ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জুয়ার স্বর্গ যেসব দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 18/01/2019


Thumbnail

যেই নেশাটা মানুষকে চুম্বকের মতো টানে সেটা হলো জুয়া। এই জুয়া খেলতেই ধনাঢ্য ব্যক্তিরা ভিড় জমায় বিশ্বের বেশ কিছু দেশের ক্যাসিনোতে। শুধু মাত্র মনোরঞ্জনের জন্যই সেখানে গিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা উড়ায় তারা। এমন কিছু দেশ বা শহর আছে যেগুলো এই ক্যাসিনো ব্যবসার ওপর ভর করেই টিকে আছে। চলুন জেনে নেই এমন কিছু ক্যাসিনো স্বর্গের কথা-

ম্যাকাও

মাত্র ত্রিশ বর্গকিলোমিটারের দ্বীপ ম্যাকাওয়ের নিজস্ব কোনো উৎপাদন নেই। তবে এটা পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ। খরুচে দেশের তালিকাতেও ম্যাকাওয়ের নাম উপরের দিকেই। ভাবছেন কীভাবে এটা সম্ভব? ম্যাকাওয়ের আয়ের প্রধান উৎস হলো পর্যটন আর জুয়া। গোটা দ্বীপটি জুড়েই আছে অসংখ্য ক্যাসিনো। কোনো বাড়তি কড়াকড়ি ছাড়াই ধনকুবেররা ডলারের বান্ডিল দেখিয়ে ম্যাকাওয়ে প্রবেশ করতে পারেন।

নিজস্ব মুদ্রাব্যবস্থা, ভাষা এবং সীমানা থাকলেও ম্যাকাও কিন্তু পুরোপুরি স্বাধীন দেশ নয়। সাড়ে চারশ` বছর শাসন করার পর পর্তুগিজরা ১৯৯৯ সালে চীনের কাছে ম্যাকাওকে হস্তান্তর করে। বর্তমানে চীনের `স্পেশাল অ্যাডমিনিসট্রেটিভ রিজিওন` বলা হয় একে। এখানকার বিলাসবহুল হোটেল আর শপিং কমপ্লেক্সগুলোতেও রয়েছে ক্যাসিনো।

লাস ভেগাস

পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ক্যাসিনোর শহর লাস ভেগাস। এ কারণেই এই শহরের অন্য নাম সিন সিটি বা পাপের শহর। বিশ্বের নামি-দামি সব সেলিব্রেটি আর ধনকুবেররা টাকা ওড়াতে আসে এখানে। মজার ব্যাপার হলো, এই শহরের ফাইভ স্টার হোটেলগুলো তুলনামূলকভাবে সস্তা। হবে নাই বা কেন, এদের মূল ব্যবসা যে ক্যাসিনো! ছোট-বড় সব হোটেলের সঙ্গেই থাকে বিশাল সব ক্যাসিনো। যারাই এখানে থাকতে আসে তারা সখের বশে হলেও ক্যাসিনোতে ঢু মারে। আর একবার ঢুকে পড়লে এখান থেকে বের হওয়াটা কিন্তু মোটেই সহজ নয়। কারণ ক্যাসিনোগুলোতে কোন ঘড়ি বা জানলা থাকে না। অর্থাৎ আপনি বুঝতেই পারবেন না কতটা সময় পার হলো। জুয়া খেলতে বসলে কফি, বিয়ার, মদ সবই ফ্রি! কিন্তু ২০০ ডলারের ফ্রি পেতে গিয়ে অনেকে হাজার হাজার ডলার হারিয়ে বসেন।

ক্যাসিনোতে জোচ্চুরির অনেক খবর শোনা গেলেও লাস ভেগাসে কিন্তু সেটা সম্ভব নয়। কারন বিভিন্ন ধরণের গেমে প্রত্যেক বোর্ডের ওপরই বসানো থাকে ২০-২৫ টা ক্যামেরা। কেউ দুই নম্বরি করে ধরা পড়লেই ২৫ বছরের জেল।

মোনাকো

দুনিয়ার সবচেয়ে বড় জুয়ার আসর বসে মোনাকোর মন্টে কার্লোতে। এ কারণে সারা বিশ্বের ধনীদের কাছেই এটি আকর্ষণীয় একটি জায়গা। পৃথিবীর সব মিলিয়নিয়ার-বিলিয়নিয়াররা এখানে ভিড় জমান। তবে নিজেদের দেশের ক্যাসিনোতে মোনাকোবাসীর প্রবেশ নিষিদ্ধ। মোনাকোর জলে-স্থলে সর্বত্রই যেন অর্থের ছড়াছড়ি। মন্টে কার্লো ক্যাসিনোয় এক রাতেই লাখ লাখ ডলার উড়ে যায়। এই ক্যাসিনোর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও অত্যন্ত কঠোর। কেউ খেলতে আসার সঙ্গে সঙ্গে ছবি তুলে ক্যাসিনোর ডাটাবেসে রাখা হয়। এমনকি পৃথিবীর বড় সব ক্যাসিনোর নিয়মিত জুয়াড়িদের তথ্যও এই ক্যাসিনোর ডাটাবেসে রয়েছে। এখানে প্রতি বছর প্রায় দেড় মিলিয়ন পর্যটকের আগমন ঘটে। এর বেশিরভাগই আসে জুয়ার টানে।

সিঙ্গাপুর

সিঙ্গাপুরে ২০০৫ সালে প্রথম ক্যাসিনো ব্যবসা শুরু হয়। এরপর গত এক যুগে দেশটি জুয়ার স্বর্গে পরিনত হয়েছে। পর্যটকদের আকর্ষণের জন্যই মূলত ক্যাসিনো বাড়াচ্ছে সিঙ্গাপুর। স্থানীয়দের ক্যাসিনোতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাড়তি খরচা করতে হয়।

নেপাল

উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় জুয়ার আসরগুলো বসে হিমালয়ের দেশ নেপালে। নেপাল ক্যাসিনোস, ক্যাসিনো ইন নেপাল, ক্যাসিনো সিয়াংগ্রি, ক্যাসিনো অ্যান্না, ক্যাসিনো এভারেস্ট ও ক্যাসিনো রয়েল এখানকার জনপ্রিয় ক্যাসিনোগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই ক্যাসিনোগুলোর আকর্ষনীয় খেলাগুলো হলো পোকার (জুজু খেলা), বাক্কারাট (বাজি ধরে তাস খেলা), রুলেট, পন্টুন, ফ্লাশ, বিট, ডিলার, ব্লাকজ্যাক এবং কার্ডস্লট মেশিনের খেলা। অনেকে এখানে এসে এক রাতেই লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। আবার কেউ কেউ হয়ে যান ভিখিরি।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি

 

 

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭