ইনসাইড পলিটিক্স

এমপিদের কর্তৃত্বমুক্ত উপজেলা চান চেয়ারম্যানরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 09/04/2019


Thumbnail

উপজেলায় এমপিদের কর্তৃত্বের অবসান চান নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানরা। এনিয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎও করতে চান। প্রধানমন্ত্রী নিজেও শেষ ধাপের নির্বাচনের পর উপজেলা চেয়ারম্যানদের নিয়ে বসতে আগ্রহী বলে জানা গেছে। সরকারপ্রধানও চান, উপজেলা পরিষদ একটি শক্তিশালী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠুক। এবার নির্বাচনের মাধ্যমে যে উপজেলা পরিষদ গঠিত হয়েছে, তা যেন কার্যকর হয় এবং আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে যেন উপজেলা পরিষদ কাজ করে, সেটাই প্রধানমন্ত্রী চান। আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শেষ ধাপের নির্বাচন এবং শপথ গ্রহণের পর, প্রধানমন্ত্রী নতুন উপজেলা চেয়ারম্যানদের দিক নির্দেশনা দেবেন।

অবশ্য যে ৪৫৫টি উপজেলার নির্বাচন ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, তাদের চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানরা সংসদ সদস্যদের প্রভাবমুক্ত উপজেলা পরিষদ চান। এজন্য তারা উপজেলা পরিষদ আইনের ২৫ ধারার বিলুপ্তি চান। এমনকি যারা সংসদ সদস্যদের স্নেহধন্য হয়ে বা সুপারিশে উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছেন, তারাও এখন ঐ ২৫ ধারার বিলোপ চান। উপজেলা পরিষদের আইনের ২৫ ধারায় বলা হয়েছে;

(১) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৫ এর অধীনে এক আঞ্চলিক এলাকা হইতে নির্বাচিত সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্য পরিষদের উপদেষ্টা হইবেন এবং পরিষদ উপদেষ্টার পরামর্শ গ্রহণ করিবে।

(২) সরকারের সহিত কোন বিষয়ে পরিষদের যোগাযোগের ক্ষেত্রে পরিষদকে উক্ত বিষয়টি সংশ্লিষ্ট এলাকার সংসদ সদস্যকে অবহিত রাখিতে হইবে।

গতবারও উপেজেলা পরিষদ তাদের অপসারণ সংক্রান্ত আইনের ১৩ ধারা এবং এই ২৫ ধারা বাতিলের দাবী জানিয়েছিলো। উপজেলা চেয়ারম্যানদের পক্ষে এই আইনের ধারা দুটি বাতিলের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়েও দাবী জানানো হয়েছিলো। কিন্তু এমপিদের চাপে সেটা করা সম্ভব হয়নি। এবার নির্বাচিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যানরা ২৫ ধারা বাতিলে লবিং শুরু করেছে। এর পক্ষে তাদের যুক্তি হলো, এমপিদের অনেক কাজ। তাদের সংসদ অধিবেশনের জন্য ঢাকায় থাকতে হয়। তাই উপজেলার বিষয়ে তাদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ সম্ভব হয় না। তাছাড়া উপজেলা চেয়ারম্যানরা মনে করছেন, এই ২৫ ধারার অপপ্রয়োগ হয়। এই ধারার ফলে এমপিরা উপজেলা পরিষদকে কুক্ষীগত করেন। সংসদ সদস্যদের কথায় পরিষদ চলে। উপজেলার সব উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালিত হয় এমপিদের নির্দেশনায়। উপজেলা চেয়ারম্যানকে পুতুল বানিয়ে উপজেলা চালান এমপিরা। উপজেলা চেয়ারম্যানদের অভিযোগ হলো, যেখানেই উপজেলা চেয়ারম্যানরা সংসদ সদস্যদের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেন, সেখানেই স্থানীয় মন্ত্রণালয়কে দিয়ে এমপিরা ১৩ ধারা প্রয়োগের চেষ্টা করেন।

উপজেলা চেয়ারম্যানরা মনে করেন, উপজেলায় কিছু সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি দিয়েই তারা নির্বাচন করেছে এবং জয়ী হয়েছে। তাই তাদের কাজ যদি এমপিরা করে সেটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। অবশ্য এমপিরা বলছেন অন্য কথা। তারা মনে করেন, একটি নির্বাচনী এলাকার অভিভাবক তারা। একটি নির্বাচনী এলাকায় একাধিক উপজেলা রয়েছে। কাজেই উন্নয়ন কাজের সমন্বয় করাটা তাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।

 

বাংলা ইনসাইডার



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭