ইনসাইড বাংলাদেশ

বেজমেন্ট রাসায়নিক কনটেইনার ভর্তি, আগুন হত আরও ভয়াবহ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 22/02/2019


Thumbnail

রাজধানীর চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া ওয়াহেদ ম্যানশনের বেজমেন্টে বেআইনিভাবে রাখা শতশত রাসায়নিক বস্তা ও কনটেইনার বেআইনিভাবে এখনও মজুত আছে। আজ এই কনটেইনারগুলো দেখা যায়। আগুন বিল্ডিংয়ের উপরের দিকে লাগলেও বেজমেন্টে আসেনি। ধারণা করা হচ্ছে, কোনমতে যদি আগুন বেজমেন্টে আসতো তাহলে আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতো। বিস্ফোরণের মাত্রা হতো অকল্পনীয়।

আজ বেজমেন্ট দেখা মেলে শত শত ড্রাম, বিভিন্ন কন্টেইনার ও প্যাকেটে নানা ধরনের কেমিক্যাল। রং তৈরিতে ব্যবহৃত হতো এসব কেমিক্যাল, পাউডার এবং লিকুইড। কেমিক্যালে ভরপুর পুরো বেসমেন্ট। যেসব পাউডার উচ্চ দাহ্য ক্ষমতা সম্পন্ন রাসায়নিক দ্রব্য।

এই ভবনটিতে শুধু অননুমোদিতভাবে রাসায়নিক মজুত করা হয়েছে তাই নয়, এমনকি মজুত করার ক্ষেত্রে মানা হয়নি কোনো নিয়মকানুনও। এই বেজমেন্টে যে ধরনের রাসায়নিক রয়েছে, যেগুলোর অধিকাংশই ডাইয়িং এবং প্রিন্টিং-এর কাজে ব্যবহৃত হতো।

স্বাভাবিক নিয়মে বেজমেন্টে কার পার্কিং থাকার কথা, সেখানে গোডাউন করা হয়েছে, এমনকি গোডাউনে মালপত্র রাখার যেসব নিয়ম কানুন রয়েছে সেগুলোও মানা হয়নি।

এর আগে তদন্ত কমিটি জানিয়েছেন, চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ওয়াহেদ ম্যানশনসহ বেশ কয়েকটি দোকানে বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক মজুত থাকায় অগ্নিকাণ্ড ভয়াবহ রূপ নিয়েছিলো।

শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা। পরে এক ব্রিফিংয়ে তারা জানান, ওয়াহেদ ম্যানশনে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিলো না এবং এর আয়তন অনুযায়ী বের হওয়ার পথও ছিল সীমিত। দোতলাটা পুরোটাই গোডাউনে ভর্তি, অগ্নি নির্বাপণের ব্যবস্থা নেই বললেই চলে।

 

বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭