কালার ইনসাইড

কলকাতার পরিচালকরা প্রায় সবাই চোর!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 19/04/2019


Thumbnail

এতদিন দেব, জিৎ, রাজ চক্রবর্তী, জিৎ গাঙ্গুলিকে সমলোচনা করা হয়েছে। সমলোচনার কারণ কারো অজানা নয়। তামিল তেলেগু কপি করে সিনেমা নির্মাণ ও গান তৈরি করেন বলে তাদের সমলোচনা আছে। কিন্তু কলকাতায় যাদের আমরা জ্ঞানী গুনী নির্মাতা ভাবতাম, তারাও যে কম চোর নয়। আর সেই চুরির বৃত্তান্তই খুঁজে পাওয়া গেল। সৃজিত মুখার্জি থেকে শুরু করে কৌশিক গাঙ্গুলি, সবার সিনেমা নিয়েই আছে নকলের অভিযোগ। ধরা খেলে তারা ‘ইন্সপায়ার্ড’ বলে চালিয়ে দেয়। 

প্রথমেই বলা যায়, সৃজিত মুখার্জির সবচেয়ে আলোচিত সিনেমা ‘বাইশে শ্রাবন’র কথা নিয়ে। আমরা যারা এ্ সিনেমা দেখে তাকে ঋত্বিক ঘটক কিংবা সত্যজিৎ রায়ের উত্তরসূরী ধরে নিয়েছিলাম। তাদের জন্য দু:খের খবর সৃজিত সিনেমাটি কপি করে বানিয়েছেন। আমেরকিান মুভি ‘রাইটাস কিলড’ থেকে সিন বাই সিন কপি এই ‘বাইশে শ্রাবন’।  

তারপর বলা যায়, কলকাতার জনপ্রিয় নায়ক, গায়ক, প্রযোজক, অভিনেতা ও পরিচালক পরমব্রতর কথায়। তার পরিচালনার দ্বিতীয় সিনেমা ‘হাওয়া বদল’। এটাও ইংরেজি সিনেমা ‘দ্যা চেউঞ্জ আপ’ থেকে হুবহু ইন্সপায়ার্ড। সিনেমার প্রায় সব দৃশ্যই সেখান থেকে নেয়া হয়েছে। এমনকি ইংরেজি সিনেমায় প্রশাব ক্রস করে একে অপরের বডি এক্সচেন্জ যেভাবে হয়েছে। কলকাতার ছবিটিতেও সেভাবে ক্রস করা হয়েছে।  

কপি নিয়ে কথা বললে রাজের নাম না নিলে তো রীতিমতো পাপ হবে। অন্যান্য পরিচালকরা যখন সিনেমার গল্প সংলাপ কিংবা গান কপি করতে ব্যস্ত। সেখানে রাজ আরো এগিয়ে। তিনি রীতিমতো পোষাকই কপি করে। যেমন সাইফ কারিনার ‘তাসান’ সিনেমার গানের থেকে পোষাক কপি করে ‘শত্রু’ সিনেমায় নিয়েছেন। গল্পে মিল নেই, তবে গানের কোরিওগ্রাফি রীতিমতো নিয়েছেন। অবশ্য রাজ চক্রবর্তী নিজের বিয়েতে নিজের বউকে কপি করে পোষাক পড়ায়। ভিরাট কোহলী ও আনুশকা শর্মার বিয়ের শাড়ি কিংবা সেরোয়ানি বেশ ভালো লেগেছিল তার। এই খেলা শুদু রাজ একাই খেলেন না।

এভাবেই হচ্ছে কলকাতার সমলোচক পুরস্কার পাওয়া সিনেমার নির্মাণ। গল্প সাউথ কিংবা ইংলিশ ছবি নিয়ে মিউজিকের জন্য অরিন্দম কিংবা জিৎ গাঙ্গুলি তো আছেনই। মিউজিকেও ঠিক কোথাও না কোথাও থেকে নিয়ে নিবেন পছন্দসই গান।

কথা বলতে হয় কলকাতার জাতীয় পুরস্কার পাওয়া চলচ্চিত্র পরিচালকব কৌশিক গাঙ্গুলিকে নিয়ে। তার ‘শব্দ’ সিনেমাটি জাতীয় পুরস্কার পায়। কিন্তু দু:খের সঙ্গে বলতে হয় ওই সিনেমাটিও কপি ছিল। এই সিনেমাটি ‘বারবারিয়া সাউন্ড স্টুডিও’ থেকে কপি করে বানানো হয়েছে।

এ প্রজন্মের ট্যালেন্টেড পরিচালক মৈনাখ ভৈমিকও কম যান না। তার প্রথম সিনেমা ‘আমরা’ তৈরী করা হয়েছে ‘সাইডওয়াক অব নিউইয়র্ক’ থেকে।

এছাড়া এ প্রজন্মের বিরসা দাশগুপ্তও নিয়মিত ইন্সপায়ার্ড হয়ে সিনেমা নির্মাণ করেন। 


উল্লেখ্য, চোর বলার কারণও আছে। তারা কোন ছবিতে ক্রেডিট দেয়নি বিদেশি ছবিগুলোর। 


বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭