ইনসাইড গ্রাউন্ড

শেষ বলের নায়ক যাঁরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 22/02/2019


Thumbnail

এক বলে দরকার ছয় ৬ রান। এমন সমীকরণ মিলিয়ে দলকে জেতানোর ঘটনা মাত্র দু’টি। তবে শেষ বলে ছক্কা খেয়ে ম্যাচ হারার ঘটনা আছে বেশকিছু। এর মধ্যে দুটি আবার বাংলাদেশের বিপক্ষে।

শিবনারায়ণ চন্দরপল (পোর্ট অব স্পেন, ২০০৮)

জয়ের জন্য শেষ বলে ছয় রান প্রয়োজন। এমন সমীকরণ প্রথম মেলান ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল। মূলত ধীরে ধীরে ইনিংস বড় করার জন্য বেশি পরিচিতি ছিলো বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানে। ২০০৮ সালে ঐ ম্যাচে তাঁকে ভিন্নভাবে চিনলো শ্রীলংকা। জয়ের জন্য ম্যাচের শেষ বলে প্রয়োজন ছিলো ছয় রানের। চামিন্দা ভাসের করা শেষ ওভারের শেষ বলটিকে বাউন্ডারির সীমানা ছাড়া করেন ক্যারিবিয় এই ব্যাটসম্যান। স্মরণীয় এক জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

জাভেদ মিয়াঁদাদ (শারজা, ১৯৮৬)

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই বাড়তি উত্তেজনা। আর সেবার উত্তেজনা ছিল একটু বেশিই। তাই লড়াইটাও ছিল জমপেশ। টুর্নামেন্টের ফাইনালে শেষ বলে পাকিস্তানের দরকার ছিল ৪ রান। ভারতের চেতন শর্মার করা শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে পাকিস্তানকে শিরোপা জেতান জাভেদ মিয়াঁদাদ।

ল্যান্স ক্লুজনার (নেপিয়ার, ১৯৯৯)

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের শেষ বলে জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল চার রানের। বল হাতে কিউইদের ভরসার নাম ডিওন ন্যাশ। কিন্তু হার্ড হিটার ক্লুজনার ছিলে দুর্দান্ত ফর্মে। নেপিয়ারের ছোট মঠে ডানহাতি মিডিয়াম পেসারের শেষ বলকে বাউন্ডারি ছাড়া করতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি ক্লুজনারের।

ব্রেন্ডন টেইলর (হারারে, ২০০৬)

বাংলাদেশের জিম্বাবুয়ের সফরের চতুর্থ ওয়ানডে ম্যাচ। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-১ পিছিয়ে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে ২৩৭ রান করে বাংলাদেশ। বোলিংয়ে নেমে প্রতিপক্ষকে ভালো চাপে রেখেছিল টাইগাররা। কিন্তু সেদিন ভাগ্যদেবী ছিলেন ব্রেন্ডন টেইলরের সঙ্গে। ম্যাচের শেষ ওভারে জিম্বাবুয়ের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। প্রথম পাঁচ বলে ১২ রান দেন মাশরাফি। শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা।

রায়ান ম্যাকলারেন (পচেফস্ট্রুম, ২০১৩)

ক্লুজনারের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেই এক ঘটনার পুনরাবৃত্তি করেন দক্ষিণ আফ্রিকার রায়ান ম্যাকক্লারেন। বোলার জেমস ফ্র্যাংকলিনের করা শেষ ওভোরের শেষ বলে ছয় মেরে দলকে জিতিয়েছিলেন তিনি।

দিনেশ কার্তিক (কলম্বো, ২০১৮)

গত বছর নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল। ভারতের বিপক্ষে শেষ বলের এই দুঃখ সহজে ভুলতে পারবে না বাংলাদেশ। শুরু থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল বাংলাদেশের কাছে ভারতের বিপক্ষে রুবেল হোসেনের করা ৪৯তম ওভারে ২২ রান নিয়ে ম্যাচের ভাগ্য নিজেদের দিকে নিয়ে যান দিনেশ কার্তিক। সৌম্য সরকারের করা শেষ ওভারে দরকার ছিল ১২ রানের। শেষ বলে পাঁচ রান। কিন্তু দিনেশ কার্তিক ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচের সঙ্গে সঙ্গে জিতে দেন টুর্নামেন্টের ট্রফিও।

 

বাংলা ইনসাইডার/আরইউ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭