ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে গেলেই পতন?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 28/01/2019


Thumbnail

একজন রাষ্ট্রপ্রধান শক্তিধর কোনো দেশের বিপক্ষে গেলেই কি তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা সম্ভব? ইরাক, লিবিয়ার মতো দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র কিন্তু এটা করে দেখিয়েছে। লাতিন আমেরিকার বামপন্থী দেশগুলোতেও ধীরে ধীরে পশ্চিমাপন্থী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। এবার চিরাচরিত বামপন্থী ভেনেজুয়েলাতেও কি এর পুনরাবৃত্তি হতে যাচ্ছে?

যুক্তরাষ্ট্রের নাকের ডগায় থেকেই লাতিন আমেরিকার যে সরকার প্রধানরা এখনো বাম দুর্গ টিকিয়ে রেখেছেন নিকোলাস মাদুরো তাদের মধ্যে একজন। পূর্বসূরী হুগো শাভেজের দেখানো পথেই হাঁটছিলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরোধটাও বজায় রেখেছিলেন। এর শাস্তিই কি পেতে যাচ্ছেন মাদুরো?

যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে মাদুরোকে অবৈধ শাসক ঘোষণা করেছে। একই সঙ্গে মাদুরোর বিরোধী পক্ষের নেতা হুয়ান গুইদোকে দেশটির বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দেখানো পথে হেঁটেছে তাদের দোসর ইসরায়েলও। স্পেন, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য আবার একটু ভিন্ন পথ ধরেছে। দেশগুলো মাদুরোকে আট দিনের আলটিমেটাম দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে নতুন নির্বাচনের ঘোষণা না দিলে গুইদোকে প্রেসিডেন্টের স্বীকৃতি দেওয়ার হুমকি দিয়েছে তারা।

প্রশ্ন হলো, কারচুপির নির্বাচন তো অনেক দেশেই হয়। অবৈধভাবেও ক্ষমতা দখল করে রাখেন বহু রাষ্ট্রনায়ক। যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদেশগুলোতেও এমনটা অহরহই ঘটে। কিন্তু ক’জন রাষ্ট্রপ্রধানের ওপর খড়গহস্ত হয় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়? যুক্তরাষ্ট্র সবসময় সুষ্ঠু নির্বাচনের বুলি আওড়ায়। অথচ তাদের দেশের নির্বাচন নিয়েই রয়েছে নানা প্রশ্ন।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আঁতাত করেই ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পেয়েছিলেন এমন অভিযোগও রয়েছে। এ বিষয়ে কিছু কিছু প্রমাণও বেরিয়ে এসেছে। কিন্তু সেই নির্বাচন নিয়ে কি কোনো প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্বনেতারা? নাকি ট্রাম্পকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন তারা? এর কোনোটাই ঘটেনি। তাহলে ভেনেজুয়েলার নিকোলাস মাদুরোকে নিয়ে কেন সবার এতো মাথাব্যথা? এর কারণ কি এটাই, পশ্চিমা বিশ্বের বিরোধিতা করছেন তিনি?

ভেনেজুয়েলা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। মুদ্রাস্ফীতির নতুন সব রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। ডলারের বিপরীতে বলিভারের দরপতন হয়েছে ৯৫ শতাংশ। ইতিমধ্যে ভেনেজুয়েলায় সব ধরনের অর্থায়ন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে। মাদুরোর নিজের সহযোগীরাও তাঁর পক্ষ ত্যাগ করছেন। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ভেনেজুয়েলার শীর্ষ সামরিক প্রতিনিধি কর্নেল হোসে লুই সিলভা সদ্যই মাদুরোর ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করেছেন। তিনি সামরিক বাহিনীর সদস্যদেরও এই আহ্বান জানিয়েছেন। এতো প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও টিকতে পারবেন তো মাদুরো নাকি যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতাই পতন ঘটাবে তাঁর?

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/এমআর



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭