ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অস্ত্র নয়, যুক্তরাষ্ট্রের ভয় চীনা শিক্ষার্থী!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 03/02/2019


Thumbnail

ভাবুন তো একটু, চীনের তৈরি জিনিস ছাড়া গত এক দশকে একটি দিনও কি কাটিয়েছেন আপনি? নিশ্চয়ই না। নিত্য-নতুন সব পণ্যসামগ্রী কিংবা অস্ত্র আবিষ্কার, এমনকি আনকোরা সব আইডিয়া উদ্ভাবনের ক্ষেত্রেও চীনের জুড়ি মেলা ভার। এবার জানা গেল, কেবলমাত্র পণ্যসামগ্রী বা ভয়ানক সব অস্ত্রশস্ত্রই নয়, গুপ্তচরবৃত্তিতেও নাকি নতুন তরিকা ব্যবহার করছে চীন। যুক্তরাষ্ট্রের ওপর গোয়েন্দাগিরির জন্য তারা পেশাদার, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গুপ্তচরের বদলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিশাল এক নেটওয়ার্ক তৈরি করছে। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, অত্যাধুনিক কোন মারণাস্ত্রের চেয়েও নাকি চীনা শিক্ষার্থীদেরই ভয় পেতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন এমনটাই বলছে।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর শুধু পড়াশোনার জন্যই ৩ লাখ ৫০ হাজার চীনা নাগরিকের আগমন ঘটে। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ পেশাগত খাত হিসেব করলে এ সংখ্যা আরও বেশি। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে চীনাদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। এমনটা নয় যে এরা অবৈধভাবে এই দেশে প্রবেশ করে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা তো কোনো সন্দেহের উদ্রেক না করেই মার্কিন ভিসা পেয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাল রেজাল্ট করায় এরা যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞান, অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজের সুযোগও পেয়ে যায়। এমন বহু চীনা শিক্ষার্থী আছেন, যারা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রজেক্টে গবেষক বা শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করছে।

বেশ কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তা সিএনএনকে জানিয়েছে, এই শিক্ষার্থীরাই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠেছে। চীনের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখে বলেও জানিয়েছেন তারা। এর প্রমাণও রয়েছে।

জি চাওকুন নামে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক ছাত্র ২০১৫ সালের আগস্টে চীনে একটি ইমেইল পাঠান। তার মেইলের সাবজেক্ট ছিল ‘মিডটার্ম টেস্ট প্রশ্ন’। কিন্তু দুই বছরেরও বেশি সময় পর মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই আবিষ্কার করে যে, ওই মেইলের মধ্যে পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনো বিষয় ছিল না। বরং জি চীনা গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন।   

এ বছর জানুয়ারির ২৪ তারিখে শিকাগোর ফেডারেল কোর্ট জি’কে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে অভিযুক্ত করে। স্থানীয় সময় শুক্রবার জি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আপিল করেছেন। বর্তমানে ডিটেনশন সেন্টারে থাকা জি’কে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি আবারও আদালতে হাজির করা হবে। সে কী শাস্তি পাবে সেটা পরের বিষয়। সবকিছু বাদ দিয়ে এখন সবচেয়ে যে প্রশ্নটি উঠছে তা হলো, চীনা শিক্ষার্থীরাই কি চীন-মার্কিন নীরব যুদ্ধে বেইজিংকে জয় এনে দেবে? নাকি ক্ষুদে চীনাদের ভয়ে গুটিসুটি মেরে যুক্তরাষ্ট্র চীন থেকে শিক্ষার্থীদের আগমনই বন্ধ করে দেবে?

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/এমআর



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭