কালার ইনসাইড

চলে গেলেন হলিউডের অনুপ্রেরণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 21/01/2019


Thumbnail

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ‘সিআইএ’ (সেন্ট্রাল ইন্টিলিজেন্স এজেন্সি) এর সাবেক এজেন্ট এবং হলিউড ছবির অন্যতম অনুপ্রেরণা টনি মেন্ডেজ মারা গেছেন। গত পরশু (১৯ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড রাজ্যের ফ্রেডেরিক শহরে নিজ বাড়িতে মৃত্যু হয় টনি মেন্ডেজের। তিনি দীর্ঘদিন বোধশক্তি হীনতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

টনি মেন্ডেজ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ২০১২ সালে হলিউডে নির্মিত হয়েছিল অস্কার জয়ী ছবি ‘আর্গো’। ১৯৭৯ সালে ছয়জন মার্কিন কূটনীতিককে ইরানের বন্দিদশা থেকে একক প্রচেষ্টায় মুক্ত করেছিলেন মেন্ডেজ। ১৯৮১ সাল পর্যন্ত কূটনীতিকরা দেশটিতে বন্দি ছিলেন। সে সময় সিআইএ-এর গুপ্তচর হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন মেন্ডেজ। এরপর একজন চলচ্চিত্র প্রযোজক সেজে ইরানের রাজধানী তেহরানে বন্দীদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সেখান থেকে কানাডীয় দূতাবাসের সহায়তায় বন্দীদের নিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন এই চৌকস গুপ্তচর। এই ঘটনা নিয়েই অভিনেতা ও পরিচালক বেন অ্যাফ্লেক নির্মাণ করেছিলেন ‘আর্গো’ ছবিটি। বেন অ্যাফ্লেক ম্যান্ডেজকে আমেরিকার সত্যিকারের নায়ক হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

মেন্ডেজ ছদ্মবেশ ধরা ও পরিচয় গোপনে বিশেষভাবে দক্ষ ছিলেন। দীর্ঘ ২৫ বছরের কর্মজীবনে তিনি হলিউডের বিভিন্ন মেকআপ আর্টিস্ট ও ম্যাজিশিয়ানদের এই বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। গুপ্তচর হিসেবে কাজ করলেও মেন্ডেজ নিজেকে সব সময় একজন শিল্পী হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন।   

যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা রাজ্যে ১৯৪০ সালে জন্মগ্রহণ করেন টনি মেন্ডেজ। স্নাতক সম্পন্ন করার পর একজন দলিল নকশাকার হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। এরপর ‘সিআইএ’ র পরীক্ষায় নাম পরিচয়হীন একটি বিজ্ঞাপনের রহস্য ভেদ করে তাক লাগিয়ে দেন। ওই পরীক্ষায় সফল হয়ে তিনি গোয়েন্দা সংস্থাটির স্থায়ী সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান। এশিয়ার বিভিন্ন দেশে তিনি ‘সিআইএ’র প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন।

সূত্রঃ বিবিসি

বাংলা ইনসাইডার/এইচপি/এমআর



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭