নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 01/01/2019
২০১৯ সালে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল স্বাস্থ্যখাত। বর্তমান সময়ে স্বাস্থ্যসেবা দরিদ্রদের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে। ২০১৯ সালে স্বাস্থ্যসেবাকে দরিদ্র মানুষের নাগালের মধ্যে আনা হবে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। ২০১৮ সালের বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে অনেক অভূতপূর্ব অর্জন রয়েছে। দেশে শিশুমৃত্যুর হার কমেছে, মাতৃমৃত্যু হারও কমেছে, দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
সার্কভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে স্বাস্থ্যের সবগুলো সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারতের থেকেও এগিয়ে। এমন সব অভাবনীয় অর্জনের পাশাপাশি স্বাস্থ্যখাতে বেশ কিছু আশঙ্কা এবং উদ্বেগের কারণ রয়েছে। যেমন এখনো বাংলাদেশ বিশেষায়িত স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে আধুনিক এবং উন্নত চিকিৎসাসেবা দিতে অক্ষম রাষ্ট্র হিসেবেই পরিচিত। যার ফলে ক্যান্সার, হৃদরোগসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের চিকিৎসার জন্য বিপুল সংখ্যক মানুষ বিদেশের উপর নির্ভরশীল।
বাংলাদেশের বিশেষায়িত সরকারী হাসপাতালগুলো বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ে নির্মিত হলেও, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকলেও নানা রকম প্রতিবন্ধকতা এবং প্রতিকূলতার কারণে সরকারী হাসপাতালগুলো বিশেষায়িত চিকিৎসা সেবা দিতে সক্ষম নয় বলেই সাধারণ মানুষ মনে করে। যার ফলে বাংলাদেশে অসংক্রামক ব্যাধি এবং বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবার পুরোটাই বেসরকারীখাতে চলে যাচ্ছে। বেসরকারী খাতের স্বাস্থ্যসেবার পুরোটাই সেবা থেকে বেশি বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। যার ফলে রোগীরা স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির থেকেও বেশি অর্থ খরচের বিষয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন। এরকম একটা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জন্য স্বাস্থ্যসেবা খাত ২০১৯ সালের জন্য বড় একটা চ্যালেঞ্জ।
বাংলাদেশ প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবাখাতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। সবার জন্য টিকা দান, নাগরিকদের প্রাথমিক সুচিকিৎসা, সন্তান প্রসবসহ নানা রকম প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে সাফল্য অর্জন করেছে, বিশেষায়িত স্বাস্থ্য পরিসেবার ক্ষেত্রে তেমনটা অর্জনই করাই হবে ২০১৯ সালের বড় একটি চ্যালেঞ্জ। ২০১৯ সালে স্বাস্থ্যখাতে বেসরকারী স্বাস্থ্যসেবার লাগামহীন বাণিজ্যিক প্রবণতার লাগাম টেনে ধরতে হবে সরকারকে। পাশাপাশি বাংলাদেশের সরকারী হাসপাতালগুলোতে বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে হবে। যেন সাধারণ মানুষ ন্যূনতম মূল্যে সরকারী হাসপাতালে বিশেষায়িত সেবা পায়।
২০১৮ সালে যেটা লক্ষণীয় ব্যাপার ছিল বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতটি পুরোপুরি বাণিজ্যিকীকরণ হয়ে গেছে। যার ফলে টাকা থাকলেই শুধু স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া সম্ভব। টাকা না থাকলে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু অনিবার্য এরকম একটি প্রবণতার মুখোমুখি দেশের মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। সেই অবস্থা থেকে একটা জনবান্ধব এবং সবার জন্য সুলভ মূল্যে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করাই হবে ২০১৯ সালে বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে/এমআর
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭