ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হীরার শহর থেকে ভূতের আস্তানা!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 23/03/2019


Thumbnail

নামিবিয়ার ছোট্ট মরু শহর কলমন্সকপ। এক সময়ে এখানে ছিল স্কুল, হাসপাতাল, কারখানা থেকে শুরু করে ক্যাসিনো পর্যন্ত সবকিছুই। পথে-ঘাটে খুঁজে পাওয়া যেত মহামূল্যবান হীরা। রাতভর জমজমাট থাকতো এই শহর। কিন্তু সেই জনপদই এখন হয়ে গেছে শান্ত—নিস্তব্ধ। হীরার শহর কলমন্সকপকে এখন ভূতের আস্তানা বলেই চেনে স্থানীয়রা। কিন্তু কীভাবে হীরার শহর হয়ে গেল ভুতের আস্তানা?

ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, কলমন্সকপের রমরমা অবস্থার শুরুটা হয়েছিল ১৯০৮ সালে। নামিবিয়া তখন জার্মানদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। সেসময় কলমন্সকপের রাস্তায় হীরা খুঁজে পান একজন জার্মান নাগরিক। এরপরই রাতারাতি এই অঞ্চল বিখ্যাত হয়ে ওঠে। সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় বার্লিনের একটি আকরিক খনন কোম্পানি। জার্মানরা জায়গাটিকে সাধারণের জন্য ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণা করে। সেখানে নানা রকম কারখানা গড়ে ওঠে। নতুন করে রেল লাইন, পোস্ট অফিস, বেকারি, স্কুল, এমনকি বিনোদনের জন্য ক্যাসিনোও গড়ে তোলা হয়। কিন্তু খুব দ্রুতই হীরাশূন্য হয়ে পড়ে এলাকাটি। ১৯২৮ সালে কলমান্সকপ থেকে মাত্র ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে অরেঞ্জ নদীর তীরে নতুন একটি হীরার খনি আবিষ্কৃত হয়। ফলে কলমন্সকপ ছেড়ে সেখানেই নতুন আস্তানা গড়ে তোলে খনি কোম্পানিগুলো। ১৯৫৬ সাল নাগাদ পুরোপুরি এক পরিত্যক্ত শহরে পরিণত হয় কলমন্সকপ। ধীরে ধীরে নিঃসঙ্গ শহরটির ক্যাসিনো, স্কুল, পাওয়ার স্টেশন, কারখানা থেকে শুরু করে সবকিছুই গ্রাস করে বালির ঝড়।

বর্তমানে কলমন্সকপের প্রতিটা পরিত্যক্ত স্থাপনা কোথাও হাঁটু সমান, কোথাও পুরোটাই বালির স্তূপে ঢাকা। দেখে মনে হয় যেন কোনো অশরীরি আত্মার অভিশাপ গ্রাস করেছে পুরো শহরকে। ভূতের এই আস্তানা দেখতে প্রতিবছর প্রায় ৩৫ হাজার পর্যটকের সমাগম ঘটে এখানে। এদের বেশিরভাগই এখানে আসেন ফটোগ্রাফির জন্য। হীরার জন্য খ্যাতি পাওয়া কলমন্সকপ এখন এর গা শিউরে ওঠা নিস্তব্ধতার জন্যই বেশি জনপ্রিয়।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/এমআর



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭