ইনসাইড বাংলাদেশ

ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেল গাড়িচাপায় পা হারানো সেই নিপা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 25/03/2019


Thumbnail

হাসপাতালের বিছানায় মেয়ের পাশে নীরবে বসেছিলেন বাকরুদ্ধ বাবা-মা। এর মধ্যে বেজে উঠল বাবা রফিকুল ইসলামের ফোনের রিংটোন। কলটি রিসিভ করার পর উচ্চস্বরে কেঁদে উঠলেন তিনি। ফোন কেটে খবরটি মেয়েকে জানাতেই ডুকরে কাঁদল সেও, কাঁদতে শুরু করলেন মা মুসলিমা বেগমও।

না, নতুন কোনো দুঃসংবাদ আসেনি!  রোববার বিকেলে প্রকাশিত প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফলে দেখা যায়, নিপা ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। শার্শা বুরুজবাগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম ওই সুসংবাদটিই মোবাইল ফোনে জানান নিপার বাবাকে। তবে এই খুশির খবরটি যেন তাদের পরিবারের বিষাদকে আরও উস্কে দিল। হতাশার মাঝে খুশির খবরে তারা আটকে রাখতে পারেননি চোখের পানি।

যশোরের শার্শা উপজেলার বুরুজবাগান পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী মেফতাহুল জান্নাত নিপা (১১) গত বুধবার সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে পল্লী বিদ্যুতের একটি পিকআপভ্যান তাদের বহনকারী স্কুলভ্যানকে চাপা দেয়। এতে গুরুতর আহত হয় নিপাসহ আরও তিন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে নিপাকে হাসপাতালে ভর্তির পর তার ডান পা কেটে ফেলতে হয়।

জ্ঞান ফেরার পর থেকে গত পাঁচ দিন ধরে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেডে শুয়ে নিপা নিজের কেটে ফেলা পায়ের দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকছে। আর দু`চোখ থেকে অঝোরে ঝরছে অশ্রু। মাঝে মাঝেই বাবা-মায়ের কাছে একের পর এক প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে সে। বাকরুদ্ধ বাবা-মা নীরবে চোখের পানি ফেলা ছাড়া সেসব প্রশ্নের আর কোনো জবাব দিতে পারছেন না।

বুধবারের দুর্ঘটনার পর পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও ধরা পড়েনি পল্লী বিদ্যুতের সেই পিকআপ ভ্যানচালক। পুলিশ অবিলম্বে তাকে আটকের আশ্বাস দিলেও তা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭