কালার ইনসাইড

আলো ছড়াচ্ছে যে শিশু শিল্পীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 20/01/2019


Thumbnail

‘দীপু নাম্বার টু’ সিনেমার অরুণ সাহা এখন কর্পোরেট চাকরিজীবী। পড়াশুনা করেছেন বিদেশে। মাঝেমধ্যে টুকুটাক গান গাইলেও শোবিজে নেই। বছর দুই আগে বিজ্ঞাপনের মডেল হয়েছিলেন। এখন আর দেখা যাচ্ছে না। বিজ্ঞাপন, নাটক বা চলচ্চিত্রে এমন অনেক শিশুশিল্পী আছে যারা নিজস্ব অভিনয়গুণে দর্শকদের কাছে আলাদা পরিচিতি পেয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কেউ বড় হয়েছেন আবার কেউ সবেমাত্র তাদের অভিনয়যাত্রা শুরু করেছেন। এসব শিশুশিল্পীর অনেকেই সদর্পে এখনো নিজস্ব অভিনয় প্রতিভা দেখিয়ে চলছেন। শোবিজ অঙ্গনের এমন শিশুশিল্পীদের নিয়ে আজকের আয়োজন:

হারিয়ে গেছে:

১৯৮০ সালে মুক্তি পায় ‘ছুটির ঘন্টা’। স্কুল বাথরুমে আটকা পড়ে নির্মম মৃত্যুর শিকার হওয়া গল্পের সেই খোকন বা মাস্টার সুমনকে আজও ভুলেনি দর্শকরা। এই ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাস্টার সুমন। অনেকদিন তার কোন খোজ পাওয়া যাচ্ছে না। এমিলের গোয়েন্দা বাহিনীর ‘টিপটিপ’র খবরও নেই কারও কাছে।

জাতীয় চলচ্চিত্র পাওয়া শিশুশিল্পী:

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে যারা শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। তারা হলেন-আদনান, আজাদ রহমান শাকিল, সুমন, ইলোরা গহর, সজীব, আজাদ রহমান শাকিল, বিন্দী হুসাইন, আঁখি আলমগীর, জয়, কামরুন্নাহার আজাদ স্বপ্না, রাসেল, সুরর্ণা শিরীন, তুষার, দুদোল, জয়সন, বেবি সিমী, অনিক, শিলা আহমেদ, তন্ময়, অরুণ সাহা, নিশি, রাসেল ফরায়েজী, প্রিয়াংকা, অমল, হৃদয় ইসলাম, প্রার্থনা ফারদিন দিঘী, সৈয়দা ওয়াহিদা সাবরীনা, সেমন্তী, মামুন, স্বচ্ছ, আবির হোসেন অংকন, যারা যারিব, সাঁঝবাতি।

উল্লেখ্য, এর মধ্যে বেশিরভাগই হারিয়ে গেছেন। অভিনয়ের সঙ্গে নেই। 

শিশু থেকে বড় তারকা:

আঁখি আলমগীর এখন বড় গায়িকা। তিশাও বড় অভিনেত্রী। মীম বড় হয়ে অতটা সুবিধা করতে পারেনি। টুকটাক অভিনয় করলেও সংসার ধর্ম নিয়েই ব্যস্ত। ইলোরা গহরও বড় হয়ে অভিনয়ে নিয়মিত আছেন।  বাণিজ্যিক সিনেমায় বেশ আলোচিত নাম দিঘী। তারকা দম্পতি দোয়েল ও সুব্রত তনয়া দীঘি।  গ্রামীণফোনের ‘ময়নাপাখি’ বিজ্ঞাপনটির মাধ্যমেই রাতারাতি তারকাখ্যাতি অর্জন করে নিয়েছিল দীঘি। এরপর শিশুশিল্পী হিসেবে

একের পর এক অভিনয় করেছে সিনেমাতে। এখন আর সেই ছোট্টটি নেই। এখন তিনি কৈশোর বয়স পেরিয়ে তারুণ্যে। সময় সুযোগ হলেই বড় পর্দায় নায়িকা হওয়ার অপেক্ষায় দিঘী। ‘দীপু নাম্বার টু’ শিশুতোষ চলচ্চিত্রের দুষ্টু ছেলে তারেক চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছিল শুভাশীষ রায়। জানা যায়, উনিশ বছর পর শুভাশীষ আবার চলচ্চিত্র নির্মাণে মন দেন। বেশকিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা নির্মাণ করেছে শুভাশিষ। ‘রিন ওয়াসিং’ পাউডারের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আলোচনায় আসে পূজা। ‘ভালোবাসার রঙ’ ছবির মধ্য দিয়ে শিশুশিল্পী হিসেবে প্রথম বড় পর্দায় আসা। নায়িকা হিসেবেও পূজার চারটি ছবি মুক্তি পেয়েছে।

এখন তাক লাগাচ্ছে যারা:

এ সময় শিশুশিল্পী হিসেবে সবচেয়ে আলোচনায় আছে রাইসা। ‘যদি একদিন’ সিনেমায় তাহসানের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছে। এর আগে অসংখ্য নাটক ও বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছে রাইসা। রাইসার বয়স ৯। পড়ে রাজধানীর আজিমপুর এলাকার গ্রিনলাইন স্কুলে।

শরিফুলের ‘বেসম্ভব ঠান্ডা’ আর ‘অয়েল ইয়ুর ওন মেশিন’ -এর মতো সংলাপ বেশ জনপ্রিয়তা পায়। রবির বিজ্ঞাপনচিত্রের আলোচিত শিশুশিল্পী শরিফুল ইসলামকে এখন প্রায়শই নাটকে দেখা যাচ্ছে। আয়নাবাজি সিনেমাতেও অভিনয় করেছে শরিফুল।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া সাঁঝবাতি প্রযোজক হাবিবুর রহমানের নাতনি।‘শঙ্খচীল’ সিনেমায় প্রসেনজিতের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছে। শঙ্খচিল-এর ডানায় উড়ে সফলতা পেয়েছেন বারো কিংবা তেরো বছরের এই কিশোরী। সিনেমায় তার ‘মনোমুগ্ধকর’ অভিনয়ে উচ্ছ্বাসিত অনেকেই! বর্তমানে পড়াশুনা নিয়েই ব্যস্ত। মাঝেমধ্যে বিজ্ঞাপনে দেখা যায় সাঁঝবাতিকে।

ইমেল হকের নির্মাণে অসাধারণ টেলিফিল্ম ‘মায়া ও মমতার গল্প’ তে অভিনয় করে তাক লাগিয়েছে চটপটে অরিত্র। মাত্র পাঁচ বছর বয়সেই নাটক, বিজ্ঞাপন ও চলচ্চিত্রে নিয়মিত অভিনয় করছে। অনন্য মামুনের ‘বন্ধন’ ছবিতে কাজ করছে।

কথাশিল্পী ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের চলচ্চিত্র ‘ঘেটু পুত্র কমলা’র কেন্দ্রীয় চরিত্র কমলা চরিত্রে অভিনয় করে মামুন মাত্র ১১ বছর বয়সেই জয় করে নিয়েছিল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ আরও পুরস্কার। পুরো নাম হাসান ফেরদৌস মামুন খান। মামুন বিভিন্ন চলচ্চিত্র, নাটক ও বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেছে।

আদনান আল রাজীবের ‘বিকাল বেলার পাখি’ নাটকটিতে অভিনয় করে তাক লাগায় নমনী। মাত্র চার বছর বয়সেই ৬০ টির বেশি বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হয়েছে সাফানা নমনী। অভিনয় করেছে ‘পোড়ামন টু’ ছবিতে।

ডাকনাম প্রাপ্তি ,পুরো নাম চৌধুরী জাওয়াতা আফনান। স্কুলে পড়াকালীন সময়ে পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ চলচ্চিত্রের জন্য চরিত্র নির্বাচনে স্কুলে আসেন। আফনান বর্তমানে পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন নাটক ও বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করছে।

চলচ্চিত্র নির্মাতা আবু শাহেদ ইমনের ‘গোল্ডেন এ প্লাস’ নাটকে ব্যাপক প্রশংসিত হয় অনিন্দ্য। অনিন্দ্য এর আগে অভিনয় করেছে পরিচালক বিজনের ‘মাটির প্রজার দেশে’ চলচ্চিত্রে। বিজ্ঞাপন ও নাটক দু মাধ্যমেই সমানতালে অভিনয় করছে অনিন্দ্য।

পুরো নাম নুজহাত রাইয়ানা দিশা। বয়স ছয়। এরমধ্যেই কাজ করেছে নাটক, টেলিফিল্ম, মিউজিক ভিডিওসহ কয়েকটি শর্ট ফিল্মেও। সম্প্রতি একটি সিরিয়ালের গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করছে মিষ্টি হাসির এই শিশুশিল্পী।

বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ/বিকে



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭