ইনসাইড আর্টিকেল

কীভাবে বুঝবেন কোনো ব্যক্তি জঙ্গী সদস্য হয়ে উঠছে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 12/05/2019


Thumbnail

দেশ উঠে দাঁড়াচ্ছে, বিশ্বের কাছে আমাদের ভাবমূর্তি দিন দিন আরও ভালো হচ্ছে এ কথা সত্যি। কিন্তু দেশের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার মত কিছু বিষয় আজ অবধি দেশের মধ্যেই শিকড় গেড়ে বসে আছে। তার মধ্যে জঙ্গিবাদ অন্যতম।

আর এতে অনেক বড় সংযুক্তি রয়েছে তরুণ যুবসমাজের। যাদের বেশিরভাগ মেধাবী শিক্ষার্থী। শিক্ষিত আর উচ্চবিত্ত পরিবারের মেধাবী ছাত্ররা জঙ্গী মতাদর্শে ডুবে গিয়ে জঙ্গী হামলা ও টার্গেটেড কিলিং মিশনে অংশ নিচ্ছে, উদ্দেশ্য শহীদের মর্যাদাপ্রাপ্তি। দেশে-বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, মগজধোলাইয়ের মাধ্যমে জঙ্গী সংগঠনের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি হচ্ছেন। দেশে বা বিদেশে বসে জঙ্গী আক্রমণের পরিকল্পনা এবং সরাসরি অংশগ্রহণ করছে। কিন্তু সবার আগে এই তরুণ সমাজের দিকে চোখ রাখা দরকার। তারা কি করছে, কীভাবে বোঝা যাবে আসলেই তারা জঙ্গীবাদের সঙ্গে জড়িত কিনা, কীভাবে জঙ্গীসম্পৃক্ততা হচ্ছে সেগুলো চাইলেই একটু খতিয়ে দেখা যায়। কারো হঠাৎ পরিবর্তন, কোনো সংঘবদ্ধ চক্রের সঙ্গে মেলামেশা দেখলেই বোঝা সম্ভব জঙ্গী আকর্ষণ তৈরি হচ্ছে কি না।

আশেপাশের কাছের লোকগুলো নিম্নোক্ত এই বিষয়গুলো লক্ষ্য করলেই বুঝতে পারবে যে ব্যক্তিটি জঙ্গীবাদের মতো ভয়াবহ বিষয়ে জড়িয়ে পড়ছে কিনা-   

১. পড়াশোনার প্রতি অমনোযোগীতা আর ধর্মীয় নানা বিষয়ে পড়াশোনা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেলে।

২. আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যেতে থাকা, চুপচাপ হয়ে থাকা, গভীরভাবে চিন্তামগ্ন থাকা এবং ধর্মীয় উপদেশমূলক কথাবার্তা বলা।

৩. ঘরের মধ্যে বেশিরভাগ সময়ে একাকী থাকা আর কার্যক্রমকে গোপন রাখার ব্যাপারে সতর্ক থাকা।

৪. ইন্টারনেটের প্রতি অতিমাত্রায় আসক্তি

৫. সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ভুয়া আইডি ব্যবহার করে জঙ্গী সংগঠনগুলোর লোগো ব্যবহৃত বন্ধুতালিকায় যোগ করা বা ঐ সংক্রান্ত পোস্টে লাইক বা কমেন্ট করা ও নিজের জিহাদী মতামত ব্যক্ত করা।

৬. নিজের ফোন নম্বর নিজের নামে রেজিস্ট্রেশন না করা।

৭. যদি দেখা যায় হুট করেই অতিমাত্রায় ধর্মচর্চার প্রতি ঝোঁক দেখা যায়। আবার দেখা যাবে কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তির বাইরে তার যোগাযোগ সীমিত হয়ে যাচ্ছে। ঐ নির্দিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গেই ওঠাবসা, মেলামেশা করা।

৮. পোশাকআশাক, বেশভূষা, চলাফেরায় ধর্মীয়পন্থাকে অন্ধভাবে অনুসরণ করলে।

৯. বিভিন্ন সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক আচার অনুষ্ঠান থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখা। কখনো কখনো এগুলোকে ধর্মবিরোধী, অনাচার বলে স্বীকৃতি দেওয়া।

১০. অভিভাবক, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশীদের নিজের পরিবর্তিত মতাদর্শ বিশ্বাস করতে ও মানতে বাধ্য করাতে চেষ্টা করে।

১১. গণতন্ত্রকে ধর্মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক মনে করা। ধর্মীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য অতিমাত্রায় আগ্রহ প্রকাশ করা।

১২. নির্দিষ্ট ধর্মীয়গ্রন্থকে অনুসরণ না করে অনলাইনে প্রাপ্ত রেফারেন্স ও একই মতাদর্শী নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির মতামতকে বেশি যৌক্তিক মনে করা এবং কোনো জ্ঞানী ব্যক্তিদের পরামর্শ না দেওয়া।

১৩. জিহাদ সংক্রান্ত পড়াশোনা ও বিভিন্ন মুসলিম দেশে চলমান নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে অতিমাত্রায় উদ্বিগ্ন থাকা।

১৪. বিভিন্ন জিহাদী গোপন বৈঠকের আয়োজন এবং বিভিন্ন স্থানের নির্দিষ্ট দিনে ও সময়ে পূর্ব নির্বাচিত স্থানে নিজেরাই পর্যায়ক্রমে নেতা নির্বাচিত করে বক্তা বা শ্রোতা হওয়া।

১৫. মিলাদ, শবেবরাত, শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার মতো প্রচলিত সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দিবসসমূহে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সমালোচনা করে।

১৬. ধর্মচর্চার পাশপাশি শরীরচর্চা ও ক্যাম্পিং এর মতো বিষয়ে আগ্রহী হওয়া।

বাংলা ইনসাইডার



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭