ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফের ‘ধর্না’য় দিদি, প্রধানমন্ত্রিত্ব পাবেন কি?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 04/02/2019


Thumbnail

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে টানা ৩৫ বছরের বাম দুর্গ দুমড়েমুচড়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন তিনি। আর এখন পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে শেষকথা যেন একজনই। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিদি এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান ধর্মঘট তথা ধর্নায় বসেছেন। প্রায় এক যুগ আগে সিঙ্গুর এবং নন্দিগ্রাম ইস্যুতে মমতার লাগাতার ধর্মঘটই রাজনীতিতে তার পায়ের নীচে শক্ত মাটি এনে দিয়েছিল। রাজ্যের বাম সরকারের বিরুদ্ধে ওই ধর্মঘটগুলোই তাকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসিয়েছিল। এ কারণেই প্রশ্ন জাগছে, কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে এবারের ধর্না কি দিদিকে সরাসরি প্রধানমন্ত্রিত্বের সিংহাসনে নিয়ে যাবে?

মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনাকে অনেকেই তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেন। এর পেছনে যুক্তিও আছে। কারণ আঞ্চলিক একটি দলের নেতার কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। তবে বিজেপিকে হটাতে ভারতের বিরোধী দলগুলো একজোট হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। মমতা সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। কিন্তু তার যেমন প্রধানমন্ত্রিত্বের স্বপ্ন আছে, ঠিক তেমনি অন্ধ্র প্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডু, উত্তরপ্রদেশের মায়াবতী, অখিলেশ যাদব, তেলেঙ্গানার চন্দ্রশেখর রাও-এর মতো নেতারাও প্রধানমন্ত্রিত্বের স্বপ্নে বিভোর বলেই মনে হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, ভারতের সবচেয়ে বড় বিরোধী দল কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রিত্বের বড় দাবিদার। আর যার মধ্যে ইন্দিরা গান্ধিকে খুঁজে পায় আমজনতা, সেই প্রিয়াঙ্কাও এবার রাজনীতির ময়দানে সামনে থেকে লড়ছেন। এই অবস্থায় মমতার প্রধানমন্ত্রিত্বের সম্ভাবনা বোধ হয় একটু বাড়াবাড়িই বটে। কিন্তু এই সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দিতে দিচ্ছেন না স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই।

গতকাল রোববার রাতভর তিনি কলকাতার ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে ধর্মঘট করেছেন। তার অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে দেশের সব গণতান্ত্রিক কাঠামো ভেঙে ফেলছে। গণতন্ত্র রক্ষা করতে এবং দেশকে বাঁচাতেই তার ধর্না বলেই উল্লেখ করেছেন তিনি। আজ সোমবার বিধানসভায় বাজেট পেশের আগে প্রথামাফিক মন্ত্রিসভার বৈঠকটিও তিনি করছেন ধর্না মঞ্চের পাশের অস্থায়ী ছাউনিতে। সর্বশেষ সিঙ্গুর আন্দোলনের সময়ে ক্ষমতাসীন বাম সরকারের বিরুদ্ধে এই মেট্রো চ্যানেলেই ২৬ দিন অনশন ধর্মঘট করেছিলেন তিনি। ওই ধর্মঘট বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকারকে নড়বড়ে করে দিয়েছিল। 

মমতার এবারের ধর্নাও রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করছে। রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে ভারতের বিরোধী দলগুলোর প্রায় সব শীর্ষস্থানীয় নেতারাই মমতার পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। জাতীয় নির্বাচনের মাত্র মাস দুয়েক আগে মমতার এই ধর্মঘট ভারতের রাজনীতিতে বাড়তি উত্তাপ ছড়াচ্ছে। এ কারণেই প্রশ্ন উঠছে, দিদির এবারের ধর্না কি তাকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে নিয়ে যাবে? নাকি তা অলীক কল্পনাই হয়ে থাকবে?

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/এমআর



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭