নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 27/01/2019
সারাদিনের ব্যস্ততার পর একটু আয়েশ করে রাতে আরামে ঘুমাতে কে না চায়। কিন্তু সেই উপায় নেই আদনানের। প্রতিটা দিন সেই আয়োজন করে ঘুমাতে যাওয়া, ক্লান্তিতে চোখ বোজা- সবই ঠিক আছে। কিন্তু মাঝেমাঝেই ঘুম ভেঙে যায় একেবারে মাঝরাতে। সেই ঘুম ভাঙলো তো ভাঙলো, হাজার চেষ্টাতেও আর ঘুম আসছে না। পাশের মানুষটি আরাম করে ঘুমাচ্ছে, আর তা দেখে প্রতিদিন হা হুতাশ করতে হচ্ছে তাকে। এর থেকে যন্ত্রণা এখন পর্যন্ত আর নেই তার কাছে। ঘুমের এই সমস্যা কেন হচ্ছে, কী করবেন না করবেন তা বুঝছেন না।
ঘুম ভাঙার এই সমস্যাটা অনেকেরই আছে। কারো বেশি, কারো কম। সাধের ঘুম ভেঙে আপনাকে যখন বসে থাকতে হচ্ছে, আর ঘুম আসছে না, সারাদিন ক্লান্ত লাগছে। দেখা যায় আজ যে সময়টাতে ঘুম ভাঙলো, ঠিক কালও ঐ সময়ে ভেঙে গেলো ঘুম। এটা অনেকটা অভ্যাসে দাঁড়িয়ে যায়।
কেন হয় এমন
আপনি হয়ত রাতে যখন তখনই ঘুম থেকে জেগে ওঠেন। এর কারণগুলো কি কখনো ভেবে দেখেছেন? আপনার যদি ত্বকে কোনো জ্বালাপোড়া বা চুলকানি থাকে তবে ঘুম ভেঙে যাওয়ার ভয় থাকে। আবার অনেকের ঘুমের মধ্যে বেশি নড়াচড়ার অভ্যাস থাকলে ঘুম ভাঙারও আশঙ্কা থাকে বার বার।
আবার আপনার শোয়ার ঘরটি যদি একটু বেশি ঠাণ্ডা বা গরম হয় তাহলে সেই অনুভুতিতে চট করে ঘুমটা ভেঙে যেতে পারে। আপনার বা আপনার পাশে যদি কারো নাক ডাকা বা জোরে নিঃশ্বাস নেওয়ার সমস্যা থাকে তো ঘুমে বেশ ব্যাঘাত ঘটে।
রাতে ঘুম ভাঙার আরেকটি অন্যতম কারণ হলো অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা। চিন্তা বেশি হলে ঘুম তো আসবেই না, অনেক কষ্টে ঘুমালেও দেখবেন বার বার ঘুম ভেঙে যাবে।
কী করবেন বার বার ঘুম ভাঙলে
উজ্জ্বল এবং তীব্র আলো ঘুম ব্যাহত করে। মৃদু ডিম লাইটের আলো তন্দ্রাভাব তৈরি করতে সাহায্য করে। তাই ঘুমানোর ঘরটিতে যাতে কোনোভাবেই তীব্র আলো পৌঁছতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলে আমরা আবার ঘুমের চেষ্টা না করে দেখা যায় কিছু পড়তে শুরু করি, খাওয়াদাওয়া করি বা গান শুনতে বসি। এটা করলে ঘুমে বরং আরও দেরি হবে। আপনি শুয়ে থেকে আবার ঘুমের চেষ্টা করুন।
আপনি যদি পুরোপুরি জেগে ওঠেন তাহলে বিছানায় শুয়ে না থেকে বরং উঠে পড়ুন এবং এমন কিছু একটা করুন যা আপনার মস্তিষ্ককে উত্তেজিত না করে বরং শান্ত করবে। তবে কম্পিউটার এবং মোবাইল ফোন এড়িয়ে চলুন।
আপনি যদি রাতে দেরি করে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাবে। তখন বার বার বাথরুমে যেতে হয়। আর তখন স্বভাবতই আপনার আরামের ঘুমটা ভেঙে যায়। তাই ঘুমানোর কমপক্ষে দুই থেকে তিন ঘণ্টা আগে রাতের খাবার সেরে ফেলুন।
ঘুম না আসলে স্মার্টফোন বা কম্পিউটার হাতে নিয়ে আমরা ইন্টারনেটের মধ্যে একেবারে ঢুকে যাই। এই প্রযুক্তি পণ্যগুলো থেকে বের হওয়া বেগুনি রশ্মি শরীরের মেলাটোনিন লেভেল কমিয়ে দেয়। ফলে ঘুম বাধাগ্রস্ত হয়। তাই ঘুমানোর কমপক্ষে একঘণ্টা আগেই এগুলো থেকে দূরে থাকুন।
ঘুম আসতে বেশি সমস্যা হলে তখন হালকা ব্যায়াম বা মেডিটেশন করতে পারেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মেডিটেশন ঘুমের জন্য দারুণ উপকারী। এটি ভালোভাবে নিঃশ্বাস নিতেও সহায়তা করে। সেই সঙ্গে অতীত কিংবা ভবিষৎ চিন্তা থেকে দূরে রেখে মনকে শান্ত থাকতে সাহায্য করে।
শেষরাতে ঘুম ভেঙে গেলে ঘড়ির দিকে তাকাবেন না। এর ফলে আর কয়েক ঘন্টা পরই ঘুম থেকে জেগে উঠতে হবে, বিছানা ছেড়ে দিতে হবে- এই চিন্তায় আপনার মানসিক চাপ বাড়বে। এতে ঘুম আরও নষ্ট হবে। দেখা যাবে সারারাত আপনার আর ঘুমই এলো না।
তবে কিছুতে সমাধান না হলে আপনাকে চিকিৎসকের কাছে একবার যাওয়া উচিৎ। তিনি আপনাকে সঠিক সমস্যার কারণ আর সমাধান দিতে পারবেন।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭