ইনসাইড বাংলাদেশ

নতুন মন্ত্রিসভার নতুন দৃষ্টান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 09/01/2019


Thumbnail

`মর্নিং শোজ দ্য ডে`। সকাল দেখেই নাকি দিনের চিত্র বোঝা যায়। আমরা আশা রাখতে পারি এই প্রবাদে। আমরা অনেক সময় অনেক বড় বড় কথা বলি। নীতিবাক্য বলি। কিন্তু বাস্তবে তেমন কিছুই দেখি না। নতুন মন্ত্রী পরিষদ শুরুতেই বলা যায় চমকে দিল, তাক লাগিয়ে দিল। প্রশংসা পেল।

নতুন মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা গতকাল মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। মন্ত্রিসভার সদস্যদের জন্য বরাদ্দ পতাকাওয়ালা গাড়ি সোমবার শপথের আগেই তাদের ঠিকানায় পৌঁছে গিয়েছিল। তবে সাভারে যাওয়ার সময় সেই গাড়ি সঙ্গে নেননি তারা। ঢাকা থেকে তারা বাসে করে স্মৃতিসৌধে যান। আজ বুধবার (৯ জানুয়ারি) মন্ত্রীরা টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যাচ্ছেন। মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা বাসযোগেই যাবেন টুঙ্গিপাড়াতে। বঙ্গবন্ধুর কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, দোয়া ও মোনাজাত শেষে তারা ওই বাসে করেই ঢাকায় ফিরবেন।

বাসযোগে গিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে এবং বঙ্গবন্ধুর কবরে মন্ত্রীদের শ্রদ্ধা জানানোর ঘটনা এবারই প্রথম। মন্ত্রীরা প্রটোকলের সুবিধা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে উল্টোপথে গাড়ি নিয়ে গিয়ে সংবাদের শিরোণাম হয়েছেন। মন্ত্রিসভার সব সদস্যের একসঙ্গে বাসে চড়ে কোথাও যাওয়ার এমন ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল। আজ টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে জাতীয় সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারের সামনে থেকে তারা রওনা দিয়েছেন এবং বাসে করেই ফের ঢাকায় ফিরবেন। মন্ত্রিসভার সদস্যরা বাসযোগে টুঙ্গিপাড়া গেলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরাপত্তাজনিত কারণে হেলিকপ্টারে টুঙ্গিপাড়ায় যাবেন বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়। প্রধানমন্ত্রী নিজেও বাসযাত্রায় শামিল হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টরা তাকে হেলিকপ্টারে যেতে অনুরোধ করেন।

এতে কী হয়েছে? এতে সময় যেমন বেঁচেছে, আলাদা করে গাড়িও ব্যবহার করতে হয়নি। ফলে জনসাধারণকে ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। গতকাল তারা চারটি বাসযোগে সাভারে গিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। আসন সংকুলান না হওয়ায় মিনিবাসগুলোর ভেতরে তাদের অতিরিক্ত আসন পেতে বসতে দেখা যায়।

মন্ত্রীরা চাইলেই পারতেন ৪৭টি গাড়ি নিয়ে যেতে। কিন্তু তারা বাসে চড়ে গেলেন। ৪৭টি গাড়ি যেতে যে সময় লাগতো আর যানযট হতো। তাতে রাস্তা যে ঠিক কতক্ষণের জন্য থমকে যেত সেটা বোঝাই যায়। কিন্তু মন্ত্রীদের এমন উদ্যোগ সত্যিই মুগ্ধ করেছে শরহরবাসীকে। তাদের প্রথম পদক্ষেপে পেয়েছেন সাধুবাদ।

আমরা কথায় কথায় পরিবর্তন চাই। দেশের পরিবর্তন চাই। রাজনীতির পরিবর্তন চাই। রাজনীতিবিদদের পরিবর্তন চাই। মন্ত্রীর পরিবর্তন চাই। পরিবর্তনগুলো কি আমাদের চোখে পড়ে? আমরা কি চোখ খুলে দেখতে পারি পরিবর্তন? একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে আওয়ামী লীগের বিজয়ের পরে আমূল বদলে গেল মন্ত্রিসভা। ইশতেহার বাস্তবায়নের উপযোগী করেই নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। নতুনরা নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে আসে। আর পুরনোরা অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সেগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যায়। তাইতো তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে গঠিত মন্ত্রিসভা সফল হবে বলে আশা করছেন বিশিষ্টজনেরা। প্রধানমন্ত্রী যে পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেন। এই মন্ত্রিসভার প্রতি আমরা ভরসা রাখতে পারি। সূচনাতেই তারা সেই দৃষ্টান্ত দেখাল।

বাংলা ইনসাইডার/এমআর



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭