ইনসাইড বাংলাদেশ

সেদিন কেন মৃত্যু হলো না!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 24/04/2019


Thumbnail

সাভারের রানা প্লাজা ট্রাজেডির ছয় বছর আজ। ২০১৩ সালের সেই ভবন ধসে যাদের মৃত্যু হয়েছিল তাদের পরিবারে এখনো চলছে শোকের মাতম। আর রানা প্লাজা নামের মৃত্যুকূপ থেকে যারা আহত অবস্থায় বেঁচে ফিরেছেন, তাদের মুখে আজও ফোটেনি হাসি। সরকারি ও বেসরকারিভাবে কিছু আর্থিক সাহায্য পেলেও আহত শ্রমিকদের বেশিরভাগই কর্মহীন অবস্থায় আছেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটি পঙ্গু হয়ে যাওয়ায় চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন অনেকে।

গবেষক ও মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় যে শ্রমিকরা বেঁচে ফিরেছেন, তাদের যে চিকিৎসা বা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। ক্ষতিপূরণের নামে যে থোক-বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, তাও ন্যায্য নয় বলে মনে করছেন মানবাধিকারকর্মীরা।

পঙ্গু হয়ে যাওয়া শ্রমিকরা বলছেন, রানা প্লাজা থেকে বেঁচে ফিরলেও জীবন্ত লাশে পরিনত হয়েছেন তারা। এখনও প্রায় প্রতি রাতে ভয়াবহ সেই ঘটনার দুঃস্বপ্নে ঘুম ভাঙে তাদের। এমন অনেকেই আছেন যারা আতংকের কারণে দোতলা কোনো ভবনেও উঠতে পারেন না। পঙ্গুত্ব ও ট্রমা নিয়ে পরিবারের গলগ্রহ হয়ে বেঁচে আছেন তারা। দীর্ঘশ্বাস ফেলে শ্রমিকরা বলছেন, ‘সেদিন কেন মৃত্যু হলো না?... তাহলেই বোধহয় বেঁচে যেতাম আমরা।’

বেসরকারি সংস্থা অ্যাকশন এইডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রানা প্লাজায় আহত শ্রমিকদের শতকরা ৪২ দশমিক ৪ শতাংশ এখনও বেকার। এই বেকারত্বের প্রধান কারণ হলো শ্রমিকদের শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতা। এখনও ট্রমাটাইজড শ্রমিকেরা কাজে যেত ভরসা পান না। জেনারেটর ও মেশিনের শব্দেও তারা ভয় পান।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭