ইনসাইড গ্রাউন্ড

জায়ান্ট কিলার হতে পারে আফগানিস্তান!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 18/03/2019


Thumbnail

দরজায় কড়া নাড়তে শুরু করেছে বিশ্বকাপ ক্রিকেট। তিন মাসেরও কম সময় আছে দলগুলোর কাছে। প্রস্তুতি পর্ব চলছে দলগুলোর। বাংলা ইনসাইডার-এর পাঠকদের জন্য আজ থেকে থাকবে দলগুলো শক্তিমত্তা, ভালো-মন্দ দিক। প্রথম দিন থাকছে আফগানিস্তান।

যেভাবে বিশ্বকাপে আফগানিস্তান

২০০৮ সালে তালেবান শাসন অবসানের পর ঠিকভাবে ক্রিকেট খেলা শুরু করে আফগানিস্তান। বেশ দ্রুতই সাফল্য পেতে শুরু করে দলটি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের ওয়ার্ল্ড লিগ খেলে ২০১৫ বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয়। এবাব র‌্যাঙ্কিংয়ের সেরা আটে না আসতে পারায় বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব খেলতে হয় আফগানিস্তানকে। সেখানে জিম্বাবুয়েকে পেছনে ফেলে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের টিকিট পায় আফগানরা।

আফগানদের ব্যাটিং: মারকুটে ব্যাটিংয়ে আফগানদের জুড়ি নেই। দলের নতুন তারকা হযরতউল্লাহ জাজাইকে বলা হয় ‘আফগান গেইল’। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও দ্রুত রান তোলায় বেশ কার্যকর জাজাইয়ের ব্যাটিং। জাজাইয়ের মতো আরো আছেন মোহাম্মদ শেহজাদ।

এছাড়া মিডল অর্ডারে মোহাম্মদ নবী, আসগর আফগান ও নাজিবউল্লাহ জাদরান লম্বা ইনিংস খেলায় বেশ পারদর্শী। এছাড়া লোয়ার অর্ডারে রশিদ খান বিপজ্জনক হতে পারেন যে কোন দলের জন্য।

আফগানদের বোলিং: আফগানদের বোলিংয়ের নেতৃত্বে থাকবেন রহস্যময়ী লেগ স্পিনার রশিদ খান। সীমিত ওভার ক্রিকেটে তাঁর বোলিং যে বেশ কার্যকর তা প্রমাণ দিয়েছেন বেশ কয়েকবার। এছাড়া আরেক স্পিনার মুজিব-উর রহমানও মাথাব্যথার কারণ হবে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের জন্য। মোহাম্মদ নবীর অফস্পিন রান রেট টেনের ধরার জন্য বেশ প্রসিদ্ধ। কিন্তু ইংল্যান্ডের সিমিং কন্ডিশনে স্পিনাররা কতটা ভূমিকা রাখতে পারবে সেটাই দেখার বিষয়। তবে বেশ কয়েকজন বিশ্বমানের পেসারও আছে আফগানদের দলে।

মূল শক্তি বোলিং: আফগানদের মূল শক্তি কোনটি, ব্যাটিং না বোলিং। এটা বেশ বড় মাপের একটা তর্ক-বিতর্কের বিষয় হতে পারে এটি। তবে ব্যাটিংয়ের চেয়ে বোলিংই এগিয়ে। শক্তিমত্তার দিক দিয়ে শতকরা ৪০ ভাগ ব্যাটিং হলে বোলিং হবে ৬০ ভাগ। অন্যান্য যেকোন প্রতিযোগিতার মতো বোলিং আক্রমণের প্রধান অস্ত্র হচ্ছে স্পিন।

আফগানিস্তানের দুর্বলতা: আফগানিস্তানের সবচেয়ে দুর্বলতা দুটি। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় দুর্ভাবনার কারণ হচ্ছে ব্যাটিংয়ে ধস। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে প্রায়ই ব্যাটিং ধস নেমেছিল তাদের ইনিংসে। হংকংয়ের বিপক্ষে ১৩২ রানে ৪ উইকেট থেকে ১৯৫ রানে ৯ উইকেট এবং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৬৩ রানে ৪ উইকেট থেকে ১৯৪ রানে গুটিয়ে যাওয়া দুইটি বড় উদাহরণ। তাই টপ অর্ডারের গড়ে দেওয়া ভিত কাজে লাগাতে হবে আফগানিস্তানের মিডল অর্ডারকে। মিডল অর্ডারে থিতু হলেও হচ্ছে না বড় জুটি। সেদিকেও নজর দিতে হবে আফগানিস্তানকে।

আফগানদের প্রাথমিক লক্ষ্য বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। এজন্য ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন আফগানদের ক্যারিবীয় কোচ ফিল সিমন্স। এবারের বিশ্বকাপের ফরম্যাট অনুযায়ী প্রথম পর্বে প্রতিটি দলের সঙ্গে ম্যাচ খেলবে আফগানিস্তান।

নিজেদের দিনে আফগানিস্তান যেকোন দলের জন্য বিপজ্জনক। এরই মধ্যে জায়ান্ট কিলার উপাধি পাওয়া আফগানরা বিশ্বকাপে রাখতে পারেন সেই ধারা।

বাংলা ইনসাইডার/আরইউ/এমআর



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭