ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মোদি-রাহুল নয়, ভারতের মসনদে এবার তৃতীয় শক্তি?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 15/04/2019


Thumbnail

ভারতে লোকসভা নির্বাচনে জয় ছিনিয়ে আনতে আদা-জল খেয়ে লেগেছে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল বিজেপি আর কংগ্রেস। দুই দলের নেতা-কর্মীরাই একে অন্যকে তুলোধুনা করছেন পুরোদমে। দুই দলের দুই নেতা নরেন্দ্র মোদি আর রাহুল গান্ধির মধ্যে কে বেশি যোগ্য তা নিয়ে পাল্টিপাল্টি মন্তব্যও করছেন তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই দুই দলের একটিও কি ক্ষমতার মসনদে বসতে পারবে? নাকি তৃতীয় শক্তির দখলেই যাবে ভারতের পার্লামেন্ট?

ভারতের রাজনীতিতে সবসময়ই আঞ্চলিক দলগুলোর প্রভাব অনেক বেশি। এই যেমন, পশ্চিমবঙ্গে একসময় বামফ্রন্টই ছিল শেষকথা। সেই অবস্থা বদলে এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলের রাজত্ব চলছে পুরো পশ্চিমবঙ্গজুড়ে। আবার উত্তর প্রদেশে বিজেপি কংগ্রেসের থেকে মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি, আর অখিলেশ সিং যাদবের সমাজবাদী পার্টির দাপট বেশি। লোকসভায় ৫৪৩ টি আসনের মধ্যে ৮০টি হলো উত্তর প্রদেশের। একারণে এই রাজ্য দখলে নিতে পারলে কেন্দ্রীয় সরকার গড়তে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। তামিলনাড়ু, অন্ধ্র প্রদেশ, দিল্লী, বিহারেও রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন দলের দাপট। কংগ্রেস বা বিজেপির মতো শীর্ষ দুটি দল এসব রাজ্যে ব্রাত্যই বলা চলে।

গত নির্বাচনে মোদি ম্যাজিকে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েছিল বিজেপি। ২৮২টি আসন বাগিয়েছিল তারা। অন্যদিকে কংগ্রেস ২০১৪ সালের নির্বাচনে পেয়েছিল মাত্র ৪৪ আসন। জোটগতভাবে হিসেব করলে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ পেয়েছিল ৩৩৬টি আসন। আর কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ’র দখলে ছিল মাত্র ৬০টি আসন। সেবারের নির্বাচনে আঞ্চলিক দলগুলো পেয়েছিল ১৪৭টি আসন। এবারের নির্বাচনের চিত্র একেবারেই ভিন্ন। মোদি ম্যাজিক যে ফুরিয়ে গেছে সেটা বিধানসভা নির্বাচনগুলোতে স্পষ্টভাবেই ফুটে উঠেছে। লোকসভা নির্বাচনেও মোদি গতবারের মতো বিপুল জয় পাবেন না সেটা একরকম নিশ্চিতই বলা যায়। আর কংগ্রেস যেন নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে। এবারের নির্বাচনে কংগ্রেসের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার বিষয়টি দিবাস্বপ্নই বলা চলে। প্রধান দুই দলের যখন এই অবস্থা ঠিক তখন আঞ্চলিক দলগুলো নতুন উদ্দমে রীতিমতো ফুটছে। মমতা, মায়াবতী, নিতীশ, কেজরিওয়ালরা হাতে হাত রেখে ‘বিজেপি হটাও’ ডাক দিচ্ছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনের পর যদি এমন চিত্র ফুটে ওঠে যে কংগ্রেস বা বিজেপি কারও পক্ষে সরকার গড়া সম্ভব নয় বা আঞ্চলিক দলগুলোর মিলিত আসন বেশি, সে ক্ষেত্রে একটা ন্যূনতম কর্মসূচির আওতায় এক হয়ে যেতে পারে আঞ্চলিক দলগুলো। তখন ইউপিএ বা এনডিএ জোটের শরীকদের অনেকেই ক্ষমতার লোভে জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারে। তৃতীয় শক্তির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে তারা। অর্থাৎ মোদি-রাহুলকে হটিয়ে ক্ষমতা নিতে পারে তৃতীয় শক্তি।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭