লিভিং ইনসাইড

হাঁটুব্যথায় অস্থির হচ্ছেন?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 24/03/2019


Thumbnail

হাঁটুব্যথাটা অনেকদিন থেকেই খুব যন্ত্রণা দিচ্ছে। মাঝেমাঝে ব্যথা কমছে আবার নিজে থেকেই বেড়ে যাচ্ছে। হাঁটাচলা, ওঠাবসাসহ দৈনন্দিন কাজগুলো করা যেন বিষময় মনে হচ্ছে। প্রথমে হয়তো ভাবলেন বয়স বাড়ছে, এজন্য বোধয় ব্যথা। আবার সেই কবে একটু চোট পেয়েছিলেন, সেটার ব্যথাই বোধহয় রয়ে গেছে। কিন্তু যাই হোক, চিকিৎসা তো আপনার করানোই উচিৎ।

বয়স বাড়তে থাকলে হাঁটুর ব্যথা একটি সাধারণ অসুখ। হাঁটুর অস্থিসন্ধির ক্রমাগত ক্ষয়ের কারণেই এ সমস্যা হয়। তবে কখনো আঘাত বা অন্য কোনো রোগের কারণেও হাঁটুব্যথা হতে পারে। কারণ যেটাই হোক, যেকোনো কাজে হাঁটুব্যথা নিত্যসঙ্গী হয়ে ওঠে। এই হাঁটুব্যথা নিয়ে থাকছে আজকের পরামর্শ-

১. নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করুন অবশ্যই। পায়ের মাংসপেশী দৃঢ় আর মজবুত থাকলে হাঁটুব্যথার ঝুঁকি আর তীব্রতা চলে যায়। এজন্য আপনি চাইলে সাইকেলও চালাতে পারেন নিয়মিত। চাইলে অল্প কিছুক্ষণ দড়ি লাফান। সাঁতারও খুব ভালো ব্যায়াম হতে পারে। আর ব্যায়াম করার সময় হাঁটুব্যথা শুরু হলে ব্যায়াম থামিয়ে দিন। হাঁটুর ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে, এমন ব্যায়াম করবেন না।

২. আপনি খেলাধুলা এবং দৌড়ঝাঁপের সময় অবশ্যই আপনার সঠিক জুতা পায়ে দিতে হবে। খেলাধুলা করতে গিয়ে হাঁটুতে ব্যথা পাওয়ার আশঙ্কা থাকলে হাঁটুর সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ব্যবহার করুন।

৩. শরীরের ওজন সবসময়ের জন্য নিয়ন্ত্রণে রাখুন। শরীরের ওজন যতো কম হবে হাঁটুর উপর চাপও তত কমবে।

৪. হাঁটুতে কোনোভাবে আঘাত লাগতে পারে, এমন কাজ থেকে বিরত থাকবেন। এই যেমন তাড়াহুড়ো করে বাসে উঠতে গিয়ে বা বাস থেকে নামতে গিয়ে অনেকেই হাঁটুতে ব্যথা পান। এটা করবেন না। বিছানা থেকে তাড়াহুড়ো করে নামা, হুট করে সব থেকে উঠে দাঁড়ানো হাঁটুব্যথার জন্য অনেকটা দায়ী।

* বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেরই হাঁটার সময় লাঠি বা ওয়াকার প্রয়োজন হয়। এরকম পরিস্থিতিতে কখনোই এই সহায়কগুলো ছাড়া হাঁটাহাঁটি করতে যাবেন না। এতে পড়ে গিয়ে হাঁটুসহ শরীরের অন্যান্য স্থানে মারাত্মক আঘাত লাগতে পারে। এই ব্যথা সহজে কমেও না। দিনদিন ব্যথা বাড়তেই থাকে।

আর যাদের এরই মধ্যে হাঁটুর সমস্যা রয়েছে, তাদের অতিমাত্রায় সাবধান হতে হবে। এই সময়ে কিছুটা সতর্ক হয়ে থাকতে হবে। যেমন-হয়ে গেছে, তারাও কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকবেন। যেমন:

১. হাঁটুর ওপর চাপ পড়ে, এমন ব্যায়াম বা দেহভঙ্গি একেবারেই করবেন না। লাফিয়ে ঝাপিয়ে ব্যায়াম করবেন না। কোনো সরঞ্জাম নিয়ে ব্যায়াম করার চেয়ে আপনি হেঁটে, হালকা দৌড়ে, সাঁতার কেটে ব্যায়াম করলে সেটা ভালো হয়। যে ব্যায়ামগুলো বসা অবস্থায় করা যায়, সেগুলো করুন। হাঁটার সময় হাঁটুতে নি-ক্যাপ পরে নিতে পারেন।

২. আমাদের দীর্ঘ সময় ধরে হাঁটু ভাঁজ করে বসার অভ্যাস রয়েছে। এভাবে কখনোই বসবেন না। রান্নাঘরের কাজগুলো দাঁড়িয়ে করার ব্যবস্থা করুন। আপনার যদি বাগান করার শখ থাকে তো টুলে বসে বাগানের কাজ করুন। আর বাথরুমে উঁচু কমোডের ব্যবস্থা করে নেওয়া ভালো।

৩. হাঁটুতে টান পড়ে এমন কোনো কাজ করবেন না। কোনো ভারি জিনিস ওঠানো বা নামানোর কাজ করবেন না। সিঁড়িতে ওঠা বা নামার সময়ে সতর্ক হন। চেষ্টা করুন যত কম সম্ভব সিঁড়িতে ওঠানামা করতে।

কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন

হাঁটু ব্যথা খুব বেশি না হলে আমরা ডাক্তারের কাছে যেতে চাই না। কিন্তু এই ব্যথা দিনে দিনে চরম মাত্রায় পৌঁছে যেতে পারে। তাই কিছু বিষয় অবহেলা করবেন না, যেমন হাঁটুতে আঘাত, হাঁটু ফোলা, লাল বা গরম হয়ে যাওয়া, হাঁটুব্যথার সঙ্গে জ্বর, প্রচণ্ড ব্যথা, হাঁটু সম্পূর্ণ সোজা বা ভাঁজ করতে না পারা বা দীর্ঘদিনের ব্যথায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/এমআর



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭