নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 19/01/2019
ক্লাস আছে দুপুরের আগে, ঘুম থেকে উঠতে উঠতে বেজে গেলো দশটা। তখন আর সকালের নাস্তা করার সময় নেই। রেডি হয়েই দৌঁড়াতে হলো ক্লাসে। ক্লাস শেষ করে খেতে হলো দুপুরের আগেই। আবার ধরেন, সকালে তাড়াহুড়োতে নাস্তা না করেই আমাদের দৌঁড়াতে হয় অফিসে। সেখানে ঢুকেই হাতে এক কাপ চা বা কফি খেতে খেতে কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়া। ব্যস, সকালের নাস্তা আর খাওয়া হলো না। দুপুরের আগে চরম ক্ষুধা লাগলো, লাঞ্চের আগেই খেয়ে নিতে হলো লাঞ্চ। এতে সকাল বা দুপুরের কোনো একটি খাবার বাদ পড়ে গেলো।
নাস্তা করার সময় নেই, আবার দুপুরের খাবারের সময় হয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে যে ভোজের ব্যবস্থা করা হয় তাকেই প্রচলিতভাবে ‘ব্রাঞ্চ’ বলে। অর্থাৎ ব্রেকফাস্ট + লাঞ্চ = ব্রাঞ্চ দুয়ে মিলে এই শব্দের উদ্ভবl এটা আসলে পশ্চিমা সংস্কৃতি। ‘লেট ব্রেকফাস্ট, আরলি লাঞ্চ’- দুইয়ে মিলে হয় ‘ব্রাঞ্চ’।
কখন খাবেন ব্রাঞ্চ
ব্রাঞ্চের জন্য তেমন কোনো ধরাবাঁধা সময় নেই। আমরা ব্রাঞ্চ সাধারণত বেলা ১১টা থেকে দেড়টার মধ্যে খাই। তবে সকালে বেশিক্ষণ খালি পেটে খাওয়া উচিৎ নয় বলে একটু আগেভাগেই খেয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন। সবচেয়ে ভালো হয় বারোটা থেকে সাড়ে বারোটার মধ্যে।
কী খাবেন
খাবারে এমন গাফেলতি আমরা প্রায় প্রতিদিনই করি। তবে সকালে বেশি সময় খালি পেটে থাকা উচিৎ না। এতে বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যা হতে পারে। ঘুম থেকে উঠেই এমন কিছু খেয়ে নেওয়া উচিত যা তাৎক্ষণিক ক্ষুধা নিবারণ করে। এরপর শেষ সকালের খাবার বা ব্রাঞ্চ হিসেবে একটু ভারি খাবার খেয়ে নিতে হবে। তবে অবশ্যই সহজপাচ্য ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে আপনাকে। উদ্ভিজ্জ প্রোটিন ও শস্য আছে এমন খাবার এই ক্ষেত্রে খাওয়াই ভালো। পাশাপাশি ভিটামিন সমৃদ্ধ সবজি ও ফলও অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
এ ধরনের মেন্যু পরিকল্পনার ক্ষেত্রে সবজি খিচুড়ি অথবা সবজি-রুটি-ডিম ও পাকাফল অন্তর্ভুক্ত করা ভালো। কারণ এতে করে শরীরের প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ক্যালোরি ও ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। শেষ সকালের খাবার হিসেবে যে মেন্যুই বেছে নেওয়া হোক না কেন, তা সহজপাচ্য করার জন্য সুসিদ্ধ, স্বল্প তেলের ব্যবহার ও কম মসলায় রান্না খাবার হওয়া প্রয়োজন।
সকালে নাস্তায় রুটি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে ব্রাঞ্চেও রুটি রাখতে পারেন। সঙ্গে সবজি আর মাংস রাখুন। প্রোটিন হিসেবে একটি ডিম পোচ বা ডিম সিদ্ধ খেতে পারেন। নাস্তা আর লাঞ্চের সমন্বয়ে খাবার খান। প্লেটে সব ধরনের পুষ্টিগুণের খাবারই রাখুন। খাবারের পর হালকা কোনো ফলও খেয়ে নিতে পারেন। আর খাবার সঙ্গে সঙ্গে চা বা কফি খাবেন না। পেট একটু হালকা হলে তারপর খান।
মোট কথা, আপনি দুপুরে যে খাবার খান, সেটাই ব্রাঞ্চে খাবেন। তবে সেটা যেন গুরুপাক না হয়ে যায়। কারণ সকালে আপনি কিছু খাননি, তাই হুট করে খালি পেটে বেশি গুরুপাক খাবার না খাওয়াই ভালো। আর এই ব্রাঞ্চ খাওয়ার পরপরই আপনি যেন কাজে নেমে যাবেন না। কিছুটা বিশ্রাম নেবেন, আর ৫-১০ মিনিট একটু হাঁটাহাঁটি করবেন। খাবার কিছুটা হজম হলে পরে কাজ শুরু করবেন।
সকালের খাবার মিস করা হয় বেশি ছুটির দিনে। ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়, সকালে না খেয়ে দুপুরেরটা আগেভাগেই খেয়ে নিতে হয়। ছুটির দিনে হাত মোটামুটি খালি থাকে বলে নিজেই কোনো স্পেশাল ব্রাঞ্চ আইটেম বানিয়ে নিতে পারেন।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/এমআর
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭