নরম স্বামীর গরম বউ

যতই ক্ষমতাধর হোক না কেন। সব ক্ষমতার বাহাদুরি এক জায়গা এসে শেষ হয়ে যায়। হোক না সে প্রেসিডেন্ট! না হয় নামজাদা অভিনেতা। তা হলেই বা কী হবে? বউয়ের সামনে তাকেও ‘চুপসে থাকতে হয়`! শোবিজে রটানো আছে এমন অনেক গল্প। যেখানে বলা হয়, বউকে একটু বেশিই ভয় পায় এই তারকারা। হয়তো এটা ভালবাসারও নিদর্শন।

ওমরসানী – মৌসুমীকে নিয়ে একটা কথা রটানো আছে। ওমর সানী খুবই নরম স্বভাবের বলে তাদের সংসারটা এত সুখের। এটা বাহিরের মানুষের কথা। মৌসুমী এমন অভিযোগে বলেন,‘ অভিযোগটা উল্টাও হতে পারে।’ মিডিয়ায় তাদের সংসার দেখে অনেকেই বলে ইস! সবার যদি এমন সংসার হত। সংসার জীবনের শুরু থেকে তারা ভালো আছেন। এর পেছনের রহস্য নিয়ে তাদের ঘনিষ্ঠ এক নায়িকা বলেন, যদি হিসেব করা হয়। সানী ভাই একটু নরম স্বভাবের বলেই সংসারে এত সুখ।’

অভিনেত্রী দীপা খন্দকারকে কে না চেনেন? এখন আর টিভি পর্দায় খুব একটা দেখা না গেলেও একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তিনি। অভিনেতা সাহেদ আলী সুজনের সঙ্গে তার সুখের সংসার। বিয়ের আগে নানা সময়ে দীপা খন্দকারের নামে প্রেমের গুঞ্জন রটেছে। তবে সেদিক থেকে সুজনের নামে তেমন কিছু শোনা যায়নি। সংসার জীবনেও সুজনের চেয়ে দীপার প্রভাব বেশি। এটা নেগেটিভ অর্থে বললে ভুল হবে। সুজন জানান,দীপাকে তিনি ভীষণ শ্রদ্ধা করেন। যেভাবে দীপা সংসারটা আগলে রাখে। তা অবাক করার মতো। যে দীপাকে তিনি প্রেম করার সময় চিনতেন। তার থেকে নাকি আমূল বদলে গেছেন দীপা। এখন দীপার সবকিছু নিয়ম করা। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাচ্চাদের টিভি রেডি করা। বাচ্চাদের স্কুলে দিয়ে নিজের অফিসে যাওয়াসহ সকল কাজেই দীপা সুনিপুনভাবে সামলায়। আর এতসব পারফেক্টের জন্য সুজনকে একটু নরমই থাকতে হয়।

তানিয়া আহমেদ – এসআই টুটুল দম্পতিরও সুখের সংসার। প্রেম করে বিয়ে করেছেন সেই কবে। তানিয়া জানান, এখনো নাকি কিছু ভুলেন না টুটুল। বউ যদি বকা দেয়। সে ভয় প্রেম করার সময়ই মনের মধ্যে ঢুকিয়েছেন।

সদ্য বিয়ে করা ইরেশ যাকের জানালেন, ভীষণ ভয় পায় বউকে। তিনি বলেন,‘ আরে ভাই এই ভয় তো সেই ভয় না। তবে এই যে আমি একদম অগোছালো ছিলাম। মাও বকা দিয়ে আমাকে শুধরাতে পারতো না। দাড়ি কাটটাম না অনেক দিন। সেটা কিন্তু বউ এসে পরিবর্তন করে ফেলেছে। তাছাড়া আগে অফিস ছাড়া অন্য কাউকে কথা দিয়ে কথা রাখতে পারতাম না। এখন কিন্তু সেটা অনেক কমে গেছে। বউ সেটা ঠিক করে দিয়েছে।’

ইরেশ তো অনেক পরের কথা। তার বাবা আলী যাকের নাকি এখনও ভীষণ ভয় পায় সারা যাকেরকে। ইরেশ জানান,‘ আমাদের সংসারের বস হলো আম্মা। কখনো দেখিনি আব্বা তার সিদ্ধান্তের বিপরীতে গেছেন। অনেক সময় তার কাছে সমস্যা নিয়ে গেলে বলে তোর আম্মার কাছে যা। সে সমাধান করে দিবে। সেটা কিন্তু আমরা ছোটবেলা থেকেই জানি, আব্বা যে আম্মাকে ভীষণ ভয় পায়।’

নায়ক রাজ রাজ্জাকও নাকি ভীষণ ভয় পেতেন স্ত্রী লক্ষীকে। রাজ্জাকপত্নী সে খবর বলেছেনও গণমাধ্যমে। তিনি অকপটে স্বীকার পেয়েছেন,‘ বউকে ভয় পাই বলেই অনেক খারাপ কাজ থেকে বিরত ছিলাম। আর সেজন্যই আমি রাজ্জাক হতে পেরেছি। কখনো কোন খারাপ রেকর্ড হয়নি এ জীবনে।’

নাদিয়া – নাঈম দম্পতিও বেশ সুখে আছেন। নাঈমকে প্রশ্ন করা হয়েছিল বউকে কি ভয় পান? তার অকপটে উত্তর ‘সেটা তো পাইই। ব্যাচেলর লাইফে যেমন ছিলাম। এখন তো পুরা পরিবর্তন হয়ে গেছি এই ভয়েই।’

বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ