ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপে স্পটলাইট: চমকে দিতে পারেন ইমাদ ও জুনায়েদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 25/04/2019


Thumbnail

আগামী ৩০ মে থেকে ইংল্যান্ডের শুরু হবে ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদাকর আসর বিশ্বকাপ। রণকৌশল ঠিক করার সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের শক্তিমত্তা পরখ করে নিচ্ছে অংশগ্রহণকারী দশটি দল। একই সঙ্গে চলছে দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ইনসাইডার-এর বিশেষ আয়োজন, বিশ্বকাপে, বিশ্ব কাঁপে…। কাউন্ট ডাউন স্টোরিতে এবার থাকছে বিশ্বকাপের বিশাল মঞ্চে কোন কোন তারকা ক্রিকেটার থাকবেন স্পটলাইটে। এবার থাকছে ১৯৯২ সালে চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান। আজ থাকছেন পাকিস্তানের ইমাদ ওয়াসিম ও জুনায়েদ খান।

প্রথম বিশ্বকাপে রং ছড়াতে চান ইমাদ ওয়াসিম: প্রকৌশলী বাবা চাকুরি সূত্রে ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন ইমাদ ওয়াসিম। তবে বাল্যকালে পাকিস্তান ফিরে আসে তাঁর পরিবার। এতে বদলে যায় জীবনের বাঁক। হয়ে যান পেশাদার ক্রিকেটার। তাঁর আইডল ওয়াসিম আকরাম।   

২০০৬ ও ২০০৮ সালের দুটি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলেছেন ইমাদ। এছাড়া পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে জায়গা করে নেন জাতীয় দলে। ২০১৫ সালে লাহোরে জিম্বাবুয়ে’র বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পথচলা শুরু হয় ইমাদ ওয়াসিমের। একই বছর একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটেও অভিষেক হয় বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের।

পাকিস্তানের প্রথম স্পিনার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়েন তিনি। দুবাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৪ রানে পাঁচ উইকেট টি-টোয়েন্টিতে তাঁর ক্যারিয়ার সেরা বোলিং।

সাবেক ক্রিকেটারদের মতো ইমাদ ওয়াসিম হতে যাচ্ছেন পাকিস্তান ক্রিকেটের সেরা অলরাউন্ডার। বর্তমানে আইসিসির টি-টোয়েন্টি বোলিং র‌্যাঙ্কিংয়ের চতুর্থ স্থানে আছেন ইমাদ।

ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে থাকলেও ক্রিকেটের জন্য শিক্ষাজীবনকে বিসর্জন দেন বাঁহাতি এই তারকা ক্রিকেটার। এ পর্যন্ত ৪১টি ওয়ানডেতে রান করেছেন ৭১১। আর উইকেট শিকার করেছেন ৩৩টি। ৩৪ টি-টোয়েন্টিতে তাঁর রান ১৬৯ আর ঝুলিতে উইকেট রয়েছে ৩৮টি। এবারের বিশ্বকাপে তিনি হতে পারে পাকিস্তানের তুরুপের তাস।

জুনায়েদের উপর নির্ভর করছে পাকিস্তানের পেস বোলিং: পাকিস্তানের বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন অভিজ্ঞ পেসার মোহাম্মদ আমির। একমাত্র অভিজ্ঞ পেসার হিসেবে দলে জায়গা পেয়েছে জুনায়েদ খান। সঙ্গে অন্য দুই পেসার মোহাম্মদ হাসনাইন ও শাহীন শাহ আফ্রিদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একেবারে নতুন। সুতরাং বাঁহাতি এই পেসার উপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পরিচিত মুখ জুনায়েদ খান। গত কয়েক বছর দরে নিয়মিত ভাবে অংশ নিচ্ছেন এই টুর্নামেন্টে।

২০০৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দিয়ে লাইমলাইটে আসেন জুনায়েদ খান। ২০১১ বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহুর্তে ফিক্সিং কাণ্ডে জড়িয়ে নিষিদ্ধ হন মোহাম্মদ আমির ও মোহাম্মদ আসিফ। বিপদে পড়ে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা ছাড়াই ডাক পান বিশ্বকাপ স্কোয়াড। যদিও ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি তিনি।

বিশ্বকাপের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয় জুনায়েদ খানের। ২০১২ শেষ দিকে ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরমন্স করেন তিনি। গতি আর সুইংয়ে তিন ম্যাচে জুনায়েদের শিকার হন সময়ের সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি।

ইনজুরির কারণে ২০১৫ বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি তাঁর। দু’বছর টেস্ট ছাড়া অন্য কোন ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি তাঁর। এরপর ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আবারো ডাক পান তিনি। দুর্দান্ত পারফরমেন্সে সেবার চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান।

এ পর্যন্ত ৭৪ ওয়ানডেতে উইকেট শিকার করেছেন ১০৮টি। আর ২২ টেস্ট তাঁর উইকেট নিয়েছেন ৭১টি। এবারের বিশ্বকাপে অনাভিজ্ঞ বোলিং আক্রমণে একমাত্র অভিজ্ঞ বোলার জুনায়েদ খান। পাকিস্তানের পেস বোলিং আক্রমণের দায়িত্ব থাকবে তাঁর উপর।

বাংলা ইনসাইডার/আরইউ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭