নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 17/05/2019
আদর্শ রাজনৈতিক পরিবারের কর্ণধারের যোগ্য উদাহরণ তিনি। রাজনৈতিক আদর্শের ধারা ধরে রাখতে এবং দেশকে সবার কাছে ঈর্ষণীয় করে তুলতে তার অবদান এখন শুধু দেশেই নয়, সারাবিশ্বেই তিনি রোলমডেল। তাকে একনামে চেনে সবাই। তিনি আমাদের দেশনেত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শত প্রতিকূলতার মাঝেও যিনি ধুকতে থাকা বাংলাদেশে ফিরে আসেন। হাল ধরেন, বদলে দিতে থাকেন দেশকে। এজন্যই মনে হয়, শেখ হাসিনা ফিরে না এলে আজ এত গর্ব করে দেশে বাঁচতে পারতাম না।
বিচক্ষণতা ও নেতৃত্বের দৃঢ়তা দিয়ে যে নতুন বাংলাদেশ তৈরি করা যায়, সেটা আমরা দেখেছি শেখ হাসিনার বদৌলতেই। সেই চেষ্টা এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তার হাত ধরেই সফলতা এসেছে সবক্ষেত্রে- রাজনীতি, অর্থনীতি এবং সামাজিক উন্নয়ন সবকিছুতেই।
কূটনৈতিক যোগাযোগ কিংবা সম্পর্ক, সব ক্ষেত্রেই বন্ধন তৈরি করেছেন বিশ্বব্যাপী। ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক ও উন্নয়ন অংশীদারিত্বে স্থাপিত হয়েছে মাইলস্টোন।
স্বল্পোন্নত বা উন্নয়নশীল দেশের তালিকা থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে দেশ। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অনেক বেড়েছে। সবচেয়ে আনন্দের কথা হলো, দ্রুতবর্ধনশীল অর্থনীতির ৫টি দেশের মধ্যে এখন বাংলাদেশের নামও রয়েছে। বিশ্বে ক্ষুধাদারিদ্রমুক্ত দেশের রোলমডেল হিসেবে বাংলাদেশের নামকে তিনি সবার উপরে আনতে সক্ষম হয়েছেন। এই কৃতিত্বের দাবীদার কেবল তিনিই।
আর অবকাঠামো উন্নয়নের কথা বলতে গেলে পদ্মাসেতুর কথা আসবে সবার আগে। পাশাপাশি চার লেন মহাসড়ক, উড়ালসড়ক, মেট্রোরেল এখন আর স্বপ্ন নয়, সেগুলো বাস্তব।
দেশ পরিচালনায় যথাযথ পরিকল্পনাটা সবচেয়ে জরুরি। সেটা তার ছিল সেই শুরু থেকেই। সেই পরিকল্পনার মূলমন্ত্র তার হাতেই ছিল, সেটা হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা। পর্যাপ্ত বিদ্যুৎসেবা নিশ্চিত করেছে তার সরকার। গেলো সপ্তাহেই বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড করেছে দেশ। তার প্রযুক্তিবান্ধব কৃষিনীতির ফলে বাংলাদেশ এরইমধ্যে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে, রপ্তানির সক্ষমতাও এসেছে।
রাজনৈতিকবোদ্ধারা সবসময়েই বলেন, উন্নয়নের জন্য সবার আগে স্থিতিশীলতা জরুরি। বর্তমানের মতো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দেশে আগে কখনো প্রত্যক্ষ করেনি জনগণ। শেখ হাসিনার নিয়ন্ত্রণে এখন পুরো দেশই রয়েছে। তাকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হচ্ছে সব রাজনৈতিক আর সব কর্মকাণ্ড। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সব নির্বাচনও করেছেন শক্ত হাতে, দেশরক্ষায় জয় ছিনিয়ে আনতে পেরেছেন।
যুদ্ধাপরাধের বিচার ইস্যুতে তিনি অনঢ় থেকে বিচার শুরু করেছেন, বাকী প্রক্রিয়াও চলছে। বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচারের প্রক্রিয়াতে তার তোড়জোড় চোখে পড়ার মতো।
বিভিন্ন অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়েছে, রপ্তানি আয় বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণহারে। আমদানি প্রবৃদ্ধিও ইতিবাচক, অর্থবছর শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বেড়েছে। দারিদ্র্যের হার এবং অতিদরিদ্রের পরিমাণ কমেছে।
গ্রামীণ জনগোষ্ঠী এবং তৃণমূলের দারিদ্র্যদূরীকরণ ও তাদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে তার অবদানের কথা বলতে গেলে লিখে শেষ করা দুস্কর। শিক্ষা, শিল্পখাতকে এগিয়ে নিয়েছেন সবকিছু নিজের তত্ত্বাবধানে। মহাকাশে দেশের প্রথম স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ বসেছে।
তবে সবচেয়ে যে কথাটা বলা জরুরি, সেটা হলো সন্ত্রাস আর জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তার শক্ত অবস্থান। কয়েকবছর আগেও জঙ্গিবাদ আর সন্ত্রাস দেশে যে তাণ্ডব অবস্থার সৃষ্টি করেছিল, সেটা তিনি নিজের হাতে দমন করেছেন। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে এখনো তিনি যথেষ্ট কঠোর।
কিন্তু শেখ হাসিনার যে এতো অর্জন, দেশকে নিজ হাতে পরম মমতায় গড়েপিঠে এতদূরে নিয়ে আসলেন, সেটা যথেষ্ট কষ্টসাধ্য। অসম্ভব ধৈর্য তার, সেটা আমরা জানি। দেশ স্বাধীনের পর, স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে হত্যার পর বাংলাদেশের কিছুই ছিল না অবশিষ্ট। তখন প্রয়োজন ছিল একটি শক্তিশালী হাতের, যে আকড়ে ধরতে পারবে দেশকে।
আজ থেকে বহুবছর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বলেছিলেন, বাংলাদেশ হচ্ছে ‘ইন্টারন্যাশনাল বাস্কেট কেস’ অর্থাৎ তলাবিহীন ঝুড়ি। এখানে যত অর্থই ঢালা হবে, তলা না থাকায় কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। কিন্তু সেই তলাবিহীন দেশটি এখন কোথায় পৌঁছে যাবে তা কিসিঞ্জার ভদ্রলোক ধারণাও করেননি। অনেক বিজ্ঞজনেরা মন্তব্য করতেন যে এই স্বাধীন হওয়া ছোট্ট বাংলাদেশটি টিকে থাকবে না। কিন্তু বাংলাদেশে টিকে আছে শেখ হাসিনার হাত ধরে, তিনি কাজ করে যাচ্ছেন, তরুণদের হাতে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিচ্ছেন। বাংলাদেশ তো এখন আর বিদেশী সাহায্যের আশায় পথ চেয়ে থাকে না। এই বদলে যাওয়ার গল্প মানেই শেখ হাসিনা। তিনি না থাকলে আমরাই বা কোথায় থাকতাম! এজন্যই ৭ মে তার দেশে ফিরে আসাটা এত তাৎপর্যপূর্ণ আমাদের কাছে।
বাংলা ইনসাইডার
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭