ইনসাইড পলিটিক্স

দুবাই বা সৌদিতে নতুন ঠিকানা করতে চান তারেক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 21/01/2019


Thumbnail

যুক্তরাজ্যে বসবাসের অধিকার হারালে দুবাই বা সৌদি আরবে যাবেন তারেক জিয়া। তারেক জিয়ার আইনজীবীরা যুক্তরাজ্যে পররাষ্ট্র দপ্তরে এই মনোভাব জানিয়ে চিঠি দিয়েছে। এই চিঠির সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সৌদী আরব সরকারের দুটি সম্মতিপত্র দেয়া হয়েছে। এর ফলে তারেক জিয়াকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া আরো জটিল হয়ে গেল বলে যুক্তরাজ্যের আইনজীবীরা বলছে। যুক্তরাজ্যের আইন আনুযায়ী সেখানে কোন রাজনৈতিক আশ্রয় লাভকারী যদি তার নিজদেশের বাইরে তৃতীয় দেশে যেতে চায় এবং তৃতীয় দেশ যদি তাকে গ্রহণে অনাপত্তি দেয় তাহলে তাকে তৃতীয় দেশেই দিতে হবে। ব্রিটেনের আইন অনুযায়ী, কোন রাজনৈতিক আশ্রয় লাভকারীকে জোর করে তার নিজদেশে পাঠানো যাবে না।

উল্লেখ্য, গত এক বছর ধরেই লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে দেশে ফিরিয়ে আনার কূটনৈতিক এবং আইনগত তৎপরতা জোরদার করে। গত জুনে প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্য সফরে গেলে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে ‘দণ্ডিত তারেককে’ ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানান। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলা রায়ের পর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তারেক জিয়াকে ফিরিয়ে দেয়ার আনুষ্ঠানিক দাবি উত্থাপন করা হয়। এছাড়াও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের ‘বন্দী/অপরাধী বিনিময় চুক্তি’ চূড়ান্ত পর্যায়ে। এই চুক্তি স্বাক্ষর হলে, একদেশের আদালত কর্তৃক স্বীকৃত অপরাধী অন্যদেশে আশ্রয় নিলে, ঐ দেশ তাকে বন্দী করে ফেরত পাঠাবে।এই দুই প্রক্রিয়ার অগ্রগতি চূড়ান্ত পর্যায়ে। ধারণা করা হচ্ছিল যে, আগামী জুনের মধ্যে তারেক জিয়ার লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয় পর্ব সমাপ্ত হবে। কিন্তু, সম্প্রতি তারেক জিয়ার পক্ষ থেকে তার আইনজীবীরা ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরে জানিয়েছে যে, তারেক জিয়া বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে যেতে আগ্রহী নন। যদি ব্রিটিশ সরকার শেষ পর্যন্ত তাঁর রাজনৈতিক আশ্রয় বাতিল করে। তাহলে তারেক জিয়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই এবং সৌদি আরব যেতে আগ্রহী। এই দুই দেশের পক্ষ হতে জানানো হয়েছে যে, তারেক জিয়া যদি তাদের দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চান, তাহলে তাঁদের আপত্তি নেই। জানা যায়, এই দুই দেশেই জিয়া পরিবারের বিপুল সম্পদ এবং ব্যবসা রয়েছে। সেকারণেই দেশ দুটি তারেক জিয়াকে তাদের দেশে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি দিয়েছে। তবে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারেক জিয়ার জন্য এরকম ইচ্ছা প্রকাশ করার সুযোগ নেই। ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘বন্দী/অপরাধী বিনিময় চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হলে তারেক জিয়া অপরাধী। তখন চুক্তির শর্ত পূরণের জন্য তারেক জিয়ার অভিপ্রায় প্রকাশের কোন সুযোগ থাকবে না। বাংলাদেশে প্রাপ্ত দণ্ড সম্পর্কিত আদালতের আদেশের কপি পাওয়ামাত্রই তারেক জিয়াকে চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাজ্য সরকার বন্দি করবে এবং বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করবে। কেবলমাত্র যুক্তরাজ্য যদি নিজে তাকে তার দেশ থেকে বের করে দিতে চায়, সেক্ষেত্রেই কেবল তৃতীয় রাষ্ট্রে তার যাবার অভিপ্রায় ব্যক্ত করার সুযোগ রয়েছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘তারেক জিয়া যেহেতু দণ্ডিত কাজেই তার জন্য ইচ্ছা প্রকাশের সুযোগ কার্যকর হবে না।’

বাংলা ইনসাইডার



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭