ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান; কার শক্তি কত বেশি?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 19/02/2019


Thumbnail

কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় অর্ধশতাধিক সেনা সদস্য নিহতের ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়ছে ভারত। এ ঘটনায় সরাসরি পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করে নানা হুমকি-ধমকি দিচ্ছে ভারত। সামরিক বাহিনীকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাকিস্তানও কিন্তু বসে নেই। ভারত থেকে তাদের হাইকমিশনারকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, দুই দেশের মধ্যে ভয়াবহ যুদ্ধের আশঙ্কা করছেন অনেকে। যদি এই আশঙ্কাই সত্যি হয়, তবে পাক-ভারত যুদ্ধে জিতবে কে? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া মুশকিল। কিন্তু দুই দেশের যুদ্ধে যে বিষয়টি সবচেয়ে বড় হয়ে ওঠে তা হলো, সামরিক শক্তিতে কে কত এগিয়ে আর কার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কত দুর্ভেদ্য। চলুন দেখে নিই পাক-ভারতের সামরিক শক্তির হিসাব-নিকাশ।  

বর্তমানে সামরিক শক্তির বিচারে বৈশ্বিক র‍্যাংকিংয়ে পাকিস্তান আছে ১৭’তে। আর ভারত ৪-এ। এ থেকেই ভেবে বসবেন না যে, সামরিক শক্তিতে দিল্লীর চেয়ে দুর্বল ইসলামাবাদ। কারণ পাকিস্তানের এমন কিছু বিধ্বংসী অস্ত্র-শস্ত্র আছে যা ভারতের প্রতিরোধকে ধসিয়ে দিতে পারে। আবার ভারতের এমন কিছু ক্ষেপণাস্ত্র আছে যা পাক সেনা শিবিরকে ধুলিস্যাৎ করে দিতে পারে।

বর্তমানে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য প্রায় ৯ লাখ ১৯ হাজার। অন্যদিকে ভারতের সামরিক সদস্য সংখ্যা ৪২ লাখ ৭ হাজার। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাজেট প্রায় ৭০০ কোটি ডলার। আর ভারতের প্রতিরক্ষা বাজেট ৪ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। পাক বাহিনীর ঘাটিতে এয়ারক্রাফট আছে ১ হাজার ২৮১টি। ভারতের আছে ২ হাজার ১৮৫। ট্যাঙ্কের সংখ্যায়ও এগিয়ে ভারত। তাদের আছে ৪ হাজার ৪২৬ টি ট্যাঙ্ক। আর পাকিস্তানের আছে ২ হাজার ১৮২টি। অবশ্য সংখ্যা দিয়েই শক্তি বুঝতে যাওয়াটা বোকামীই বটে। 

পাকিস্তানের কাছে আছে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ছয় ধরনের ব্যালাস্টিক মিসাইল। এছাড়া স্বল্পপাল্লার শাহীন-১ ও মাঝারিপাল্লার শাহীন-৩। এছাড়া স্থলভূমিতে আক্রমণের জন্য হাতফ-৭ আর আকাশসীমায় ক্ষেপণযোগ্য হাতফ-৮ এর মতো বিধ্বংসী ক্রুজ মিসাইলও আছে পাক ঘাঁটিতে।

অন্যদিকে ভারতীয় বিমান বাহিনীর হাতে আছে সুখোই-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমান। রাশিয়াতে তৈরি এই মাল্টিরোল ফাইটার জেটটি পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষিপ্র এবং বিধ্বংসী ফাইটার জেটগুলোর একটি। পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগামী ক্রুজ মিসাইল ব্রাহ্মসও রয়েছে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর ঘাঁটিতে। ব্রাহ্মস বাতাসে শব্দের গতিবেগের চেয়ে চার গুণ বেগে লক্ষ্যবস্তুর দিকে ছুটে যেতে পারে। ফলে পাকিস্তানের রাডারে ধরা পড়লেও মাঝ পথে একে আটকে দেয়াটা অত্যন্ত কঠিন। 

পাকিস্তানের রয়েছে ৫টি সাবমেরিন। ভারতের আছে ১৬টি। এর মধ্যে আইএনএস অরিহন্ত নামের একটি নিউক্লিয়ার সাবমেরিন। পরমাণু শক্তিচালিত এই ডুবোজাহাজটি শুধু টর্পেডো নয়, ব্যালিস্টিক মিসাইল দিয়ে ৩৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে পরমাণু আক্রমণ চালাতে সক্ষম। এছাড়াও পারমানবিক শক্তিধর এই দুই দেশের সামরিক ঘাঁটিতে এমন কিছু বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র আছে যেগুলো শত্রুপক্ষকে পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম। একারণেই বিশ্লেষকরা বলেন, পাক-ভারত যুদ্ধ হলে একটি নির্দিষ্ট পক্ষ জয়ের থেকে দুই পক্ষের ধ্বংসের আশঙ্কাই বেশি।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/এমআর



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭