কালার ইনসাইড

এখনই সময় সিনেমা নির্মাণের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 18/02/2019


Thumbnail

অচেনা অনেক মুখ সিনেমার নির্মাতা হয়ে যান। চেনা মুখরা কবে সিনেমা নির্মাণ করবেন? একটু খোলাসা করলে, প্রতিবছরই এমন অনেক পরিচালক সিনেমা নির্মাণ করেন, যাদের তেমন কেউ চেনেন না। এরমধ্যে গুটিকয়েক ভালো কাজ উপহার দিলেও বেশিরভাগের কাজ থাকে না আলোচনায়। আর আলোচনায় না থাকার সুবাধে হারিয়ে যেতেও সময় লাগে না। এরই প্রেক্ষিতে বলা যায়, আমাদের ছোট পর্দার জনপ্রিয় নির্মাতারা কেন সিনেমা বানাচ্ছেন না?

ক্ষতি কী?

সিনেমা নির্মাণের জন্য যে নাটকের কাজ আগে করতে হবে এমন কথা নেই। বিশ্বের নামকড়া খ্যাতিমান নির্মাতারা যে এই নিয়ম অনুসরণ করছেন তাও বলা যায় না। তবে আমাদের দেশে, সিনেমার জন্য টেলিভিশন মিডিয়ার দিকে অনেকেই চেয়ে থাকেন। কারণ এখান থেকে অনেক গুনী মানুষ এসে সিনেমায় উজ্জল দৃষ্টান্ত রেখেছেন। সেটা অভিনয়ের ক্ষেত্র হোক কিংবা পরিচালনা। সিনেমায় আসার জন্য ছোটপর্দাকে পাইপ লাইনও অনেকে মনে করতে পারেন। বড়পর্দা ও ছোটপর্দার রয়েছে অনেক তফাৎ। মূল যে তফাৎ, ছোটপর্দায় আপনার নাটকটি বানিয়ে অপেক্ষা করতে হবে না সেটা দর্শক দেখবে কিনা। কিন্তু কেউ সিনেমা বানালে অবশ্যই তার ভাবতে হবে, এটা দর্শক পছন্দ করবেন কিনা। কারণ এর উপরই রুটি রুজি অপেক্ষা করে।  আর সিনেমার যে বর্তমান অবস্থা, তাতে একজন নির্মাতা ছয়মাস বসে সিনেমা নির্মাণ করলে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ারই সম্ভাবনা বেশি। অনেকে ভাবেন, তার চেয়ে নাটকই ভালো। এখন তো নাটক প্রচারের কত মাধ্যম বের হয়েছে। নাটক কিংবা বিজ্ঞাপন, যে ক্ষেত্রেরই তিনি নির্মাতা হোক না কেন, এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না যে তিনি সিনেমা নির্মাণ করতে ইচ্ছুক নয়।  

ইদানিংকালে আলোচনায়: ছোট পর্দা থেকে ইদানিংকালে যারা সিনেমা নির্মাণ করছেন। তারা প্রায় সবাই আলোচনায়। তাঁরা সিনেমা নির্মাণ করতে এলে আওয়াজটাও বেশ হয়। কারণ অনেকদিন ধরে সবাই তাকে চেনে। এমনকি মিডিয়ার কাভারেজও বেশ মেলে। গিয়াস উদ্দীন সেলিম, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, সালাহউদ্দীন লাভলু, মুরাদ পারভেজ, অমিতাভ রেজা, দিপংকর দীপন, তৌকির আহমেদ, অনিমেষ আইচ, মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ, রেদওয়ান রনি, শিহাব শাহিন, মেহের আফরোজ শাওন, বদরুল আনাম সৌদ, শামীম আহমেদ রনি, অনম বিশ্বাসরা ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দায় নাম লিখিয়েছেন। তারা সবাই বেশ ভালোও করেছেন এ মাধ্যমে। এদের মধ্যে অনেকেই এক দুই ছবি করেই আলোচনায় এসেছেন। আবার এক দুই ছবি করেই ক্লান্ত হয়ে গেছেন। ফের ছোটপর্দা ব্যস্ত হয়েছেন, ওই যে সিনেমার ব্যবসা ভালো না। তারপরও তো মানুষ সিনেমায় নাম লেখাতে চায়। 

ঘোষণা দিয়েছেন:

ছোট পর্দার অন্যতম সফল ও জনপ্রিয় নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। দীর্ঘ দেড় যুগের ক্যারিয়ারে তিনি ৩৮৫টি একক নাটক ও ১৮টি ধারাবাহিক নাটক পরিচালনা করেছেন। দেশের নারী নির্মাতাদের ক্ষেত্রে এটাই সর্বোচ্চ। গুণী এই নির্মাতা এবার আসছেন চলচ্চিত্র পরিচালনায়। ঘোষণা দিলেন তার প্রথম সিনেমার কথা। এর নাম হবে `বিশ্বসুন্দরী’।

মুক্তির অপেক্ষায়: প্রথমবার সিনেমা নির্মাণ করছেন নন্দিত নির্মাতা গোলাম সোহরাব দোদুল। ‘সাপলুডু’ নামের সিনেমায় ছোটপর্দার একঝাক তারকা শিল্পী অভিনয় করেছেন। আরিফিন ‍শুভ ও বিদ্যা সিনহা মিম আছেন প্রধান দুই চরিত্রে।

‘ছায়াফেরী’, ‘যে জীবন ফড়িংয়ের’,‘রোদ মাখা সূর্যমুখী’, ‘অর্থহীন মানিপ্ল্যান্ট’, ‘কাগজ কার্বনের সম্মোহন’, ‘কালো বরফ জমাট অন্ধকার’, ‘ধুলোর মানুষ মানুষের ঘ্রাণ’সহ অসংখ্য নাটক নির্মাণ করেছেন এ সময়ের আলোচিত নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। এবার চলচ্চিত্র পরিচালনা করছেন তিনি। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্রের নাম `ঊনপঞ্চাশ বাতাস`। ছবিটির দৃশ্যধারণ শেষ হয়েছে। এখন মুক্তির অপেক্ষায় আছে।

মাহমুদ দিদারের ‘বিউটি সার্কাস’ মুক্তির অপেক্ষায় আছে।

এখনি সিনেমা নির্মাণের সময়:

অনেকেই মনে করছেন, একটা প্রজন্ম আসলে চেহারা পাল্টে যাবে সিনেমার। যারা ছোটপর্দা কিংবা বিজ্ঞাপনে নিজেদের নাম উজ্জল করে রেখেছেন। এরমধ্যে আশফাক নিপুন, শাফায়েত মনসুর রানা, আদনান আল রাজিবরা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও নানা সময়ে বলেছেন সিনেমা নিয়ে ভাবছেন তাঁরা।

পরিচালক কৌশিক শংকর দাস বহু জনপ্রিয় নাটক নির্মাণ করেছেন। আরও আগেই তার সিনেমা নির্মাণে হাত দেওয়ার কথা ছিল বলে তার ভক্তরা মনে করেন। সুমন আনোয়ার, মেজবাউর রহমান সুমন, মাহফুজ আহমেদরাও ছোটপর্দার বেশ জনপ্রিয় নির্মাতা। এ সময়ের অন্যতম আলোচিত নির্মাতা মিজানুর রহমান আরিয়ান, মাবরুর রশীদ বান্নাহরা। তাদের যে বিশাল ভক্ত শ্রেনী। তাদের জন্য সিনেমা নির্মাণ নিয়ে ভাবতে পারেন। সবারই কথা, এখনই নয় কেন সিনেমা?  


বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭