নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 23/01/2019
সারা বিশ্বে খবরদারি করছে কোন দেশ? একবাক্যে সবাই স্বীকার করে নেবে এটা যুক্তরাষ্ট্র। কোনো দেশ কিংবা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে নাক গলানোটা নিজেদের নীতি বানিয়ে ফেলেছে দেশটি। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, কে কার সঙ্গে ব্যবসা করবে আর কার সঙ্গে করবে না সেটাও এখন যুক্তরাষ্ট্রই ঠিক করে দিচ্ছে। এর ব্যত্যয় ঘটলে শাস্তিও পেতে হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র যেন নিজেকে বাণিজ্য বিশ্বের পুলিশ এবং বিচারক হিসেবে জাহির করতে চাইছে। এই পুলিশগিরি কী দেশটিকে খুব এগিয়ে দিচ্ছে? নাকি নিজেদের বিপদ ডেকে আনছে তারা?
গত এক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সীমানার বাইরে ঘটে যাওয়া বেআইনি কাজের জন্যে বেশ কয়েকটি বিদেশী প্রতিষ্ঠানকে কোটি কোটি ডলার জরিমানা করেছে। ব্রাজিলভিত্তিক কর্পোরেশন পেট্রোব্রাসকে ১ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হয়েছে। আর সিমেন্সের আর্থিক নিষেধাজ্ঞার পরিমাণ ছিল ০.৮ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া গত ১২ মাসে গ্লেনকোর এবং জিটিইসহ বহু মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি আইনি বাধার মুখে পড়ে তাদের ব্যবসায় ধস নেমেছে। চীনা টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়ের বিরুদ্ধেও তদন্ত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে প্রতিষ্ঠানটির এক শীর্ষ কর্মকর্তাকে কানাডায় আটকও করা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপগুলো যেন নিজেদের বিপদই ডেকে আনছে। এটা মার্কিন পুঁজিবাজারে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে হতাশ করবে। উঠতি কোম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আসতে নিরুৎসাহিত হবে। বিপরীতে তা চীন এবং ইউরোপের মুদ্রাগুলোকে ডলারের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ভালো অবস্থানে পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে। এ কারণেই প্রশ্ন উঠছে, যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশগিরিই কি ডোবাবে ডলারকে?
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭