ইনসাইড পলিটিক্স

তারেককে লন্ডন ছাড়াতে তৎপর ভারত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 07/03/2019


Thumbnail

লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার জঙ্গী কনেকশন তদন্ত করা হচ্ছে। ব্রিটিশ হোম ডিপার্টমেন্ট, স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড এবং ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এই তদন্ত করছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতও তারেক জিয়ার ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয়ের বিরোধিতা করেছে। ভারতকে অশান্ত করতে চায়, ভারতের শান্তি বিঘ্ন করতে চায় এমন বেশ কিছু ব্যক্তি এবং সংগঠনের সঙ্গে তারেক জিয়ার যোগাযোগ রয়েছে বলে ভারত দাবী করেছে। যুক্তরাজ্যে ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে ব্রিটেনে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত মিসেস রুচী ঘনশ্যাম এই অভিযোগ উত্থাপন করেছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

কাশ্মীরে জঙ্গী হামলার পর ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা, বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারীদের একটি তালিকা তৈরি করেছে যারা ভারতে সশস্ত্র সন্ত্রাসী তৎপরতায় মদদ দিচ্ছে। ঐ তালিকায় তারেক জিয়ার নাম আছে বলে জানা গেছে। ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে এরকম খবরও আছে যে, লন্ডনে ক্রিয়াশীল বিভিন্ন ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সঙ্গে তারেক জিয়ার যোগাযোগ এবং ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। সূত্র মতে, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ নিশ্চিত করেছে যে, শুধু পাকিস্তান নয় সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকেও কাশ্মীরের জঙ্গীদের পৃষ্ঠপোষকতা ও মদদ দেয়া হচ্ছে। আর দুবাইতে যারা ভারত বিরোধী তৎপরতার সঙ্গে জড়িত তাদের সঙ্গে তারেক জিয়ার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে বলে ভারতের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য আছে।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল বাংলাদেশে ১০ ট্রাক অবৈধ অস্ত্রের এক চালান ধরা পড়ে। ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সরবরাহের জন্যই ঐ অস্ত্র আনা হয়েছিল বলে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা মনে করে। তারা এটাও মনে করে, এটা অনেক গুলো ঘটনার একটি যা ধরা পড়েছিল। এরকম বহু ঘটনাই বিএনপি-জামাত জোট আমলে ঘটেছিল বলে ভারত বিশ্বাস করে। তবে, ঐ ঘটনার পর থেকেই ‘তারেক জিয়া’ ভারতের কালো তালিকাভুক্ত হন। এরপর থেকেই তারেক ভারতের গোয়েন্দা নজরদারির আওতায় আসেন।

২০০৬ সালে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক প্রতিবেদনে দাবী করা হয় যে, ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে তারেক জিয়ার ব্যক্তিগত এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। এরপর থেকেই তারেক জিয়াকে রাজনীতি থেকে অবসরের জন্য ভারত কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে। বিএনপিকে একাধিকবার ভারতের পক্ষ থেকে তারেক জিয়াকে বিদায় করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। ভারতের ঐ প্রস্তাব গ্রহণ না করায় বিএনপি থেকে ভারত মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বলেও একাধিক কূটনৈতিক সূত্র দাবী করে করে।

এবার কাশ্মীর হামলার পর, বিভিন্ন দেশে ভারতের জন্য ক্ষতিকারকদের সর্বাত্মক যুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদী এদের ভারতের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এই যুদ্ধের অংশ হিসেবেই ভারত এখন তারেক জিয়াকে লন্ডন ছাড়া করতে কূটনৈতিক অভিযান শুরু করেছে। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পেশের আগে ব্রিটেনে ভারতীয় হাই কমিশনার মিসেস রুচী ব্রিটেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাদিয়া মুনা তাসনিমের সঙ্গেও কথা বলেন।

বাংলা ইনসাইডার/এমআর



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭