ইনসাইড ট্রেড

নতুন দিগন্তে মেয়েদের ফুটবল!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 22/04/2019


Thumbnail

২০০৫ সালে সূচনাতে অনেক বাধার মুখে পড়েছিলো মেয়েদের ফুটবল। বন্ধ করতে উঠে পড়ে লেগে ছিলো একটি মহল। কিন্তু নানান প্রতিকুলতায় পেড়িয়ে এগিয়ে চলে সাবিনা-কৃষ্ণরা। তাই তো দেশের ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে আন্তর্জাতিক সাফল্য এসেছে তাদের হাত ধরেই। সোমবার (২২ এপ্রিল) বঙ্গমাতা আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ ফুটবলে মাথা উচু করে মাঠে নামবে বাংলার মেয়েরা। শুরু হবে মেয়েদের ফুটবলের নতুন দিগন্ত।

সাফ ও এএফসি বাদে এর আগে বাংলাদেশে মেয়েদের কোন আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট হয়নি। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে মেয়েদের আন্তর্জাতিক ফুটবল। এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের দুটি লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

আন্তর্জাতিক এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে বঙ্গমাতা বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাসহ সকল আন্দোলনে তাঁর অবদান বহির্বিশ্বে তুলে ধরতে চায় আয়োজকরা। দেশের নারী ফুটবলের উন্নতি এবং ভালো মানের জাতীয় দল গড়ে তোলার লক্ষ্যও রয়েছে আয়োজকদের।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘ছেলেদের জন্য নিয়মিত ভাবে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আয়োজন করি। এখন মেয়েদের আন্তর্জাতিক টুনার্মেন্ট আয়োজনের মাধ্য দিয়ে বঙ্গমাতাকেও শ্রদ্ধা জানাতে চাই। আরেকটি কারণ হলো, আমাদের নারী ফুটবল অনেকখানি এগিয়েছে। কিন্তু আমাদের সিনিয়র জাতীয় দল এখনো ঠিকঠাক তৈরি না হয়নি। এজন্য আমরা অনূর্ধ্ব-১৯ আন্তর্জাতিক মহিলা ফুটবল আয়োজনের মাধ্যমে মেয়ে ফুটবলারদের স্পটলাইটে আনতে চাই। তাদের পারফরম্যান্স দেখে দেশের মানুষও বুঝবে, আমাদের নারী ফুটবল এখন কোন জায়গায় আছে। এ টুর্নামেন্টের মাধ্যমে মেয়েরাও বুঝতে পারবে, তারা কোন জায়গায় আছে।’

বঙ্গমাতার নামের টুর্নামেন্টে সাফল্য পেতে মরিয়া বাংলাদেশের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। ঘরের মাঠে টুর্নামেন্টে শিরোপা জিততে চান তিনি, ‘যেহেতু দেশের মাটিতে খেলা। শ্রদ্ধেয় বঙ্গমাতার নামে আসর। বাফুফে এবং কোচিং স্টাফ সবারই চাওয়া প্রথম টুর্নামেন্ট স্মরণীয় করে রাখতে। মেয়ের লক্ষ্য ভালো ফুটবল খেলা এবং ম্যাচ বাই ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়া।’

প্রতিপক্ষ দলগুলো সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা রয়েছে বাংলাদেশ কোচের। বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট গুলোতে কয়েকটি দলের বিপক্ষে বড় ব্যবধানের জয় আছে লাল-সবুজদের। এরপরও মাটিতে পা রাখছেন গোলাম রব্বানী ছোটন, ‘অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলে আমরা জিতেছি। কিন্তু এটা অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবলের টুর্নামেন্ট। এটাও মানতে হবে, আমাদের মতো অন্যরাও উন্নতি করছে। সুতরাং প্রথম ম্যাচ থেকেই আমাদের সিরিয়াস থাকতে হবে।’

কোচের সঙ্গে মিল রেখে ফেভারিট হিসেবে শুরু করতে চান বাংলাদেশের অধিনায়ক মিশরাত জাহান মৌসুমী, ‘বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের আয়োজনে এটা প্রথম নারী ফুটবল টুর্নামেন্ট। তা ছাড়া এটি হচ্ছে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর মায়ের নামে। সুতরাং আমরা প্রত্যেক ম্যাচে নিজেদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করব। শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্ট সেরার সম্মানটা যেন দেশেই রাখতে পারি।’

বাফুফের আয়োজনে প্রথম আন্তর্জাতিক নারী ফুটবল টুর্নামেন্ট, এজন্য মেয়েদের জন্য চ্যালেঞ্জটা পুরোপুরি নতুন। জিতলেই ছেলেদের পেছনে ফেলবে মেয়ে ফুটবলাররা। কারণ এখন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের শিরোপা জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ফলে মেয়েদের ফুটবলে হবে নতুন দিগন্তের সূচনা।

বাংলা ইনসাইডার/আরইউ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭