাদের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যে শঙ্কা, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যে ঝুকি সেই ঝুকি ক্রমাগত বাড়ছে। বিশেষ করে প্রাইভেট ব্যাংকিং সেক্টরে কয়েকটি পরিবারের কাছে ব্যাংকিং খাত জিম্মি বলে অর্থনীতিবিদরা অভীযোগ করেছেন। সম্প্রতি নির্বাচনের আগে সিপিডি একটি গবেষণায় বলেছিল যে, ব্যাংক থেকে ২২ হাজার কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে। যদিও ব্যাংকিং সেক্টর থেকে এই গবেষণার তীব্র সমালোচনা করা হয়েছিল এবং এধরনের ঢালাও বক্তব্য সঠিক নয়। কিন্তু এটা সঠিক ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সরকারের একটা বড় চ্যালেঞ্জ। ২০১৮ সালেও বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে যে রিজার্ভ চুরির ঘটনা ঘটেছিল সেই ঘটনার কোনো সুরাহা করা যায়নি। কাজেই ২০১৯ সালে আমাদের অর্থনীতিকে যদি আমরা এগিয়ে নিতে চাই এবং যে লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে সেক্ষেত্রে ব্যাংকিং সেক্টরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা অন্যতম বড় একটি লক্ষ্য হওয়া উচিৎ বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করেন। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় একটি চ্যালেঞ্জ হলো ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা।

বাংলা ইনসাইডার/এসআর



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭