ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভোট টানতে মোদির টোপ ভারতরত্ন?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 27/01/2019


Thumbnail

ভোটের মাঠে জয় পেতে কত ফন্দি-ফিকিরই তো করে দলগুলো। ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারও এর ব্যতিক্রম নয়। অভিযোগ উঠছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার নাকি ভারতরত্ন খেতাবকেই ভোটযুদ্ধ জয়ের বড় অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে।

ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের আগের সন্ধ্যায় ভারতরত্ন হিসেবে তিনজনের নাম ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। এই তালিকায় রয়েছেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও কংগ্রেস নেতা প্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রয়াত গায়ক ভূপেন হাজারিকা এবং সমাজকর্মী নানাজি দেশমুখ।

ভারতের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আসন্ন নির্বাচনে পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। তাই বাঙালি প্রণববাবুকে ‘ভারতরত্ন’ দিয়ে বাংলার ভোট টানতে চাইছে মোদির সরকার। এ কৌশল প্রতিপক্ষ কংগ্রেস আর তৃণমূলকেও চাপে রাখবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

অন্যদিকে, প্রয়াত গায়ক ভূপেন হাজারিকা আসামের সন্তান। তাকে ভারতরত্ন খেতাব দিয়ে অসমিয়াদের শান্ত করতে চাইছেন মোদি। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তপ্ত হয়ে আছে আসাম। এই ইস্যুতে বিজেপির জোটসঙ্গী তিনজন মন্ত্রীও পদত্যাগ করেছেন। ধস নেমেছে বিজেপির সমর্থনে। ভূপেন হাজারিকাকে ভারতরত্ন দিয়ে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার অসমিয়াদের ক্ষোভের আগুনে জল ঢেলে দিতে চাইছেন বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এবারের ভারতরত্নজয়ী তৃতীয় ব্যক্তি নানাজি দেশমুখ। প্রয়াত এই সাংসদ হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএস (রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ) এর সদস্য ছিলেন। এর আগে ১৯৯৯ সালে ভারতের আরেক সাম্মানিক খেতাব পদ্মভূষণে ভূষিত হয়েছিলেন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরেই আরএসএসের সঙ্গে মোদি সরকারের মনো-মালিন্যের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। নানা দেশমুখকে মরণোত্তর ভারতরত্ন খেতাবে ভূষিত করে মোদি আরএসএসের সঙ্গে বিজেপি সরকারের দূরত্ব ঘোচাতে চাইছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

ভোটের মাঠে জয় পেতে ভারতরত্ন খেতাবকে ব্যবহারের অভিযোগ অবশ্য নতুন কিছু নয়। এর আগে মনমোহন সিং নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধেও এই একই অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের মাসখানেক আগে জনপ্রিয় ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারকে ভারতরত্নে ভূষিত করা হয়েছিল। তরুণ প্রজন্মের ভোট টানতেই টেন্ডুলকারকে ওই খেতাব দেওয়া হয়েছিল বলে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকেই। সে সময়ের কংগ্রেস সরকারের সেই চাল অবশ্য কাজে আসেনি। ১৪’র নির্বাচনে হেরে গিয়েছিল দলটি। কিন্তু এবার কী ঘটবে? মাস তিনেক পরেই জাতীয় নির্বাচন। মোদির ভারতরত্ন টোপ জনগণের ভোট টানতে কাজে আসবে কী?

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/এমআর



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭