সাইক্লোন ফণী নিয়ে এখন আর আতংকের তেমন কোনো কারণ নেই। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ফণী যখন বাংলাদেশে প্রবেশ করবে তখন এটি তার শক্তি হারিয়ে সাধারণ মাত্রার একটি ঝড়ে পরিণত হবে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ হয়ে ঘূর্ণিঝড় ফণী যখন বাংলাদেশের দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলে ঢুকবে, তখন এর গতি হবে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। গতি ৯০ কিলোমিটারের বেশি তাকে প্রবল ঝড় বলা হয়। সেটা মোটেই সুপার সাইক্লোন নয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ফণী এখন পুরোপুরি ডাঙ্গায় উঠে গেছে। মধ্যরাতের পরে যে কোনো সময় সেটি খুলনা, সাতক্ষীরায় ঢুকবে। যত এগুবে তত শক্তি হারাতে থাকবে। এ কারণে ফণী নিয়ে আতংকের কোনো কারণ না থাকলেও সতর্ক থাকতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশে ঢোকার পর ফণীর তীব্রতা বেশী না হলেও, রাতের বেলায় ঢোকার কারণে কিছুটা বাড়তি বিপত্তি তৈরি হতে পারে।
উড়িষ্যায় ঝড়টি ঢুকেছে দিনের বেলায়, ফলে প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতি সামলানো অনেক সহজ ছিল। কিন্তু বাংলাদেশে এর মূল প্রভাবটি পড়বে মধ্যরাতের পর। এটাই চিন্তার কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। কারণ রাতে মানুষ আতঙ্কিত থাকে বেশি। যাতায়াত এবং রাস্তা খুঁজে পাওয়াটাও কষ্টকর হয়।
প্রাথমিকভাবে যেমনটা আশংকা করা হচ্ছিল যে, ফণী ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালাবে, এখন আর তেমন কোনো শংকা নেই। তবে ঝড়ের প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নিচু অঞ্চলগুলো প্লাবিত হতে পারে। বৃষ্টি হবে প্রচুর। ঝড়ো বাতাসে কাঁচা ঘরবাড়ি কিছু নষ্ট হতে পারে। ঝড়ো বাতাসে এবং জমি প্লাবিত হওয়ায় অনেক জায়গায় ফসল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মারাত্মক কোনো বিপদের আশঙ্কা নেই। তবে মধ্যরাত থেকে পরদিন দুপুর পর্যন্ত সাবধানে থাকতে হবে। বাংলাদেশে ঢোকার পর কুষ্টিয়া, পাবনা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, রংপুর, দিনাজপুর হয়ে ঝড়টি শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ ভারতের মেঘালয়ে ঢুকে যাবে। এসময় এসব জায়গায় বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। সাথে থাকবে এবং দমকা ঝড়ো বাতাস থাকবে। তবে যত সময় যাবে, বৃষ্টি এবং বাতাসের তীব্রতা কমতে থাকবে। রোববার নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন আবহাওয়াবিদরা।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি