কালার ইনসাইড

কারাগারে ছিলেন যে তারকারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 16/02/2019


Thumbnail

অপরাধী যতই প্রভাবশালী হোক, আইনের কাছে সকলেই সমান। এটাই আইনের মূল কথা। আর তাই তো অপরাধ করে আইনের চোখ ফাঁকি দিতে পারে না তারকারাও। নানা অপরাধে ফেঁসেছেন তারকারা। কেউ আবার অহেতুক হয়রানির শিকার, কেউবা অনিচ্ছাকৃত ভুলে জড়িয়ে পড়ছেন পুলিশি ঝামেলায়। হলিউড -বলিউডে এমন ঘটনা নিয়মিত ঘটে। সে তুলনায় বাংলাদেশে খুব একটা ঘটেনা এমন ঘটনা।

গত বছর গায়ক আসিফ আকবর ঘুরে আসলেন জেল হাজত থেকে। আইসিটি আইনে গীতিকার, সুরকার ও গায়ক শফিক তুহিনের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আসিফ। রাত দেড়টার দিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল আসিফকে মগবাজারে তাঁর অফিস থেকে গ্রেপ্তার করে। হইচই পরে যায় মিডিয়া পাড়ায়। পাঁচদিন কারাবাসের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন এ শিল্পী। ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় চার্জ‌শিট দা‌খিল পর্যন্ত তার জা‌মিন মঞ্জুর করা হ‌য়। সেই মামলা এখনো চলছে।

ব্যান্ড তারকা জেমসও একবার ঘুরে এসেছিলেন জেলখানা থেকে। ২০০১ সালে ডিভোর্স হয়ে যায় মডেল রথির সঙ্গে। সম্পর্কে জড়িয়ে পরেন বেনজীর নামের এক অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের সঙ্গে। ১৮ বছর হওয়ার আগেই বিয়ে করেন বেনজীরকে। সে সুবাধে জেলও খাটতে হয় এই শিল্পীর। বেনজীরের বাবা মা কেস করে দেন শিল্পীর নামে।

তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা একটি মামলায় সংগীত পরিচালক ও গায়ক শওকত আলী ইমনও কারাবরণ করেছিলেন। ইমনের সাবেক স্ত্রী জিনাত কবির তিথির তথ্যপ্রযুক্তি আইনে (আইসিটি অ্যাক্ট) মামলা করেন। এই মামলায় ইমনের বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ইমন কৌশলে তাঁর আপত্তিকর ছবি তোলেন। ছবিগুলো ইমনের ব্যক্তিগত ল্যাপটপ ও মোবাইলে রয়েছে। পরে টাকা দাবি করে ইমন। কিন্তু তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করায় সেসব ছবি ফেক আইডির মাধ্যমে ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন ইমন। ইমন এ অভিযোগে জেল খেটেছিল পাঁচদিন। পরবর্তীতে অবশ্য মিমাংসা করা হয়।

রাজধানীর পান্থপথে বসুন্ধরা সিটির উল্টো দিকের রাস্তায় গাড়িচাপায় গুরুতর আহত হন প্রথম আলো পত্রিকার প্রধান ফটো সাংবাদিক জিয়া ইসলাম। তাকে গাড়িচাপা দেওয়ার অভিযোগে মামলা হয় অভিনেতা কল্যাণ কোরাইয়ার বিরুদ্ধে। গ্রেপ্তারের পর কয়েকদিন জেলের ঘানিও টানতে হয় তাকে। তবে গতবছরের শেষের দিকে মামলা থেকে বেকসুর খালাস পান তিনি।

ডিপজল বেশ কয়েকবার জেল খেটেছেন। অস্ত্র আইন মামলায় তো জেল খেটেছেনই। তবে সবচেয়ে আলোচনায় এসেছিল পুলিশ পেটানোর ঘটনা। পুলিশ পিটিয়ে ১২ দিন পালিয়ে ছিলেন। ১২ দিন পর নিজেই ধরা দিয়েছিলেন।

রাজধানীর গাবতলীতে ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য করে যাওয়ার সময় গাড়ি আটকালে ডিপজল এক ট্রাফিক কনস্টেবলকে মারধর করেন। ওই সময় তিনি ট্রাফিক কনস্টেবলকে অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখান বলেও অভিযোগ রয়েছে। পরে তাকে জেলহাজতে নেওয়া।

ঢালিউডের গ্লামারাস নায়িকা এবং বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন চিত্রের মডেল কেয়াও গুলশান থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। গুলশানের নিকেতনের একটি বাড়ি থেকে তাকে অনৈতিক কাজে অংশগ্রহণের অভিযোগে আটক করে পুলিশ।  বেশকিছুদিন জেল খেটেছিলেন এ নায়িকা।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভ ভিডিওতে এসে গুজব সৃষ্টি করে অভিনেত্রী নওশাবা। র‌্যাব তাতে গ্রেপ্তার করে। রিমান্ডেও নেওয়া হয়। বেশকিছুদিন জেল খেতে নওশাবার স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সঙ্গীতশিল্পী এফ এ সুমনকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কুমিল্লার এক তরুণী (১৬) সুমনের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। তরুণী জানায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে। কয়েকদিন পরে অবশ্য মেয়ে কেস উঠিয়ে নেয়। তবে তার আগে সুমন জেল খেটেছেন ১০ দিনের মত।

স্ত্রীর করা নারী নির্যাতনের মামলায় মডেল-অভিনেতা কাজী আসিফও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ১৫ দিন জেল খেটে জামিনে মুক্ত হন তিনি। পরবর্তীতে আসিফ তার স্ত্রীর নামে মামলা করেন। যে মামলা এখনো চলছে। আসিফের বিরুদ্ধে করা মামলায় সে খালাস পায়।


বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭