কালার ইনসাইড

না ফেরার দেশে পাড়ি সালেহ আহমেদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 24/04/2019


Thumbnail

দেশবরেণ্য নন্দিত অভিনেতা সালেহ আহমেদ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে আজ পরপারে পাড়ি জমালেন। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন। আজ দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৮৩ বছর বয়সী এই অভিনেতা। তার মামাতো ভাই অভিনেতা আহসানুল হক মিনু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে আজ সকালের দিকে অ্যাপোলো হাসপাতালের সিসিইউতে অভিনেতা সালেহ আহমেদকে ভর্তি করানো হয়। তার শ্যালক আওয়াল চৌধুরী জানান, অসুস্থ অবস্থায় অ্যাপোলো হসপিটালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে! তার শারীরিক অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন ও শরীরের মূল অরগ্যানগুলো ঠিকমতো কাজ করছিল না।

অসংখ্য নাটক এবং চলচ্চিত্রে দারুণ সব চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকনন্দিত হয়েছিলেন তিনি। বিশেষ করে কিংবদন্তি হুমায়ুন আহমেদের নাটক আর চলচ্চিত্রে অভিনয় করেই তিনি বেশি জনপ্রিয় হয়েছিলেন। দীর্ঘদিন থেকেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। প্রায় ৫ বছর ধরে অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। ক্রমেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছিল। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে সালেহ আহমেদ গত দুইবছর বিছানায় শুয়ে কাটাচ্ছিলেন। ২০১১ সালে স্ট্রোকের পর থেকে তার চিকিৎসার খরচ বহন করতে অনেকটাই সমস্যায় কাটাচ্ছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা। জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই অভিনেতার পাশে দাঁড়ান, তার চিকিৎসার জন্য ২৫ লাখ টাকা দেন সঞ্চয়ী পত্র হিসেবে।

সালেহ আহমেদের জন্ম বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে চাকরির পাশাপাশি ময়মনসিংহে অমরাবতী নাটমঞ্চের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এই অভিনেতা। ১৯৯১ সালে অবসরে যাওয়ার পর হুমায়ূন আহমেদের নাটকে ও চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। ধারাবাহিক ‘অয়োময়’ নাটক এবং ‘আগুনের পরশমণি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয় জগতে তার পথচলা শুরু। এরপর অসংখ্য টিভি নাটক এবং চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন স্বাধীনতা পদক।

 

তার হাস্যোজ্বল মুখের কথা দর্শক আজীবন মনে রাখবে।

 

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭