লিভিং ইনসাইড

প্রিয়জনকে দিন সারপ্রাইজ উপহার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 12/02/2019


Thumbnail

কোনো দিবস এলেই হুড়োহুড়ি শুরু হয় কাকে কি উপহার দেওয়া যায়। নিঝুম অবশ্য কখনোই চিন্তা করে না বন্ধুর জন্মদিনে কি দেবে, বিবাহবার্ষিকীতে স্বামীকে কি দেওয়া যায়, সামনে মা দিবস-মাকে কীভাবে চমকে দেওয়া যায়। কারণ তার কাছে উপহারটা সবসময়ের। এই উপহার দেওয়ার জন্য তার কাছে কোনো দিবস জরুরি না একেবারেই। এই বিশেষ কিছু দিবস ছাড়াও সে আশেপাশের ব্যক্তিগুলোকে প্রায়ই কিছু না কিছু উপহার দিয়ে চমকে দিতে চেষ্টা করে। কারণ সবার মুখে হাসি ফোটানো, সঙ্গে নিজেরও খুশি হয়ে ওঠা।

উপহার মানেই প্রিয় মানুষটির মুখে একরাশ হাসির আভা। ধরুন আপনার সঙ্গীটি রাগ করেছে, কোনো উপায়েই তার রাগ ভাঙাতে পারছেন না। তাকে হুট করে চমকে দিন তার প্রিয় কোনো উপহার দিয়ে। এতে রাগ ভাঙবে, চোখের পানিও চলে যাবে। আবার আপনার বাবা-মাকে তাদের বিবাহবার্ষিকী, জন্মদিন বা বিশেষ কোনো দিবসে নিয়ম মেনে আপনি কোনো উপহার দেন। কিন্তু এই দিবস এলেই যে শুধু উপহার দিতে হবে, তা কেন? উপহার তো যখন তখনই দেওয়া যায়। সেটা হোক সামান্য কিছু, কিন্তু সেটার মাঝেও থাকবে একগুচ্ছ ভালোবাসা।

কেন হঠাৎ সারপ্রাইজ গিফট

উপহারকে কোনো দিবসের মধ্যে আটকে রাখবেন না। পছন্দের প্রিয় মানুষটি, যাকে আপনি ভালোবাসেন, তাকে তার পছন্দের জিনিস হুটহাট করে দিয়ে দেখুন সে চমকে যায় কি না।

বাবা-মায়ের মুখের হাসি অমূল্য। দিবসের বাইরেও তাদের সবচেয়ে প্রিয় সন্তান হিসেবে উপহার দিন। কোনো মতবিরোধ, অভিমান থাকলে তা মিটে যাবে তো অবশ্যই।

আপনার ছোট বা বড় ভাইবোনদের সঙ্গে ঝগড়া, মারামারি, খুনসুটি হয়তো লেগেই থাকে। কিন্তু তাদের যে আপনি ভালোও বাসেন, সেটাও বোঝাতে হবে তো।

পরিবার পরিজনের বাইরে যে মানুষগুলো আপনার জীবনের সবকিছু, সেই বন্ধুদের উপহার দিয়ে চমকে দিতে কি বন্ধু দিবস, ভালোবাসা দিবস বা জন্মদিনের প্রয়োজন হয় না। হুটহাট করে চমকে দিয়েই দেখুন না তা কতো খুশি হয়। এতে করে বন্ধুত্বের টানটা আরও শক্ত হয়, ভালোবাসা বাড়ে, অভিমান কমে যায়।

উপহার দেওয়া মানেই হলো কাউকে তার গুরুত্ব বোঝানো। আপনি কোনো দিবসে উপহার দেওয়ার অর্থ কিন্তু ভিন্ন। কেননা সবাই জানে আজ উপহার পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু হুট করে উপহার দেওয়া মানে আপনি সবসময়েই তার কথা ভাবেন। এই আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়ার মধ্যেও আনন্দ আছে। প্রিয়জনের আনন্দকে আজ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে আপনার দেওয়া একটি ছোট্ট গিফট।

কি দেবেন উপহার

উপহার বাছাইয়ে আপনাকে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে হবে। যাকে গিফট দিবেন তার পছন্দ অপছন্দের দিকে খেয়াল রেখে উপহার কিনতে হবে। আর সেটির উপস্থাপনও যেন হয় নান্দনিক-আকর্ষণীয়। 

মাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন। তাকে দিতে পারেন শাড়ি, প্রিয় লেখকের বই। বাবাকেও বই, ঘড়ি, লেখার জন্য কলম কিনে দিন। দুজনের জন্য ছবি বাধাই করেও সুন্দর ফ্রেমে দিয়ে দিতে পারেন। তাদের জন্য নতুন কোনো চশমা বা ফ্রেম কিনে দিন। মাঝেমাঝে তাদের হুট করে কোথাও ঘুরতে নিয়ে যান। দেখবেন তারা কেমন খুশি হয়।

আপনার প্রিয় সঙ্গীকে খুশি করতে চান? তাকে হুটহাট অনেক কিছুই কিনে দিতে পারেন। স্ত্রী বা প্রেমিকা অভিমান করুক বা কিছু না চাইলেও মাঝেমাঝে ফুল তো দিতেই পারেন। তাদের গয়না খুব পছন্দের হয়, সেগুলো দিন। পোশাক আশাকের পাশাপাশি ভিন্ন কিছু দেওয়ার চেষ্টা করুন। মেকআপ কিট, পছন্দের ব্যান্ডের লিপস্টিক, পার্স, সানগ্লাস, হেয়ার স্ট্রেইটনার কিনে দিতেই পারেন যখন তখন বা তার প্রয়োজনে। স্ত্রী আপনার ঘরে ফেরার অপেক্ষা করতে করতে ক্লান্ত, দরজা খুলে আপনার হাতে একগোছা ফুল দেখলে তার মুখের হাসি আপনার সবকিছু ভুলিয়ে দিতে পারবে।

স্বামী বা প্রেমিককেও তো চমকে দিতে ইচ্ছে করে। কোনো বই বা ডায়রি পছন্দ হয়ে গেলে কিনে ফেলুন। তাকে উপলক্ষ্য ছাড়াই দিন। চাবির রিং, মানিব্যাগ, পারফিউম, শার্ট, মগ কিনে দিন। দেখুন কতো সুন্দর হয় সম্পর্কটা।

বন্ধুদের কি উপহার দেবেন তার কোনো বাধাধরা নিয়ম নেই। যখন যা খুশি। একট ছোট চিপসের প্যাকেট থেকে শুরু করে দিতে পারেন কলম, বই, কার্ড, গানের কোনো কালেকশন, শোপিস, ফুলদানি আরও কতো কি।

সহকর্মীও তো জীবনের অন্যতম একটি অংশ। তাদেরকেও মাঝেমাঝে চমকে দিন। তাদের কোনো ক্যালেন্ডার, ডায়রি, কলম, কফি মগ বা ফরমাল কোনো উপহার দিন মাঝেমাঝে। এই উপহারের মাধ্যমে সহকর্মীর সঙ্গে আপনার সম্পর্কের উন্নয়ন হবে। সহকর্মী আপনার উপহারগুলো মনে রাখবে।

ভাইবোনকে চকলেট, স্টিকার, খেলনা শোপিস, জামা, জুতো, ব্যাগ, ঘড়ি, বইখাতা যা মন চায় দিতে পারেন।

 

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭