কালার ইনসাইড

মৃত্যুশয্যায় আরও এক সঙ্গীতজ্ঞ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 23/01/2019


Thumbnail

একের পর এক মহিরুহু পতনের শব্দ হচ্ছে দেশের বিনোদন অঙ্গনে। সঙ্গীতশিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের মৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটেতেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আরেক সঙ্গীতজ্ঞ আলাউদ্দিন আলী। বর্তমানে তিনি রাজধানীর মহাখালীর একটি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন।

গত মঙ্গলবার ( ২২ জানুয়ারি) মধ্যরাতে হঠাৎই প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টে ভুগতে শুরু করেন আলাউদ্দিন আলী। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে মহাখালীর আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে চিকিৎসকেরা তাঁকে ‘আইসিইউ’-তে প্রেরণ করেন।

দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন আলাউদ্দিন আলী। হাসপাতালে এখনো পর্যন্ত তাঁর শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হয়নি বলে জানান তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

আলাউদ্দিন আলীর জন্ম ১৯৫২ সালের ২৪ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জে। তবে ছোটবেলা থেকে বেড়ে উঠেছেন ঢাকায়। লোকজ, ধ্রুপদী ও পাশ্চাত্য সংগীতের ধারা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজস্ব এক ধারা সৃষ্টি করেছেন তিনি। দেশাত্মবোধ ও চলচ্চিত্রের বহু শ্রোতাপ্রিয় গান তাঁর হাত ধরেই সৃষ্টি হয়েছে। ‘সুখে থাকো, ও আমার নন্দিনী হয়ে কারও ঘরনি’, ‘সূর্যোদয়ে তুমি, সূর্যাস্তেও তুমি ও আমার বাংলাদেশ’, ‘বন্ধু তিন দিন তোর বাড়ি গেলাম দেখা পাইলাম না’, ‘যেটুকু সময় তুমি থাকো কাছে, মনে হয় এ দেহে প্রাণ আছে’, ‘প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ’, ‘এমনও তো প্রেম হয়, চোখের জলে কথা কয়’, ‘সবাই বলে বয়স বাড়ে, আমি বলি কমে রে’, ‘আমায় গেঁথে দাওনা মাগো, একটা পলাশ ফুলের মালা’, ‘আছেন আমার মুক্তার, আছেন আমার ব্যারিস্টার’সহ বহু শ্রোতাপ্রিয় গানে বিগত চার দশক ধরে সংগীত ভুবনে আলো ছড়ান আলাউদ্দিন আলী। শুধু বাংলাদেশ নয়, তাঁর সুরে গান গেয়েছেন ভারত, পাকিস্তানের বহু জনপ্রিয় শিল্পী।

বাংলা ইনসাইডার/ এইচপি

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭