কালার ইনসাইড

স্ক্যান্ডালের পরে ফেরা যায়?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 15/02/2019


Thumbnail

২০১১ সালে মডেল ও উপস্থাপিকা চৈতির একটি আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশ হয়। নির্মাতা এনামুল করিম নির্ঝরের সঙ্গে ওই ভিডিওতে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায় এই মডেলকে। মোবাইলে ধারণ করা হয়েছিল ভিডিওটি। এই আপত্তিকর ভিডিও চিত্রটি প্রকাশের পরপরই তুমুল সমালোচনার মধ্যে পড়েন চৈতি। চৈতী নেই হয়ে যায় মিডিয়া থেকে। আর কেউ তার কোন খোঁজ দিতে পারে না। শোনা যায় তিনি এক প্রবাসীকে বিয়ে করে দেশের বাইরেই আছেন দীর্ঘদিন। উল্লেখ্য, শোনা যায় সে সময় চৈতীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেও, নির্ঝর সম্পর্ক গড়ে তোলে আরেক অভিনেত্রী তানজিকার সঙ্গে। আর এতেই কৌশলে নাকি চৈতি এমন ভিডিও ফাঁস করে। তবে সে যাই হোক- নির্ঝর ঠিকই বিয়ে করে চলেছে নিয়মিত। সম্ভাবনাময়ী উপস্থাপিকা চৈতি হারিয়ে গেল।

মিডিয়াতে সত্য মিথ্যা প্রচুর স্ক্যান্ডাল প্রকাশ পেয়েছে। যেমন প্রভার ভিডিও নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। প্রভার ভিডিও প্রকাশ পেলে অনেকদিনের জন্য আড়ালে চলে যান এ অভিনেত্রী। যখন ফেরে তখন কেউ তাকে গ্রহণ করতে চায়নি। প্রভা নিজেই নানা সময়ে বলেছেন, আমার পরিচিতজনদের কাছে মেসেজ ফোন দিয়ে কাজ চেয়েছি। কিন্তু তারা আমাকে বুঝিয়েছে বুঝোই তো। এরই মধ্যে কয়েকজন সাহস করে কাজ দিয়েছে। যার ফলে প্রভা এখনো নিয়মিত। কিন্তু প্রভারে সেই জৌলুস নেই। প্রথম সারির অভিনেত্রী থেকে মুহূর্তেই প্রভা হয়ে যান তৃতীয় সারির অভিনেত্রী।

অনেক সম্ভাবনা নিয়ে এসেছিলেন নায়িকা কেয়া। মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘কঠিন বাস্তব’ ছবিতে আমিন খানের সঙ্গে প্রথম অভিনয়। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৪। এরপর টানা প্রায় ডজন দুয়েক ছবিতে অভিনয় করেন। দেশের প্রথম সারির সব নায়কের সঙ্গে অভিনয় করেন। দেশের নামকরা ব্রান্ডের মডেল হন। সাফল্য যখন তার পিছু নেয় ঠিক তখনই রহস্যজনকভাবে তিনি আড়াল হয়ে যান। জড়িয়ে যান ব্যক্তিগত জীবনের ঝুটঝামেলায়।

একাধিক প্রযোজকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন রোমান্সে। তাদের মধ্য থেকে জুবায়ের নামের এক ধনকুবেরের হাত ধরে পাড়ি দেন আমেরিকা। কিন্তু দুবছর ঘুরবার আগেই সেই সম্পর্কে ইতি টেনে দেশে ফিরেন। দেশে এসে কাজ করবেন বলে ঘোষণাও দেন। বেশ কয়েকটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হন। কিন্তু তিনি ফের গায়েব। ঢাকার কাকরাইলের বাবুল নামের এক গাড়ি ব্যবসায়ী আবার বিয়ে করে চলে যান স্বেচ্ছা নির্বাসনে। সে বিয়েও টিকলো না। জোট সরকারের আমলে তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের সঙ্গেও গড়ে উঠেছিল কেয়ার ঘণিষ্ঠতা।

কিন্তু একদা কেয়াকে আবিস্কার করা হয় অন্ধকার জগৎ থেকে। অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। সেই যে কেয়া গেল। আর ফিরে আসতে পারেনি। কেয়ার সম্ভাবনা ছিল নায়িকা নাম নিয়ে উজ্জল থাকার।

তিন্নির তো একের পর এক স্ক্যান্ডাল। সবগুলো তিনি নিজেই ঘটিয়েছেন। তিন্নি নানা কারণে আর ফিরে আসতে পারেননি। মাহিয়া মাহিও জীবনে কম রটনা রটায়নি। হঠাৎই জাজের সঙ্গে আর ছবি করবেন না ঘোষণা দিয়ে আমেরিকা চলে যান। এর পরপরই ইউটিউবে চলে আসে একটি সেক্স ভিডিও। ভিডিওর মেয়েটি মাহি বলে অভিযোগ ওঠলে তা ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। ওই সময়েই প্রযোজক আরশাদ আদনানের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন ওঠে। আরশাদ আদনানের দুটি ছবিতে মাহি অভিনয় করছেন বলে খবর চাউর হয়। এমন সময় আরশাদ আদনানের সঙ্গে মাহির গোপন অভিসার, সেক্স স্ক্যান্ডালের দোহাই দিয়ে প্রযোজনা সংস্থা জাজ মাল্টিমিডিয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে মাহি। কিন্তু জাজই আবার সে মাহিকে ফিরিয়ে আনে। আড়ালে চলে যায় মাহির স্ক্যান্ডালও।


প্রিয় তারকা নির্ভেজাল থাকুক এটাই ভক্তদের কামনা। কিন্তু মাঝে মাঝেই ভক্তদের চোখকে অবাক করে দিয়ে স্ক্যান্ডাল ও বিতর্কের শিরোনাম হয়ে ওঠেন তারা। অনেক তারকারাই এই স্ক্যান্ডলের জেরে আলোচনায় আসেন। পরিচিত সাংবাদিকদের দিয়ে নিজের গুঞ্জন নিজেই রটায়। আবার অনেকের কাছের মানুষ জনই ক্ষোভ নিয়ে ছড়ায়। সে যাই হোক, এসব স্ক্যান্ডাল তারকাদের অসুখের কারণই বেশি হয়। নিজেদের স্ক্যান্ডালের দিক নিজেরই সচেষ্ট হওয়া উচিত।


বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭