ইনসাইড বাংলাদেশ

নুসরাত হত্যাকাণ্ডের আসামীরা কে কোথায়?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 11/04/2019


Thumbnail

ফেনীর সোনাগাজীর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে রয়েছে অভিযোগের পাহাড়। ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি, আর্থিক দুর্নীতি এবং নাশকতা ও পুলিশের ওপর হামলা মামলায় তিনি এর আগেও কারাবরণ করেছেন। কিন্তু কেউ টুঁ শব্দটি করতে পারতেন না তাঁর বিরুদ্ধে।। কারণ স্থানীয়ভাবে তিনি যথেষ্ঠ প্রভাবশালী। আর এই প্রভাবের কারণ এলাকার একটি চক্র। এই চক্রে রয়েছেন ১০ থেকে ১২ জন।

এই চক্রের মধ্য থেকে নুসরাতের ভাই ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন। তাঁরা হলেন আফছার উদ্দিন, মাকসুদ আলম, আবদুল কাদের, নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন ওরফে শামীম। পুলিশ অভিযান চালিয়ে শুধু আফছার উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে। বাকি সদস্যরা রয়েছে পলাতক।

এর মধ্যে মাকসুদ আলম সোনাগাজী পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। তিনি মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। তার প্ররোচনায় এততা মেতে ছিল এই অধ্যক্ষ। গত ২৭ মার্চ অগ্নিদগ্ধ নুসরাতের শ্লীলতাহানির ঘটনার প্রতিবাদে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন কর্মসূচিতে নামে। কিন্তু তাদের বাঁধা দেওয়া হয়। এতে ভীত হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা।

আর নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন দুজনই মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন। অধ্যক্ষের যেকোনো অপকর্মের দোসর তাঁরা। নুসরাতকে ২০১৭ সালে একবার চুন নিক্ষেপ করেন এই নুর উদ্দিন।

জানা যায়, মাদ্রাসার দোকানপাট ভাড়াসহ বিভিন্ন খাত থেকে প্রতি মাসে যে বিপুল পরিমাণ টাকা আয় হয়। এর একটি অংশ এই অনুগতদের পেছনে ব্যায় করে অধ্যক্ষ। তাঁদের মধ্যে নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেই ছাত্রীর ওপর হামলাকারী বোরকা পরা চারজনের পরিচয় মিলবে বলে অনেকের ধারণা।


বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭