নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 22/04/2019
তারেক জিয়ার জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত প্রায় ৬০ হাজার ডলার আটক করেছে ব্রিটিশ সরকার। সেই অর্থ ফেরত চেয়ে বাংলাদেশে একটি পিটিশান দরখাস্ত করা হয়েছে। তারেক জিয়া ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের যুক্তরাজ্যের একটি ব্যাংকের তিনটি হিসাব জব্দের (ফ্রিজ) আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। যুক্তরাজ্যের সানটান্ডার ব্যাংকে তারেক জিয়া ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের ব্যক্তিগত দুটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এছাড়া ওই ব্যাংকে হোয়াইট অ্যান্ড ব্লু কনসালটেন্ট লিমিটেড নামে আরও একটি প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকও তারেক জিয়া।
দুদকের অনুমতি (পারমিশন) মামলার আবেদনে বলা হয়, তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে দেশ থেকে অর্থ পাচার করে বিদেশে বিনিয়োগ করার অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, স্যানট্যান্ডার ব্যাংক ইউকে’তে পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠানের হিসাব থেকে তারেক জিয়া এবং জোবায়দা রহমানের তিনটি ব্যাংক হিসাবে ৫৯ হাজার ৩৪১ দশমিক ৯৩ ব্রিটিশ পাউন্ড স্থানান্তর এফআইইউ, ইউকের নির্দেশে আটক আছে। ওই অর্থ তারা অন্যত্র হস্তান্তর বা রূপান্তর করার চেষ্টা করছেন। তাই বর্ণিত অর্থের বিষয়ে এখনি কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে তা বেহাত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই পিটিশান দরখাস্তের রায় নিম্ন আদালত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এটা ব্রিটিশ হাইকমিশনের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রদপ্তরে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে। কিন্তু সেটি ভিন্ন বিষয়।
নতুন খবর হলো, এই টাকার জন্য ফেঁসে যেতে পারেন তারেক জিয়া। লন্ডনে তারেকের স্যানট্যান্ডার ব্যাংকে টাকা স্থানান্তরের প্রক্রিয়া আটকে দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। তারা এই টাকার উৎস জানতে চেয়েছে তারেক জিয়ার কাছে। কিন্তু এই ঘটনার দুই সপ্তাহ পরেও তারেক জিয়া এখন পর্যন্ত টাকার উৎস জানাতে পারেনি। এই টাকার উৎস জানাতে না পারলে ব্রিটিশ আইন অনুযায়ী তারেক জিয়ার জেল হতে পারে।
ব্রিটেনের নিয়ম অনুযায়ী ৫ হাজার পাউন্ডের বেশি অর্থ লেনদেন করতে গেলে আয়ের উৎস এবং প্রাপ্তির যথার্থতা যাচাই করতে হয়। তারেক জিয়ার যে তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে যে পরিমাণ টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল সেই টাকার উৎস সম্পর্কে তারেক কিছুই জানাতে পারেনি। শুদু তাই নয়, এবার কেঁচো খুড়তে সাপ বেরিয়েছে। তারেক জিয়া যে লন্ডনে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন, তার বিপুল পরিমাণ ব্যয়, তার রাজকীয় চলাফেরা সম্পর্কেও তদন্ত করছে ব্রিটিশ সরকার। তদন্তে যদি প্রমাণিত হয় যে তার এই আয়ের কোনো বৈধ উৎস নেই, তাহলেই গ্রেপ্তার হতে পারেন তারেক জিয়া। ব্রিটেনে এমন আয় বহির্ভূত উৎসের কারণে গ্রেপ্তার হওয়ার সংখ্যা কম নয়। তবে ব্রিটেনে যোগাযোগ করে কূটনৈতিক সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে যে, ব্রিটেনে মানি লন্ডারিং আইনে গ্রেপ্তার হলে এই টাকা বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে যেকোনো আইনগত বাধ্যবাধকতা নেই ব্রিটিশ সরকারের। পাশাপাশি তারেক জিয়াকে এই অবৈধ অর্থের কারণে দেশে পাঠানোর ব্যাপারেও ব্রিটিশ সরকারের কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই।
বাংলা ইনসাইডার
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭