ইনসাইড গ্রাউন্ড

সামর্থ্য প্রমাণে শিরোপা জিততে মরিয়া নিউজিল্যান্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 23/03/2019


Thumbnail

বিশ্বকাপ, ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের বিচারের সর্বোচ্চ মঞ্চ। বিশ্বসেরা ক্রিকেটাররা নিজেদের সর্বোচ্চটা উজাড় করেন দেন এই মঞ্চে। এবারও সেই উজাড় করে দিতে প্রস্তুত হচ্ছে ক্রিকেটাররা। তেমননি ভাগে ক্রাইস্টচার্চের হামলার শোকের মধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করতে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড। শক্তিশালী দল হয়েও মেটাতে পারেনি শিরোপা জয়ের ক্ষুদা। তাই এবার সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে শিরোপা জিততে মরিয়া কিউইরা।

বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড: বিশ্বকাপের আগের দশ আসরে একবার ফাইনাল ও ৬ বার সেমিফাইনাল খেলেছে নিউজিল্যান্ড। এছাড়া একবার কোয়ার্টার ফাইনাল, একবার সুপার সিক্স এবং একবার গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে তারা। বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের সেরা সাফল্য রানার্স আপ হওয়া। ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলে কিউইরা। অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি অধরাই থেকে যায় নিউজিল্যান্ডের।

নিউজিল্যান্ড যেভাবে বিশ্বকাপে: নতুন নিয়মানুযায়ী বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়তে পারতো আইসিসির যেকোন পূর্নাঙ্গ সদস্য। এই নিয়ম প্রযোজ্য ছিলো গত আসরের রানার্স আপরা। কিন্তু তা হয়নি। আইসিসি’র বেধে দেওয়া সময়ের (৩০ অক্টোবর, ২০১৭) মধ্যে নিজেদের ইতিহাসের সেরা র‌্যাঙ্কিং তৃতীয়স্থানে থেকে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে নিউজিল্যান্ড।

বেশ কিছু কারণে এবারের বিশ্বকাপে অন্যতম শিরোপা দাবিদার নিউজিল্যান্ড। কিন্তু শেষ মুহূর্তে চাপ সামলে না উঠতে পারার কারণে ম্যাচ হেরে যাওয়ার অতীত রেকর্ড আছে কিউইদের।

মারমুখি টপ অর্ডার: পাওয়ার প্লে-তে দ্রুত রান তুলতে বেশ দক্ষ নিউজিল্যান্ডের ওপেনার মার্টিন গাপটিল। গত বিশ্বকাপেও এর প্রমাণ রেখেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। এছাড়া কম যান না টম লাথামও। আর আস্থার প্রতিক হয়েছে আছেন ওয়ান ডাউনে ব্যাট করতে নামা কেন উইলিয়ামসন।

ভরসার মিডল অর্ডার: নিউজিল্যান্ডের মিডল অর্ডারের দায়িত্ব পড়েছে রস টেইলরের কাঁধে। যেকোন পরিস্থিতিতে ব্যাট করতে সক্ষম ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। হেনরি নিকোলসের মতো তরুণটা আশা জাগাচ্ছে নিউজিল্যান্ডকে।

দুর্দান্ত অলরাউন্ডার: কলিন ডি গ্রান্ডহোম, কলিন মুনরো, জিমি নিশানের মতো দুর্দান্ত পেস বোলিং অলরাউন্ডার কিউই স্কোয়াডে। এর ফলে ব্যাটিং গভীরতা মেন বেড়েছে, তেমনি শক্তিশালী হয়েছে বোলিং লাইন আপ। ফলে ম্যাচের ফলাফল নিজেদের অনুকূলে বেশ পারদর্শী এই অলরাউন্ডাররা।

শক্তিশালী পেস আক্রমণ: নিউজিল্যান্ডের পেস বোলিং আক্রমণ নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। ইংলিশ সিমিং কন্ডিশনে ভয়ঙ্কর হতে পারেন ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদিরা। নেইল ওয়েগনার বাউন্স এবং ম্যাট হেনরি গতি দিয়ে কাবু করতে পারবেন যেকোন ব্যাটসম্যানকে।

কার্যকর স্পিন বোলিং: ইংল্যান্ডে সিমিং কন্ডিশন হলেও ম্যাচ জয়ে অবদান রাখতে পারেন স্পিনাররা। এমন কিছু ভালো মানের স্পিনার আছেন নিউজিল্যান্ড স্কোয়াডে। ইশ সোদির সঙ্গে জুটি বেধে যে কোন দলের জন্য হুমকি হতে পারেন টড অ্যাস্টল ও মিচেল স্যান্টনার।

ধারাবাহিক ভাবে ভালো খেলার জুড়ি নেই নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটারদের। কিন্তু বড় আসরের বড় ম্যাচে খেই হারিয়ে ফেলেন তারা। বিশ্লষকদের দাবি ভালো দল হয়েও শিরোপা জেতার সামর্থ্য নেই কিউইদের। কিন্তু একথা মানতে নারাজ নিউজিল্যান্ড। তাই শিরোপা জিতে সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে মরিয়া কেন উইলিয়ামসনের দল।

বাংলা ইনসাইডার/আরইউ 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭