নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 15/03/2019
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে বন্ধুকধারীর বর্বরোচিত হামলায় মৃতের সংখ্যা পঞ্চাশ ছুঁয়েছে। মৃতের সংখ্যা হয়তো আরও কম হতো। কিন্তু আহতদের ওপর বন্দুকধারীর দ্বিতীয় দফা গুলিতে মৃতের সংখ্যা থামছে না বলা চলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, আহতদের অনেকে গুলি খেয়ে পানি চেয়ে বাঁচার আকুতি করছিলেন। কিন্তু তাদের পানির বদলে বুলেট মিলেছে। বাঁচতে দেয়নি তাদের। তবে সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যান রুবেল নামে আহত এক বাংলাদেশি। আল নুর মসজিদের ভেতরে আজ শুক্রবার বন্দুকধারীর গুলিতে আহত হয়ে তিনি ছটফট করছিলেন পানি চেয়ে। এমন সময় মো. দিদার নামে আরেক বাংলাদেশি তাঁর ভাইয়ের খোঁজে মসজিদের ভেতরে যায়। তাঁর কাছেই পানি চেয়েছিলেন গুলিবিদ্ধ রুবেল। দিদার তাঁকে পানি পান করান ও উদ্ধার করে ক্রাইস্টচার্চ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে আজ বাংলাদেশ সময় বিকেলে তাঁর শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়। তিনি এখন অনেকটা আশংকামুক্ত।
জানা যায়, আল নুর মসজিদে ঢোকার সময়ই গুলির শব্দ শুনতে পান দিদার। গুলির শব্দ কানে আসতেই মসজিদের মূল দরজার পাশ দিয়ে বাইরে চলে আসেন। এসে তিনি গাড়ি রাখার জায়গায় লুকিয়ে পড়েন। কিছু সময় পর গুলির শব্দ থেমে গেলে দিদার মসজিদের ভেতরে যান ভাই মিনারকে খুঁজতে। মিনার আগেই পালিয়ে বের হয়েছিলেন। পরে দিদার মসজিদের ভেতরে ঢোকার পর দেখেন নারকীয় দৃশ্য। দিদারকে দেখে রুবেল পানি চেয়েছিলেন। তাঁকে পানি দিয়ে দিদার বাইরে চলে যান। ঠিক এই সময় বন্দুকধারী আবারও বন্দুকে গুলি ভরে মসজিদের ভেতরে আসে। আহত যাঁরা ছিলেন, বেছে বেছে তাঁদের দিকে আবারও গুলি চালায় বন্দুকধারী। এই দফায় রুবেল মৃত হওয়ার ভান করে থাকেন। যার ফলে প্রানে রক্ষা পান গুলিবিদ্ধ বাংলাদেশি রুবেল।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭