ইনসাইড আর্টিকেল

একাত্তরের এই দিনে: অগ্নিঝরা ১৪ মার্চ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 14/03/2019


Thumbnail

বাঙালীর ইতিহাসে একাত্তরের প্রতিটি দিনই হলো আন্দোলন সংগ্রামের একেকটি  মহাকাব্য। একাত্তরের ১৪ মার্চও এর ব্যতিক্রম নয়। এদিন মাঝিমাল্লারা সব বৈঠা হাতে রাজপথে নেমে আসেন। সামরিক আইনের ১১৫ ধারা জারির প্রতিবাদে বেসরকারী কর্মচারীরাও সেদিন বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। দেশের মানুষকে গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করার প্রতিবাদে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন পাক সরকারের দেওয়া ‘হেলাল ইমতিয়াজ’ খেতাব বর্জনের ঘোষণা দেন।

একাত্তরের আজকের দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসার ব্যাপারে শর্তারোপ করেন। তিনি প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘যদি প্রেসিডেন্ট দাবি পূরণের ইচ্ছা নিয়ে আলোচনায় বসতে চান, তাহলে আমি বসতে পারি। তবে কোনভাবেই তৃতীয় কোনো পক্ষ সেখানে উপস্থিত থাকতে পারবে না।’

অন্যদকে পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ৬ দফা দাবি প্রত্যাখ্যান করেন। তবে ঢাকায় এসে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে অলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। এদিন ন্যাপ (ওয়ালী) নেতা খান আবদুল ওয়ালী খান পূর্ব পাকিস্তান সফরকালে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে একান্তে আলোচনা করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, বাঙালীর আন্দোলন এবং তাদের দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন আছে তার।

একাত্তরের আজকের দিনে ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে ছাত্র ইউনিয়নের এক সমাবেশ থেকে দেশের ৭ কোটি জনতাকে সৈনিক হিসেবে সংগ্রামে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে ওই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এই একই দিনে শিল্প সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরাও শিল্প সংগ্রাম গড়ে তোলেন। এভাবেই একাত্তরের মার্চে দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শ্রেনী-পেশা নির্বিশেষে সবাই মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে শুরু করে।

 

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭