লিভিং ইনসাইড

সন্তানের সামনে এই অভ্যাসগুলো একদমই না

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 21/03/2019


Thumbnail

কাদামাটিকে আপনি যেই আদল দিয়ে গড়বেন, তেমনটাই গড়তে পারবেন। আপনার পরিবারের ছোট সন্তানটিও তেমন। আপনি তাকে ছোটবেলা থেকে যেভাবে গড়তে শুরু করবেন, সে সেভাবেই বড় হতে থাকবে। তবে সেজন্য তো বাবা-মা বা অভিভাবক হিসেবে আপনাকে আগে অনেক বিষয় মেনে চলতে হবে, শুধরাতেও হবে অনেকটা। এড়িয়ে চলতে হবে অনেকগুলো অভ্যাস, যেগুলো আপনি প্রতিনিয়তই করেন, যেগুলো আপনার সন্তানকেও প্রভাবিত করে। কি সেই অভ্যাসগুলো জেনে নিন-

অতিরিক্ত আত্মসমালোচনা পরিহার করুন

নিজের সমালোচনা করতে পারাটা এক ধরনের ভালো গুণ। তবে সেটিরও তো একটা সীমা থাকে। অতিরিক্ত সমালোচনা আপনার শিশুর মানসিক বিকাশকে  বাঁধাগ্রস্ত করতে পারে। সন্তানের সামনে মা-বাবা যদি সবসময় আত্মসমালোচনা আর অনুশোচনাতেই মগ্ন থাকে তবে সেই সন্তানের আত্মবিশ্বাস কমে যায়, সেও ঐ ভাবে নিজেকে গড়ে তুলবে।

ভার্চুয়াল জগতের আনাগোনা কমিয়ে দিন

আধুনিক সমাজে ইমেইল, ফেসবুকিং সহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম বা মেসেজিং ছাড়া আমাদের জীবন চলেনা। কিন্তু পরিবারের সদস্যদের এই ভার্চুয়াল জগতে অতিরিক্ত সময় কাটানোর অভ্যাস থাকলে শিশুদের মধ্যেও এই প্রবণতা তৈরি হতে পারে। আর যেসব শিশু টিভি, কম্পিউটার বা মোবাইল স্ক্রিনের সামনে বেশি সময় কাটায়, তাদের পড়াশোনায় মনোযোগ কমে যায়। পাশাপাশি স্থূলতা বা ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। তাই সন্তানের সামনে ভার্চুয়াল জগৎ নিয়ে পড়ে থাকবেন না।

কিছু চিন্তাকে পরিমার্জিত করুন

আপনার পরিবারে কন্যা সন্তান থাকলে তার প্রতি কিছুটা আধুনিক মানসিকতা রাখুন। তাকে শুধু সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে সবার সামনে তুলে ধরতে থাকলে সেও ঐ সৌন্দর্যের মাঝে বাধা পড়ে থাকবে। এজন্য কন্যাসন্তানটিকে ছোটবেলা থেকে সৃজনশীলভাবে গড়ে তুলতে চেষ্টা করুন। এটা-ওটা করা যাবেনা বলে তাকে ভয় না দিয়ে সাহস দিতে শিখুন। না হলে আজীবন সে ভীতু হয়েই বাঁচবে।

শিশুর সামনে নেশাদ্রব্য এড়িয়ে চলবেন

দুশ্চিন্তা এবং মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে নেশাদ্রব্য ছাড়া অনেকের চলেই না। কিন্তু ধূমপান বা মদ্যপান কোনো স্থায়ী সমাধান এনে দিতে পারে না। সন্তানের সামনে মদ্যপান বা ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা আপনার শিশুর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য হুমকির কারণ হতে পারে। পরবর্তী জীবনে আপনার সন্তানও তা অনুসরণ করতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত চা, কফি খাওয়ার মতো অভ্যাসও বাদ দেওয়া উচিৎ।

প্রতিযোগিতার মনোভাব থেকে বিরত থাকুন

আপনার সন্তানকে সবসময় প্রতিবেশী বা সহপাঠীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে- এটা সবসময় ভাববেন না। তাকে তার সামর্থ্য মতো গড়ে তুলবেন। এক্ষেত্রে সন্তান তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে কিনা তা নিশ্চিত করুন এবং তার ভালো কাজের প্রশংসা করুন। তোমাকে অমুকের থেকে ভালো করতে হবে, তুমি কিছু পারো না- এই কথাগুলো তাকে মেরুদণ্ডহীন করে দেবে।

মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখুন

আপনি যদি শিশুর সঙ্গে সবকিছু নিয়েই খিটখিট করেন তবে শিশুর কাছে এটাই স্বাভাবিক মনে হবে। এর ফলে শিশু স্বভাবতই এমন আচরণ অনুকরণ করবে। এটা একদমই ঠিক নয়। বেশিরভাগই মানসিক চাপ খিটখিটে মনোভাব তৈরি করে। মানসিক চাপ ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে নিজেকে শান্ত রাখার কৌশল অন্যভাবে বের করুন, শিশুকেও সেটা শেখাবেন।

অন্যদের নিয়ে আলোচনা নয়

সন্তানের সামনে অন্য কারো চেহারা বা আচরণ নিয়ে সমালোচনা একেবারেই করবেন না। এটা যদি আপনার অভ্যাস হয় তো সেটা বাদ দিন। সিনেমা, টিভি অনুষ্ঠান বা সেলিব্রেটিদের নিয়ে অতিরিক্ত গল্পগুজব করে সময় নষ্ট করাটাও ঠিক না। এতে শিশুর ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। একটা সময় সেও অন্যের সমালোচনা করতে শুরু করবে।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭