ইনসাইড পলিটিক্স

শেখ হাসিনার মডেলই পারে বিশ্বে সন্ত্রাস রুখতে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 21/04/2019


Thumbnail

শেখ হাসিনার জন্যই শান্তির বাংলাদেশ। সারাবিশ্ব এখন সন্ত্রাসের আতংকে ভুগছে। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই শ্রীলঙ্কায় হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটলো। ভয়াবহ নৃশংশতায় পুরো মানবতা আজ কাঁদছে। সারাবিশ্ব আজ আতংকপুরীতে পরিনত হয়েছে। আমরা এই বিশ্ববাসী জানিনা, আগামীকাল কোথায় বোমা হামলা ঘটবে। কোথায় নীরিহ প্রাণ বিপন্ন হবে! এই উপমহাদেশ এখন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। ভারতে বোমা হামলা, হত্যা, নৃশংসতা এখন একটা নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে গেছে। পাকিস্তানে তো এটা মানুষ স্বাভাবিকভাবে মেনে নিয়েছে। নেপালেও এমন ঘটনা ঘটেছে। আফগানিস্তানের কথা তো যতো কম বলা যায় ততই ভালো। সারাবিশ্বের কাছে আফগানিস্তান এক বিস্ফোরক দেশ হিসেবেই পরিচিত। শ্রীলঙ্কা ছিল অপেক্ষাকৃত শান্ত দেশ। এর মধ্যে বাংলাদেশকে নিয়েও কম আতঙ্ক উৎকন্ঠা ছিল না। বাংলাদেশ বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। বাংলাদেশকে নিয়ে বারবার বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জঙ্গিদের উথান হবে। বাংলাদেশ জঙ্গীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হবে। বাংলাদেশ নিরাপদ নয়। বাংলাদেশ সন্ত্রাসীদের অভয়াশ্রম ইত্যাদি নানা কলঙ্ক আর কথাবার্তা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বলা হয়েছে। কিন্তু একজন মানুষ ক্রমশ এই ধারণা পাল্টে দিয়েছেন। শুধু ধারণাই পাল্টে দিচ্ছেন না, তিনি বাংলাদেশকে এখন রোল মডেল রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপন করছেন। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ, সেখানে বাংলাদেশের মডেল থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে আজ বিভিন্ন দেশে। আজ বাংলাদেশ শুধু সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিজয়ী এক দেশ নয়, বরং শান্তি ও সাম্প্রদায়িকের রোল মডেল অনবদ্য এক দেশ হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে। এটা সবাই স্বীকার করে এটা সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিবাদের উৎপাটনই করেননি, এদেশকে নিরাপদ রাষ্ট্র হিসেবেও পরিনত করেছেন। পাশাপাশি তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য মেলবন্ধন রচনা করেছেন এদেশে। সেইজন্য আজকে যখন শ্রীলঙ্কা বা ক্রাইস্টচার্চে ধর্ম বা উগ্রবাদের নির্মম শিকার হন সাধারণ মানুষ, তখন বারবার ফিরে আসে বাংলাদেশের কথাই। বিশ্ব মানবতা এখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে তাকিয়ে আছে। তার শান্তির মডেল জনগনের ক্ষমতায়ন অনুসরণ করে সম্ভব বিশ্ব শান্তি অর্জন করা। বাংলাদেশে হলি আর্টিজনের পর বড় ধরনের কোন জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেনি। এমনকি যে হলি আর্টিজনের ঘটনা ঘটেছিল, সেই ঘটনাকে সারা বিশ্বে বলা হচ্ছে যে, সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রনে একটি অনবদ্য অপারেশন।  যে অপারেশনে নূন্যতম ক্ষয়ক্ষতির মাধ্যমে সমস্ত জঙ্গি এবং অপরাধীদেরকে পরাস্ত করা সম্ভব হয়েছিল। এরপর থেকে বাংলাদেশে বড় ধরনের কোন জঙ্গি কিংবা সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেনি। যদিও বারবার বাংলাদেশের দিকে দৃষ্টি নিবন্ধন করা হয়েছে। বলা হচ্ছে জঙ্গি কিংবা সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রনায়কোচিত বিচক্ষনতায় তার দুরদৃষ্টি এবং প্রজ্ঞার কারণে বাংলাদেশ ক্রমশ একটি শান্তি ও সাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে উদ্ভাসিত হচ্ছে। আজকে শ্রীলঙ্কার ঘটনার পর বারবার বাংলাদেশের প্রসঙ্গ এসেছে। শ্রীলঙ্কায় যে ঘটনাটা ঘটেছে তা নি:সন্দেহে দুর্ভাগ্যজনক, অনাকাঙ্খিত এবং মানবতার জন্য এক আর্তনাদ। কিন্তু এই ঘটনার ক্ষেত্রে ব্যার্থতাগুলোকেও আমাদের চিহ্নিত করতে হবে। এত বড় একটি ঘটনা ঘটলো বোমা নিয়ে সন্ত্রাসীরা আক্রমন করলো, কিন্তু কোন গোয়েন্দা তথ্য ছিলো না। এমনকি এই ঘটনার পর সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রনেও সেরকম কোন স্বস্তি পাওয়ার মতো তৎপরতা লক্ষ্য করিনি।

এই প্রেক্ষাপটে এ কথা বলা যায় যে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ, শান্তিপূর্ণ এবং নিরাপদ রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। বিশ্বে অন্যতম ক্ষমতাধর রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যখন সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার, সেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কয়দিন পর পর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটছে। বিশ্বে যখন কোনো রাষ্ট্রই সন্ত্রাসের আগ্রাসী থাবা থেকে নিরাপদ নয়, তখন আমাদের রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিচক্ষণতায় এবং নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে সারাবিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। কাজেই আমরা যদি এখন বিশ্বে শান্তি ফিরিয়ে আনতে চাই, বিশ্বকে যদি আমরা সন্ত্রাসমুক্ত রাখতে চাই তাহলে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার যে চিন্তা, দর্শন এবং আদর্শকে লালন করা জরুরি বলেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তারা আরও মনে করছেন, তার পদ্ধতি এবং মৌলিক ৬টি নীতি রয়েছে, সেই নীতিগুলো মেনে চলেই বিশ্বে শান্তি আনা সম্ভব।

মৌলিক ৬টি নীতিগুলো হলো-

এক- জনগনের ক্ষমতায়ন, জনগণকে মূল্যায়ন করা এবং জনগণের অভিপ্রায়ের আলোকে রাষ্ট্র পরিচালনা করা।

দুই- সব ধর্মের মর্যাদা দেওয়া। কোনো ধর্মকে আঘাত না করার নীতি।

তিন- সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি

চার-একটি ভূখণ্ডে বিদেশী কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে স্থান না দেওয়া। সে ব্যাপারে কঠোর নীতি গ্রহণ করা।

পাঁচ-সন্ত্রাস দমনে তথ্যপ্রযুক্তি এবং গোয়েন্দাব্যবস্থাকে উন্নত করা।

ছয়- জনগণকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সোচ্চার ও সচেতন করে তোলা।

এই ছয়টি নীতি দিয়েই প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিজয়ী হয়েছেন। শ্রীলংকার এই ঘটনাটির পর এই উপমহাদেশ শুধু নয়, সারাবিশ্বের সন্ত্রাস মোকাবেলায় শেখ হাসিনার মডেল হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ।

 

বাংলা ইনসাইডার



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭