নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 13/05/2019
প্রশ্নটা আজ সরকারকে রাখতেই হয়। এটিএম শামসুজ্জামানের চেয়ে আহমেদ শরীফ কি আপনাদের কাছে বেশি প্রিয়? কিংবদন্তি অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৩ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ঢাকায় হাসপাতালে চিকিৎসারত এটিএম শামসুজ্জামানকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে দেখতে যান। এ সময় ১০ লাখ টাকার আর্থিক অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন বিপ্লব বড়ুয়া। অসুস্থ এটিএম শামসুজ্জামানের পক্ষে তার মেয়ে চেকটি গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দু:স্থ ও অসুস্থ শিল্পীদের জন্য বরাবরই এগিয়ে আসেন। তার কাছে অনুদান চাইতে হয় না। তার নজড়ে কোনভাবে গেলে তিনিই নিজ থেকে এগিয়ে আসেন। এজন্য তার প্রশংসা যতটাই করা হোক তা কম হবে। কিন্তু আজ আশ্চর্য্য হতে হলো। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে লড়ছেন এটিএম শামসুজ্জামান। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এগিয়ে আসা হলো। কিন্তু এভাবে কেন! কিছুদিন আগে আহমেদ শরীফকে সরকার চিকিৎসার জন্য ৩৫ লাখ টাকা অনুদান দেয়। আহমেদ শরীফ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্যভরে কথা বলেছেন। যা জাতি আজও ভুলেনি। তার অসুস্থতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে অনেকের মনে। তার আর্থিক অবস্থাও স্বচ্ছল বলে অনেকের জানা। তবু তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা পেয়েছেন। আর সেখানে এটিএম শামসুজ্জামান পেয়েছেন মাত্র ১০ লাখ! তাও প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরে শেষে দেশে আসার অপেক্ষা করতে হলো!
এটিএম শামসুজ্জামান কত বড় অভিনেতা সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এটাও কারও অজানা নয় তিনি কতটা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুসারী। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিলো না তখন দুধের মাছিদের দেখা যায়নি। তখন এটিএম শামসুজ্জামানরাই ছিলেন আওয়ামী লীগের সঙ্গে। সকল ভয় ভীতি উপেক্ষা করে তিনি দলের কথা বলে গেছেন। শেখ হাসিনার কথা বলে গেছেন। তার বদৌলতে সুস্থ থাকা অবস্থায় কিছুই চাননি। কেউ কখনো বলতে পারবেন না তিনি কারো কাছে কোন সাহায্য চেয়েছেন। আজ যখন এই কিংবদন্তি জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে সেখানে সরকার আরও সচেষ্ট নয় কেন! কেন এখনো তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হচ্ছে না সে প্রশ্নও রয়ে যায়।
এটিএম শামসুজ্জামানের মেয়ে কোয়েল আহমেদ বলেছেন, ‘উন্নত চিকিৎসার জন্য বাবাকে বিদেশে নিতে পারলে ভালো হতো। এখনো আব্বা যে অবস্থায় আছেন, তাঁকে যত তাড়াতাড়ি নিয়ে যাওয়া যায়, ততই ভালো।’
চিকিৎসকদের মতে, এ টি এম শামসুজ্জামানের ফুসফুস এখনো খুবই দুর্বল। তিনি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। এখানে অধ্যাপক মতিউল ইসলাম তাঁর চিকিৎসা তত্ত্বাবধান করছেন। চিকিৎসকদের মতে, ‘বিপদ এখনো কেটে যায়নি। যেকোনো সময়, যেকোনো কিছু ঘটতে পারে।’
একুশে পদক পাওয়া অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামানের দেহে সম্প্রতি অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে দুবার লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য এটিএম শামসুজ্জামানের এক ছেলের খুনের শাস্তি হিসেবে আরেক ছেলে জেলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন। এটিএম শামসুজ্জামান সেখানেও সত্যের সঙ্গে আপোষ করেননি। তিনি নিজে আদালতে গিয়ে ছেলে বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়েছেন। তাই এটিএম শামসুজ্জামানের মেয়েরা তার পাশে আছেন।
বাংলা ইনসাইডার
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭