ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যেভাবে শুরু হলো মুরগীর রাজত্ব

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 22/01/2019


Thumbnail

খুব বেশি মুটিয়ে যাচ্ছেন? কোলেস্টেরল বেড়ে হার্ট, কিডনি কিংবা লিভারের বারোটা বেজে যাচ্ছে? কী আর করা, গরু-ছাগলের লাল মাংস ছেড়েই দিলেন। পুরোপুরি হয়ে গেলেন মুরগিখোর। এ তো গেলো মধ্যবয়সীদের কাহিনী। বাচ্চারা তো স্কুলের টিফিন হোক, কিংবা বিকেলের নাস্তা চিকেন তাদের চাই-ই চাই। এই করে করে বিশ্বে মুরগির চাহিদা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সারা বিশ্বে যত পাখি আছে তার থেকে ফার্মের মুরগির সংখ্যাই বেশি। 

এক হিসেব বলছে, ওইসিডিভুক্ত (অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) দেশগুলোতে ১৯৯০ সাল থেকে গরু কিংবা শূকরের মাংস খাওয়ার পরিমাণ একেবারেই বাড়েনি। শূকরের মাংস খাওয়া পরিমাণ আগের মতো থাকলেও কমে গেছে গরুর মাংস ভক্ষণ। অপরদিকে মুরগির মাংসের চাহিদা বেড়েছে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত। গরু ও শূকরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে মুরগির মাংসের রাজত্বের কারণটা কী?

সাধারণত খাবারের জিনিসের চাহিদা নির্ভর করে এর স্বাদ এবং দামের ওপর। মুরগির মাংসের ক্ষেত্রেও ঠিক সেটাই ঘটেছে। এটা স্বাদে দারুণ, আর দামেও সস্তা। যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে পাউন্ডপ্রতি পোলট্রির দাম ১.৯২ ডলার। ১৯৬০ সালের তুলনায় যা ১.৭১ ডলার (মুদ্রাস্ফীতি ধরে) কম! শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই এখন মুরগির দাম তুলনামূলকভাবে কম। আপনি মুরগিখোর হয়ে থাকলে এজন্য প্রজননবিদদের ধন্যবাদ দিতেই পারেন।

অনেকেই হয়তো ভাবেন, শুধু ধনী দেশগুলোতেই হয়তো মুরগির চাহিদা বেশি। কিন্তু এ ধারণা একেবারেই ভুল। কোনো দেশের মানুষ মুরগির বুকের মাংসটা বেশি পছন্দ করে, কোনো দেশে আবার পা। মুরগির চাহিদা সর্বত্রই বেশি। আর মুরগির ব্যবসাও এতোই লাভজনক যে, সারাবিশ্বেই পোলট্রি ফার্মের সংখ্যা বাড়ছে। 

ফার্মে বন্দী মুরগিদের জন্য কষ্ট হচ্ছে? আরেকটি তথ্য জেনে নিন। মুরগিরা কিন্তু দিনকে দিন শক্তিশালী আর ওজনে ভারি হচ্ছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৫৭ সালে ৫৬ দিন বয়সী একটি ব্রয়লার মুরগীর ওজন হতো গড়ে ০.৯ কেজি। ১৯৭৮ সালে তা বেড়ে হয় ১.৮ কেজি। আর ২০০৫ এ ৫৬ দিনের একটি মুরগির গড় ওজন দাঁড়ায় ৪.২ কেজি। 

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/এমআর 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭