ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মেয়েদের জন্য কতটা নিরাপদ যুক্তরাষ্ট্র?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 29/01/2019


Thumbnail

মাত্র ১২ বছরের স্কুল বালিকা লিসা। পড়াশোনার চাপ আর মা-বাবার কড়া অনুশাসন থেকে বাঁচতে বাড়ি পালিয়েছিলে সে। কিন্তু কিছুদিন যেতেই এক অপরিচিত আর বীভৎস জগতে ঢুকে পড়তে বাধ্য হয় ছোট্ট মেয়েটি। যাদের ওপর ভরসা করে সে বাড়ি ছেড়েছিল তারাই ওকে জোর পূর্বক যৌন ব্যবসায় লিপ্ত করে। লিসা একা নয়, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিনিয়ত এই দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে হাজার হাজার কিশোরী কিংবা তরুণীকে।     

উন্নত বিশ্বের রোল মডেল যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ১০৭ সেকেন্ডে কেউ না কেউ যৌন নিপীড়নের শিকার হন। প্রতি বছর ধর্ষণের শিকার হন প্রায় ২ লাখ ৯৩ হাজার মেয়ে, যাদের বেশিরভাগের বয়সই ১২ বছরের মধ্যে। আর জোর করে যৌন ব্যবসায় নিয়োজিত করা বা সেক্স ট্রাফিকিংও হচ্ছে অহরহ। গত এক দশকে দেশটিতে ৩২ হাজারেরও বেশি সেক্স ট্রাফিকিংয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। যদিও বাস্তব চিত্র এরচেয়ে আরও ভয়াবহ।

সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, উন্নয়নের শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বেশিরভাগই জানে না যে সেক্স ট্রাফিকিং কী জিনিস। আর যারা এর শিকার হন তাদের মধ্যে খুব কমই এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শরনাপন্ন হন।

২০১৭ সালে শুধুমাত্র ফ্লোরিডাতেই ৪৭০ টি সেক্স ট্রাফিকিংয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস স্টাটিসটিকসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জোর করে যৌন ব্যবসায় নিয়োজিত মেয়েদের মধ্যে অর্ধেকই হলো, শেতাঙ্গ নয়তো হিস্পানিক। আর ৪০ শতাংশ হলো আফ্রিকান আমেরিকান। অর্থাৎ শেতাঙ্গ কিংবা কৃষ্ণাঙ্গ কোনো মেয়েই নিরাপদ নয় সেখানে।

যুক্তরাষ্ট্রের মহানুভবতা আর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে মার্কিনিদের যেন গর্বের শেষ নেই। আর আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের মানুষ তো মার্কিন মুলুককে নিরাপদ দেশের তালিকার একেবারের ওপরের দিকেই রাখে। কিন্তু আসলেই কি যুক্তরাষ্ট্র তাই? বিশেষ করে মেয়েদের জন্য কি সত্যিই নিরাপদ এই দেশ?

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭