ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মসজিদে হামলাকারীর ৭৩ পৃষ্ঠার মেনিফেস্টোতে যা ছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 15/03/2019


Thumbnail

ক্রাইস্টচার্চে হামলাকারী সন্ত্রাসী ব্রেন্টন টারান্ট হামলার আগে ৭৩ পৃষ্ঠার মেনিফেস্টো প্রকাশ করেছিল টুইটারে। হামলার জন্য দুই বছর ধরে প্রস্তুতি নিয়েছিল ২৮ বছর বয়সী এই অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভুত।

তার মেনিফেস্টোর চুম্বকাংশ তুলে ধরা হলো:

১. নিজেকে পরিচয় দিয়েছে ‘জাস্ট আ রেগুলার হোয়াইট ম্যান’ বলে।

২. স্টকহোম হামলায় ১১ বছর বয়সী কিশোরী এবা অকারলুন্দর ছবি তার টুইটার অ্যাকাউন্টে শোভা পাচ্ছিল।

৩. সুইডেনের স্টকহোমে হামলা ও বাস্তিল দিবসে ফ্রান্সের নিসে ট্রাক হামলার ঘটনা তাকে এই হামলা করতে বাধ্য করেছে।

৪. তার কথা,‘দখলদারী ইসলামিস্টরা ইউরোপের ভূমিতে ভাগ বসিয়েছে। আমাদের লোকেদের হত্যা করেছে। আমাদের অস্তিত্ব জানান দিতে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মকে সুন্দর আগামী উপহার দিতেই এই হামলা।’

৫. এই হামলা নিয়ে তার অনুশোচনা নেই উল্লেখ করে আগেই টুইটারে বলেছে,‘আমার একটাই ইচ্ছা, আরো আরো দখলদারী খুনিদের হত্যা করা।’

৬. তার কথা,‘একবার ফ্রান্সে গিয়ে নিজের চোখে দেখেছি অসংখ্য দখলদারী। দেশটির প্রতি শহরে দখলদারী খুনিদের উপস্থিতি।’

৭. ‌‘হাজার বছর ধরে ইউরোপের জমিতে দখলদারী ‘ইসলামি ক্রীতদাসরা’ একের পর এক হামলা চালিয়েছে’। এই হামলা তারই প্রতিশোধ।

৮. `দখলদারীদের দেখিয়ে দিতে হবে, আমাদের ভূমি কখনোই তাদের ছিল না। আমাদের ভূমি কেবলই আমাদের। যতদিন পর্যন্ত একজন হোয়াইট ম্যান জীবিত থাকবে, তারা কখনোই আমাদের ভূমির দখল নিতে পারবে না।`

[ব্রেন্টন টারান্টের এই মেনিফেস্টো প্রকাশের পর অনেক ইউরোপীয়ান সমর্থন জানায় তাকে। তবে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার প্রশাসন তার এই মেনিফেস্টোকে প্রকাশের অযোগ্য বলে বিবেচিত করেছে। অত:পর ভয়ংকর এই মানুষটা আজ নৃশংসতা চালালো।]

তথ্যসূত্র : নিউজডটকমএইউ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭