ইনসাইড বাংলাদেশ

‘মনটা পড়ে থাকে এই বইমেলায়’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 01/02/2019


Thumbnail

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে তৎকালীন পাকিস্তান গোয়েন্দা বিভাগের গোপন নথি নিয়ে ‘সিক্রেট ডকুমেন্ট অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ শিরোনামে ১৪ খণ্ডের বইয়ের দ্বিতীয় খণ্ডের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করতে গিয়ে এই বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করেন তিনি।

আজ শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টায় বাংলা একাডেমিতে পৌঁছান তিনি। উদ্বোধনী মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর পাশে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত কবি শঙ্খ ঘোষ এবং মিশরের লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক মোহসেন আল-আরিশির। গ্রন্থমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে চারটি বিভাগে নির্বাচিত বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০১৮ প্রদান করা হয়। চার লেখকের হাতে বাংলা একাডেমি পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার পদক পেয়েছেন কবিতায় কাজী রোজী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাহিত্যে আফসান চৌধুরী, কথাসাহিত্যে মোহিত কামাল ও প্রবন্ধ-গবেষণা সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ।

পুরস্কার প্রধান শেষে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই আজকে সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় যারা পুরস্কার পেয়েছেন। তাদের আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন,‘ যারা গবেষণা করেন লিখেন, তারা আমাদের সমাজকে সমৃদ্ধি করে। তাদেরকে তো কোন মূল্যে বিচার করা যায় না। কিন্তু আমি চেষ্টা করবো সামনে সম্মানি ২ লাখ টাকা থেকে বাড়াতে। এ বছর ৪ জন পুরস্কার পেয়েছে। আগামী বছর আরও দশজনকে দেওয়া হবে।’

এরপর তিনি ‘সিক্রেট ডকুমেন্ট অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ বই নিয়ে আলোচনা করেন। সেখানে তিনি জানান, ‘পাকিস্তান ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ (আইবি) প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে তার কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করে রিপোর্ট পাঠাতো। এরই ভিত্তিতে বিনা বিচারে আটক, মামলাসহ নানামুখী নির্যাতন চলতো। ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর নামে স্পেশাল ব্রাঞ্চে খোলা ব্যক্তিগত ফাইলে সংরক্ষিত ডকুমেন্ট সংকলন করা হয়েছে। আমি মনে করি এটা আমাদের ইতিহাসকে জানার জন্য এক অমূল্য সম্পদ। এই বইটি আমাদের আরও সমৃদ্ধ করবে।’ এ সময় তিনি বইয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ঠ সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন,‘ ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমরা ক্ষমতায় থাকতেই এটা অর্জন করি। ইতিমধ্যে আমরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি। সকল মাতৃভাষা সংরক্ষনের ব্যবস্থা করেছি। বইমেলা শুধু বই কেনাবেচা নয়, বই মেলা হচ্ছে আমাদের প্রানের মেলা। যদিও আগে যখন ক্ষমতায় ছিলাম না, তখন এই মেলায় আসতাম। ঘুরে বেড়াতাম সারাদিন। এখন তো আর সেই সুযোগ নেই। আর আসতে গেলে অন্যেরও অসুবিধা হয়। আমার নিরাপত্তায় যে অন্যের অসুবিধা হবে, সেটা বিবেচনা করেও অনেক সময় আসা হয় না। কিন্তু সত্যি কথা বলতে, সবসময় মনটা পরে থাকে এই বইমেলায়।’

এরপর প্রধানমন্ত্রী মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। তার সঙ্গে ছিলেন শিল্প সাহিত্যের গুনী ব্যাক্তিত্বরা। 

এবারের বইমেলার প্রতিপাদ্য ‘বিজয়: বায়ান্ন থেকে একাত্তর (নবপর্যায়)’। একই সঙ্গে ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও ২০২১ সালে বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের যাত্রাও শুরু হয় এই মেলা থেকে।

প্রতিবছরের মতো একুশে গ্রন্থমেলা ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বইয়ের দোকানগুলো। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে।


বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭